Just In
- 11 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 12 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 14 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 17 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
গর্ভাবস্থায় মুখোরোচক কী কী নির্দ্বিধায় খেতে পারেন?
গর্ভাবস্থায় কিছু মুখে তোলার আগেই মনে পড়ে যায় ছোট্ট প্রাণটির ভালোমন্দের কথা। সেকথা ভেবে বাদ দিতে হয় কত পছন্দের খাবার।
প্রেগন্যান্সির সময় কমবেশি সব মেয়েরাই চিন্তায় থাকেন খাওয়াদাওয়া নিয়ে। যখন বমি বমি পায়, মুখে রুচি থাকে না , সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কিছু মুখে তোলার আগেই মনে পড়ে যায় ছোট্ট প্রাণটির ভালোমন্দের কথা। সেকথা ভেবে বাদ দিতে হয় কত পছন্দের খাবার। ডাক্তাররা কিন্তু এই সময়ে অনেকরকম খাবারের কথা বলে থাকেন।তার বাইরেও কি কি আপনার জন্য নিরাপদ দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।
১। ফল
এই সময় আপনার খাওয়া কিন্তু আপনার বাচ্চার খাওয়াও। তাই পুষ্টিকর স্ন্যাকস বাছুন। ফল সেদিক থেকে যেমন নিরাপদ, তেমনই পুষ্টিকর। সকালে কিছু ভারী খেতে ইচ্ছে করছে না!? একটা আপেল বা এক গ্লাস তরমুজের সরবত খেয়ে মেটাতে পারেন প্রোটিন এবং ভিটামিনের চাহিদা। এছাড়া রয়েছে অ্যাভোকাডো ফল যা প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। প্রেগন্যান্ট মহিলাদের প্রতিদিন ৪৬০০-৪৭০০ মিলিগ্রাম মিনারেলস লাগে। তাই ফলকে যেন বাদ রাখবেন না।
২। শাকসবজি
সবজি হল মিনেরেলস-এর ভান্ডার। আর এই সময় শরীরকে সরবরাহ করতে হবে যথেষ্ট পরিমাণ মিনেরেলস। তাই সবজি দিয়ে বানিয়ে ছোটখাটো লোভনীয় পদ যা তৃপ্তি দেবে আপনাকেও, আর চাহিদা মেটাবে আপনার শরীরেরও।
৩। আমিষ
ডিমের নানান রকম পদ যেমন-স্ক্র্যম্বল্ড এগ, ডিম টোস্ট, ডিম সেদ্ধ ইত্যাদি খুবই স্বাস্থ্যকর হবু মায়েদের জন্য। তবে হাফ বয়েল ডিম খাবেন না যেন, প্রেগন্যান্ট অবস্থায় শরীরের জন্য তা ক্ষতিকর। এছাড়া মাছ বা মাংস দিয়েও বানিয়ে নিতেই পারেন লোভনীয় কিছু স্ন্যাকস। রোস্টেড ফিশ,বয়েলড চিকেন, চিকেন স্যুপ,ফিশ উইথ ভেজিটেবলস হতেই পারে আপনার সন্ধ্যের স্ন্যাকস। এতে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিনও ঢুকবে। যা হবু মা ও গর্ভের সন্তানের জন্য খুব প্রয়োজন।
৪। কার্বোহাইড্রেট
প্রোটিন ,ভিটামিন সব তো হলো, কার্বোহাইড্রেট তো শরীরের জন্য দরকার নাকি! এই সময় প্রায়ই মেয়েদের মুখে ভাত -রুটি রোচে না। চিন্তার কিছু নেই, পাউরুটি টোস্ট, নুডলস, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি হালকা স্ন্যাকস কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা অনায়াসে মিটিয়ে দেবে। অনেক সময় দুপুরে কিংবা রাতে ভারী খাবার খেতে মোটে ইচ্ছে করে না। তখন পাউরুটিতে মাখন মাখিয়ে টোস্ট করে খেতে পারেন। দুপুরবেলা সাদাভাতের বদলে লাঞ্চ সারতে পারেন দু-একটা রাইস বল বা ডালিয়া দিয়ে।
৫। স্যালাড
কিছুই যখন খেতে ইচ্ছে করছে না, বেছে নিন স্যালাড। ম্যাগাজিনের পাতা উল্টাতে উল্টাতে স্যালাড খেতে থাকুন। দেখবেন আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় মিনেরেলসের অভাব হচ্ছে না । এছাড়াও এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন বিভিন্ন রকমের সব্জি যেমন টমেটো,আলু, লেটুসপাতা,শশা নিয়ে। রেসিপি দেখে এগুলো দিয়ে চটপট বানিয়ে ফেলতে পারেন চটকদার স্যালাড। ভেজিটেবল স্যালাডে শুধুই মিনেরেলস নয় থাকে বেশকিছু ভাইটাল ভিটামিনস যা প্রেগন্যান্সির সময় খুব দরকারি। শুধুই সবজি নয়, স্যালাড তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ফলও। আপেল,আম,আঙুর,পাকা পেঁপে ইত্যাদি দরুণ দরুণ ফল মিশিয়ে কয়েক মিনিটেই তৈরি করে ফেলুন আপনার মুখরোচক ফ্রুট স্যালাড। এই স্যালাড শুধু সুস্বাদু তাই নয় এর থেকে পাবেন ভিটামিন-সি এর মত দরকারি ভিটামিনসও।
৬। পাউরুটি আর চিজ
শুধু বা পাউরুটি দিয়ে খেতে পারেন চিজ। চিজ এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম আর প্রোটিন। প্রেগন্যান্সির সময় যে দুটি আপনার শরীরের জন্য মাস্ট। এছাড়াও কিন্তু বাজারে রয়েছে বিভিন্নধরনের লো-ফ্যাট বিস্কুট যা নিশ্চিন্তে স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যায়।
৭। দুধ
কিছুই যখন মুখে রুচছে না, তখন দুধ খেতে পারেন অনায়াসে। দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম আপনার শরীরের হাড়কে মজবুত রাখে। দুধ এই সময় আপনার জন্য ও আপনার ভিতর থাকা প্রাণটির জন্য খুব প্রয়োজন। তাই এটি কিন্তু মুখে না রুচলেও খেতেই হবে।