Just In
- 10 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 11 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 13 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 17 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
বাচ্চার সর্দি-কাশি লেগেই রয়েছে? দৈনন্দিন এই ৬ অভ্যাসেই হবে মুশকিল আসান!
আপনার সন্তান কি প্রায়ই জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভোগে? কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এটা হচ্ছে? আজকের এই কর্মব্যস্ততার যুগে সব বাবা-মায়েদের সম্ভব হয় না সর্বদা বাচ্চার দিকে খেয়াল রাখা। এই কারণে বাচ্চাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অনেক গলদ দেখা যায়। বাচ্চাকে সর্বদা সুস্থ-সবল রাখতে ছোটো থেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস শেখানো প্রয়োজন। ছোটো থেকেই যদি শারীরিক গঠন আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত না হয় তা হলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বাচ্চাকে সর্বদা সুস্থ ও চনমনে রাখতে তাদের দৈনন্দিন অভ্যাসের দিকে নজর দিন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, বাচ্চাকে সবসময় সুস্থ রাখতে তাকে কোন কোন অভ্যাস শেখানো জরুরি -
হাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
হাত ধোওয়া সংক্রমণের বিস্তার রোধে দারুণ কার্যকর। বাচ্চারা যখন তখন এখানে-সেখানে হাত দিয়ে ফেলে, এর ফলে খুব সহজেই তারা সংক্রামিত হতে পারে। তাই নিয়মিত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তাদের হাত ধোওয়ার অভ্যাস করান। হাত ধোওয়া জীবাণু এবং ভাইরাস রোধে দুর্দান্ত কার্যকর।
মুখে স্পর্শ না করা
অসুস্থ ব্যক্তির কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে অনেক ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভাইরাস অন্য ব্যক্তির শরীরে তার নাক, চোখ এবং মুখ দিয়ে প্রবেশ করে। বাচ্চা থেকে বয়স্ক, সকলেরই উচিত যখন তখন মুখে স্পর্শ না করা। হাত ধোওয়ার পরে মুখে স্পর্শ করাই ভাল।
পর্যাপ্ত ঘুম
সুস্থ থাকতে গেলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম খুবই প্রয়োজনীয়। ঘুমের অভাব হতে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়বে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনের পর দিন ঠিকমতো ঘুমায় না, তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই প্রত্যেক বাবা-মায়েদের উচিত তাদের বাচ্চারা ঠিকমতো ঘুমাচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখা।
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা
সুস্থ-সবল থাকার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বড়দের মতোই বাচ্চাদেরও নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি। এতে ছোট থেকেই বাচ্চাদের সুস্থ সবল রাখা যায়। ব্যায়াম শরীরে ইমিউন কোষের সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।
সুষম খাদ্য খাওয়া
বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সন্তানকে প্রতিদিন প্রচুর তাজা ফল এবং শাকসবজি খাওয়ান। ভিটামিন সি, ডি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলি প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এতে কেবল তাদের ইমিউন সিস্টেম এবং হাড় শক্তিশালী হবে না, পাশাপাশি হজমও ভাল হবে।
সময়মতো টিকাদান
সন্তানকে সময়মতো টিকা দিতে কখনই ভুলে যাবেন না। আট থেকে আশি, সকলেরই বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগ থেকে বাঁচানোর অন্যতম সেরা উপায় হল টিকাকরণ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং শরীরকে রোগ-জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে।