Just In
- 3 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 19 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
- 23 hrs ago ভ্যাপসা গরমে আপনাকে তৃপ্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত!
করোনা ভাইরাস লকডাউন : এইসময় পিতা-মাতার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করুন, দেখে নিন কিছু টিপস্
সন্তানের প্রতি সঠিকভাবে পিতা-মাতার ভূমিকা পালন করা যেকোনও সময়ই চ্যালেঞ্জের হয়। বর্তমানে গোটা বিশ্বজুড়ে যা চলছে তার জন্য বাবা-মা এবং বাচ্চা উভয়ই ভীত এবং চিন্তিত। বিশ্বব্যাপী মহামারি চলাকালীন সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার সঠিক ভূমিকা পালন করা চাপজনক হতে পারে তবে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং তাদের বিকাশে সহায়তা করতে এটি একটি ভাল সুযোগও হতে পারে।
লকডাউনের কারণে স্কুল, কলেজ, অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবাই এখন গৃহবন্দি। ফলে, অনেক বাবা-মা বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করছেন। এইসময় সঠিকভাবে পিতা-মাতার ভূমিকা পালন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখে নিন কয়েকটি প্যারেন্টিং টিপস্, যা আপনাকে কোভিড-১৯ এর সময় আপনার সন্তানের সঙ্গে সঠিকভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে সহায়তা করবে।
১) একটি নির্দিষ্ট সময় সেট করুন
প্রতিদিন কিছুটা সময় যদি আপনি আপনার সন্তানের সাথে ব্যয় করেন তবে তা তাদেরকে কোভিড-১৯ এর ভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে। তাই প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন এবং সেই সময়টি শুধুমাত্র আপনার সন্তানের সঙ্গে ব্যয় করুন। এর ফলে তারা আনন্দে থাকবে।
২) সন্তানকে ব্যস্ত রাখুন
লকডাউনের সময় আপনার সন্তানকে ব্যস্ত রাখতে তাদের প্রিয় হবি বা কাজ যেমন গান, আঁকা, বই পড়া, ইত্যাদি বেছে নিতে দিন। এটি তাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং তাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যস্ত রাখবে। এছাড়া, তাদের বুঝিয়ে দিন যে করোনা ভাইরাস বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যাতে তারা কিছু নির্দিষ্ট কাজ না করে।
৩) একসাথে রান্না করুন
যদি আপনার সন্তান কিশোর বয়সের হয়, তবে তার প্রিয় খাবারটি প্রস্তুত করার জন্য তাকে বলুন আপনাকে সাহায্য করতে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার সন্তানের প্রিয় খাবার স্যান্ডউইচ হয়, তবে তাকে বলুন নতুন স্যান্ডউইচ রেসিপি খুঁজে বার করতে বা স্যান্ডউইচটি সুন্দরভাবে সাজাতে বলুন।
আরও পড়ুন : বাচ্চার জন্য দাদু-ঠাকুমা কেন গুরুত্বপূর্ণ? দেখে নিন কারণগুলি
৪) দীর্ঘসময় টেলিভিশন দেখতে বারণ করুন
অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখা আপনার সন্তানের চোখ-কে প্রভাবিত করতে পারে। এর পরিবর্তে আপনি আপনার সন্তানকে কোনও বই পড়া, আঁকা বা নাচের মতো ক্রিয়াকলাপে জড়িত রাখুন, যা তাদের স্বাস্থ্যের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না এবং তাদের ব্যস্ত রাখবে। এই জাতীয় ক্রিয়াকলাপগুলি তাদের জ্ঞানীয় আচরণ এবং সৃজনশীলতার উন্নতি করবে।
৫) একসাথে শরীরচর্চা করুন
লকডাউন আপনার বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, এর থেকে বাঁচার সেরা উপায় হল আপনার সন্তানের পছন্দমতো গানের সঙ্গে আপনি এবং আপনার সন্তান একসঙ্গে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা। এটি তাদের কোভিড-১৯ এর চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং শারীরিকভাবে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
৬) কোভিড-১৯ নিয়ে কিছু লুকাবেন না
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সংবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার কারণে, আপনার সন্তানও হয়তো এ সম্পর্কে কিছু শুনে থাকতে পারে। আপনার উচিত তাকে এ সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানানো এবং সাবধান করা। কারণ, কোভিড-১৯ এর বিষয় নিয়ে আপনার নীরব থাকা বা সন্তানকে পর্যাপ্ত তথ্য না দেওয়ার ফলে তাকে সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। অতএব, আপনার বাচ্চাকে এ বিষয়ে নির্দ্বিধায় সবকিছু বলতে পারেন যাতে তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞাত থাকতে পারে এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
৭) সঠিক উত্তর দিন
আপনার সন্তান আপনাকে কোভিড-১৯ সম্পর্কে এমন কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে যে সম্পর্কে হয়তো আপনিও অবগত নন, তখন তাদের এ সম্পর্কে কোনও ভুল তথ্য দেবেন না। এমন কিছু বলা থেকে বিরত থাকুন যা তাদেরকে বাস্তবতার অন্যান্য দিকগুলিতে বিশ্বাসী করে তুলবে। এছাড়াও, আপনার সন্তানের বয়স এবং তাদের বোধশক্তির স্তর বিবেচনা করে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিন।
৮) সহায়ক হোন
চলমান পরিস্থিতি আপনার শিশুকে ভয় বা বিভ্রান্ত করতে পারে। তাদের সহায়ক হোন এবং তাদের অনুভূতি বা যেকোনও ধারণা যা বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তাদের বিভ্রান্ত করতে পারে তা শেয়ার করতে বলুন। অনুভূতি শেয়ার করা স্ট্রেস এবং উদ্বেগকে হ্রাস করে এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলে। এছাড়াও, তাকে বোঝান যে আপনি তার জন্য সর্বদা রয়েছেন।
এই সঙ্কটপূর্ণ সময়ে কখনও কখনও নিজের মতো করে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া আপনার পক্ষে শক্ত হয়ে উঠতে পারে। কোনও সমস্যা হলে আপনার বাচ্চার প্রতি চিৎকার করা বা রেগে ওঠার পরিবর্তে তাদের সঙ্গে কথা বলুন এবং তাদের বুঝিয়ে শান্ত করুন। আপনার সন্তান ভাল কিছু করলে বা ভাল আচরণ করলে তার প্রশংসা করতে ভুলবেন না। এটি তাদের ভাল আচরণ করতে অনুপ্রাণিত করবে।