Just In
Don't Miss
যমজ বাচ্চার খেয়াল রাখবেন কীভাবে?
প্রকৃতির এক আজব খেলায় জন্ম নেয় যমজ বাচ্চারা। আর যার বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে তার জীবন যে দ্বিগুণ খুশিতে ভরে ওঠে তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। তাই তো যাদের যমজ বাচ্চা হতে চলেছে তারা নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। কারণ মুষ্টিমেয় সংখ্যক মানুষের জীবনেই এমন ঘটনা ঘটে।
বাচ্চা হতে চলেছে এটা শুনলেই অনেক বাবা-মা প্রথমটায় হকচকিয়ে যান। তার উপর যদি যমজ বাচ্চা হয় তাহলে তো কথাই নেই। তাই তো আপনাদের জন্য এই প্রবন্ধে এমন কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে যমজ বাচ্চাদের বড় করতে আর কোনও অসুবিধাই হবে না।
১) প্রথমেই বলি দুজন বাচ্চাকে এক সঙ্গে বড় করা মোটেই সহজ কাজ নয়। তবু এই কাজটি করতে গিয়ে আপনি এতটাই আনন্দ পাবেন যে তা বলে বোঝানোর মতো নয়। তাছাড়া দুজন সন্তান হওয়ার কারণে খুব ছোট বেলা থেকেই তারা এক-অপরের সঙ্গী হয়ে উঠবে। ফলে আপনার বাচ্চা কোনও দিনই নিজেদের একা মনে করার সুযোগই পাবে না।
২) একটা ডায়েরিতে বাচ্চারা কখন ঘুমায়, কখন খাবার খায়, কখন জামা-কাপড় বদল করতে হয়, এগুলি লিখে রাখুন। এতে আপনি একজন বাচ্চার খেয়াল রাখতে গিয়ে অন্য় জনকে মিস করবেন না। সেই সঙ্গে নিজেকেও সময় দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৩) আপনার পক্ষে যদি সম্ভব হয় তাহলে একজন কাজের লোক রাখুন। আর যদি তেমনটা করতে না পারেন তাহলে পরিবারের অন্যদের কাছ থেকে যা সাহায্য আসছে তা গ্রহণ করুন। এতে আপনার খাটনি কিছুটা হলেও কমবে। দয়া করে সুপার মম হওয়ার চেষ্টা করবেন না।
৪) ভালো মানের বেবি স্লিং ব্যবহার করবেন। এমনটা করলে আপনি দুজনকে একসঙ্গে নিয়েই বাইরে বেরতে পারবেন।
৫) বাচ্চাদের খেয়াল রাখতে গিয়ে বাবা-মায়েরা নিজেদের খেয়াল রাখেত পারেন না। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ রাতের ঘুমটা যেন ভালো করে হয়। না হলে আপনারা খিটখিটে হয়ে যাবেন। ফলে দেখা দেবে নানা অসুবিধা। প্রয়োজনে আপনার বাচ্চা যখন ঘুমচ্ছে, তখন একটু ঘুমিয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন অনেকটা চাঙ্গা লাগছে।
৬) রোজ বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বেরবেন। এই অভ্যাস আপনাকে এবং আপনার বাচ্চাকে মানসিকভাবে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। ভুলে যাবেন না তাজা বাতাস যেকোনও ধরনের শারীরিক অসুবিধাকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মনকেও চাঙ্গা রাখে।
৭) অনেক সময় দুজন বাচ্চাকে একসঙ্গে বড় করে তুলতে গিয়ে বাবা-মায়েরা মানসিক ভাবে খুব চাপে পড়ে যান। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে। তাই বাবা-মায়েদের কাছে অনুরোধ এমনটা হলে যথা সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তাহলেই দেখবেন আর কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।