Just In
- 13 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 14 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 16 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 19 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
কোভিডের কবল থেকে বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? দেখুন আয়ুশ মন্ত্রকের নির্দেশিকা
ভারতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভে, ধীরে ধীরে কমছে সংক্রমণ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে কোভিডের থার্ড ওয়েভ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন থেকেই ভারতের অনেক রাজ্য থার্ড ওয়েভ মোকাবিলায় পরিকল্পনা করা শুরু করেছে। জানা গেছে, তৃতীয় ঢেউয়ে বাচ্চারা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এই পরিস্থিতিতে, সরকার বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার আবেদন জানিয়েছে এবং আয়ুশ মন্ত্রক বাচ্চাদের করোনার হাত থেকে রক্ষার জন্য গাইডলাইনও জারি করেছে।
মাস্ক পরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
আয়ুষ মন্ত্রণালয়-এর মতে, বাচ্চাদের করোনা থেকে রক্ষা করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল মাস্ক-এর ব্যবহার। বিশেষত বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে কোথাও বেরোনোর সময় তাকে অবশ্যই মাস্ক পরান। খুব ছোট বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না, তবে পাঁচ থেকে ১৮ বছর বয়সের বাচ্চাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুরাও মুখোশ পরতে পারে, তবে এই সময়ে বাবা-মায়েদের তাদের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
হাত ধোওয়ার অভ্যাস
ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট যেকোনও রোগ এড়ানোর সেরা উপায় হল, হাত পরিষ্কার রাখা। আপনার বাচ্চাকে সময়মতো সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলা জরুরি।
করোনার কবল থেকে রেহাই নেই বাচ্চাদেরও, জানুন কোন কোন উপসর্গ বেশি দেখা যাচ্ছে
এই নিয়ম বাচ্চাদের জন্য প্রয়োজনীয়
১) বাচ্চার মধ্যে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখলে তাকে হালকা গরম জল পান করার জন্য দিন।
২) দু'বছরের বেশি বয়সী বাচ্চার সকালে এবং রাতে ব্রাশ করান।
৩) ছোট শিশুদের নিয়মিত তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৪) পাঁচ বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের তেল মালিশ এবং হালকা গরম জল দিয়ে গার্গল করান।
৫) পাঁচ বছরের বেশি বয়সের বাচ্চাদের তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যোগব্যায়াম করাতে পারেন। তেল ম্যাসাজ, নাকে তেল লাগানো, প্রাণায়াম, মেডিটেশন করাতে পারেন।
৬) বাচ্চার ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। হলুদ দুধ, চবনপ্রাশ এবং কাড়া খাওয়াতে হবে।
৭) সংক্রমণের উপসর্গ হিসেবে জ্বর, সর্দি-কাশি, খাবার না খেতে চাওয়া, দুর্বল হয়ে পড়া, শ্বাস নিতে কষ্ট, এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। ৯৫ শতাংশের নীচে অক্সিজেনের মাত্রা নামলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৮) গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে যে, বাচ্চার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো প্রয়োজন।