Just In
- 2 hrs ago
দৈনিক রাশিফল : নববর্ষের দিনটি আপনার কেমন কাটবে? জানতে পড়ুন ১৫ এপ্রিলের রাশিফল
- 12 hrs ago
নববর্ষ ১৪২৮ : জেনে নিন বাংলা নববর্ষের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- 13 hrs ago
Charak Puja 2021 : চৈত্র সংক্রান্তিতে উদযাপিত হয় চড়ক পুজো, জেনে নিন এর ইতিহাস
- 19 hrs ago
স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান? প্রতিদিন এই টিপস ফলো করুন!
Don't Miss
৩০ বছরের বয়সের পরে গর্ভাবস্থার চিন্তাভাবনা? সম্মুখীন হতে পারেন এই সব ভয়ানক সমস্যার!
একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের বিয়ে খুব অল্প বয়সেই হয়ে যেত। সংসার ধর্ম পালন ছাড়া দ্বিতীয় কোনও উপায় থাকতো না তাদের কাছে। কিন্তু যুগের উন্নতির সাথে সাথে মেয়েরা সর্বক্ষেত্রেই পারদর্শী হয়ে উঠেছে, গড়েছে নিজেদের ভবিষ্যৎ। ফলে অল্প বয়সে বিয়ে করে নেওয়ার প্রবণতাটা এখন আর সেই অর্থে দেখা যায় না। সেল্ফ ডিপেন্ডেন্ট এবং নিজের লক্ষ্যের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই বিয়ে করছেন দেরিতে অর্থাৎ বেশি বয়সে। কারণ, তাঁরা সকলেই আগে আর্থিক এবং মানসিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হতে চান।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৩০ বছর বয়সের কোঠা ধরলে এবং ৩০ পার হলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা শারীরিক পরিবর্তনের কারণে কমতে শুরু করে। এছাড়াও অগোছালো জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ এবং খাবারে ভেজাল ইত্যাদির ফলে ৩০ বছরের পর প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে কখনও কখনও কিছু জটিলতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে, যখন কেউ শিশুর জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা করেন, তখন একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে অবশ্যই পরামর্শ নিতে হবে এবং কোনও সমস্যা থাকলে তা চিহ্নিত করে তার চিকিৎসাও করাতে হবে।
জন্মের পরই শিশু কেন কেঁদে ওঠে? জেনে নিন এর আসল কারণ
সুতরাং আপনি যদি বেশি বয়সে প্রেগনেন্সির প্ল্যানিং করেন, তবে কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হতে পারে। ৩০ কিংবা ৩০ এর বেশি বয়সে গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে যে জটিলতাগুলি সৃষ্টি হয় তা দেখে নিন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে।

১) বন্ধ্যাত্ব ও গর্ভধারণে দেরি হতে পারে
৩০ এর কোঠায় পা দিলেই কিছু মহিলার প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে হতে পারে নানাবিধ সমস্যা। এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে গর্ভধারণে। এই সময়ে নারী শরীরের পরিপক্কতার সঙ্গে ডিম্বস্ফোটন আরও অনিশ্চিত হয়ে ওঠে, যার ফলে দেখা দেয় বন্ধ্যাত্ব।

২) প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারির আশঙ্কা
এই বয়সে কিছু কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারির আশঙ্কা সবথেকে বেশি থাকে। যার ফলে শিশুর শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অন্যান্য শিশুর তুলনায় দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। কারণ, গর্ভস্থ শিশুর সম্পূর্ণ শারিরিক ও মানসিক বিকাশের আগেই বেবির জন্ম হয়।

৩) বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি
ভারতীয়দের ক্ষেত্রে বয়স যখন ৩০ বছরের কোঠায় পৌঁছায়, তখন থেকেই জন্ম নেয় নানাবিধ রোগ। যেমন থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো অনেক সমস্যা। যার ফলে ৩০ বছর বা তা পার করে প্রেগনেন্সির পরিকল্পনা করলে মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিভিন্ন রোগের জন্ম নেয় শিশুর মধ্যে।

৪) বাচ্চা হওয়ার সময় উচ্চ ঝুঁকি
এই বয়সে বাচ্চা হওয়ার সময় মৃত শিশুর জন্ম দেওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সম্ভবত ডিম্বাণুগুলির গুণমান কমে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। আবার মায়ের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকলেও ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শিশুকে বাঁচানো গেলেও, মা-কে বাঁচানো যায় না। বেশি বয়সে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকিটা থেকেই যায়।

৫) সিজারের ঝুঁকি বাড়ে
৩০-এর কোঠায় গর্ভাবস্থার সময় খুব সাধারণ সমস্যাগুলি যেমন - সার্ভিক্স বা জরায়ুর মুখ সঠিকভাবে না খোলা, শিশুর নড়াচড়া সঠিকভাবে না হওয়া, বাচ্চা প্রসব হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রণা না থাকার ফলে সিজার করার প্রয়োজন হয়।

৬) মিসক্যারেজ বা ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৩০ বা ৩০ ঊর্ধ্ব মায়েদের ক্রোমোজোমের সমস্যার কারণে ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিঃদ্রঃ - এই আর্টিকেলটি বেশ কয়েকটি সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে লেখা। তাই কোনও কিছু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সহায়তা নেবেন এবং তাদের পরামর্শ মেনে চলবেন।