Just In
জানেন কি পায়ের তলা দেখেও জেনে নেওয়া সম্ভব আপনার ভাগ্য ভাল না মন্দ সে সম্পর্কে!
বেশ কিছু মঠ এবং মন্দিরে গুচ্ছিত একাধিক প্রচীন গ্রন্থে একটি বিশেষ পদ্ধতির উল্লেখ পাওয়া যায়। তাতে বলা হয়েছে প্রত্যেকটা মানুষের পায়ের তলা আলাগ আলাগা।
ভাগ্য। এই দুটি শব্দের গুরুত্ব যে কোনও মানুষের কাছেই খুব বেশি। কারণ লাক যদি ভাল হয়, তাহলে জীবনের পথে সাফল্য পেতে সময় লাগে না। সময় লাগে না খুশির খনির সন্ধান পেতেও। তবে চিন্তায় বিষয় হল আমরা কেউই আমাদের ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণে করতে পারি না। কিন্তু যেটা পারি, সেটা হল আমার ভাগ্য আদৌ ভাল না মন্দ, সে সম্পর্কে জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করা, যাতে কোনও বিপদ না ঘটে।
এখন প্রশ্ন হল ভাগ্য সম্পর্কে জানার উপায় কি? একতো কোনও জ্যোতিষির পরামর্শ নিতে পারেন। নয়তো এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলতে হবে। তাহলেই দেখবেন ভাগ্য ইতিউতি সম্পর্কে জানতে একেবারেই সময়ই লাগবে না। কিন্তু কী এমন লেখা আছে এই প্রবন্ধে? বেশ কিছু মঠ এবং মন্দিরে গুচ্ছিত একাধিক প্রচীন গ্রন্থে একটি বিশেষ পদ্ধতির উল্লেখ পাওয়া যায়। তাতে বলা হয়েছে প্রত্যেকটা মানুষের পায়ের তলা আলাগ আলাগা। শুধু তাই নয়, শরীরের এই অংশটা দেখে জেনে নেওয়া সম্ভব কার ভাগ্য কেমন, সে সম্পর্কেও। কীভাবে এমনটা সম্ভব?
বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের পায়ের তলা বা সোল এবং হাতের তালু বিশ্লেষণ করে অর্থ, ভাগ্য এবং জীবনের গতিপথ সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা করা সম্ভব। জ্য়াতিষ বিজ্ঞানে হাতের তালু বিশ্লেষণের রেওয়াজ থাকলেও সোল দেখেও যে একই কাজ করা সম্ভব, সে সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। তাই তো এই প্রবন্ধেটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে পায়ের তলার অংশকে সুন্দর করে রাখলে অর্থনৈতিক সমস্যা এবং রোগকষ্টের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে যে কোনও মানুষের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্যেরও সন্ধান মেলে। কীভাবে?
পায়ের তলা এবং চরিত্র:
দীর্ঘ দিন এই বিষয়ে নিয়ে হওয়া নানা কেস স্টাডিতে দেখা গেছে যাদের পায়ের তলা খুব লম্বা হয়, অনেকটা তরোয়ালের মতো, তারা বেজায় আলস হন। ফলে সাফল্য পেতে এদের অনেক অপেক্ষা করতে হয়। শুধু তাই নয়, এরা খুব বোকাও হয়। এমন মানুষদের ঠকানো খুব সহজ হয়। তবে এমন মানুশেরা খুব ধার্মিক হন। ফলে জীবনে যতই কষ্ট এবং বাঁধা আসুক না কেন, তা পেরিয়ে যেতে এদের কোনও কষ্টই হয় না।
আর পায়ের তলা যাদের ছোট?
খুব ছোট পায়ের তলা যাদের, তারা অকারণে খুব দুশ্চিন্তা করেন। তাই তো অনেক ঝড়-ঝাপটার পর এরা জীবনে শান্তি এবং সাফল্যের সন্ধান পায়। আসলে এমন মানুষদের বয়স যত বাড়তে শুরু করে, তত ম্যাচিওরিটিও বাড়ে। ফলে অ্যাংজাইটি কিছুটা হলেও কমতে থাকে। আর এমনটা যত হয়, তত জীবনের চলার পথ মসৃণ হয়। তাই একবার লক্ষ করে দেখুন তো আপনার পায়ের তলা ছোট কিনা। যদি তাই হয়, তাহলে এখন থেকেই দুশ্চিন্তার উপর লাগাম পরান। দেখবেন উপকার পাবেন।
সাধারণ সোল:
এ কেমন পায়ের পাতা? যাদের সোল খুব বড় না, আবার বেজায় ছোটও না, তাদের পায়ের তলাকে "কমন সোল" বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের পায়ের তলা যাদের হয়, তাদের জীবন একেবারে গথে বাঁধা হয়। অর্থাৎ সরকারি চাকরিজীবীদের জীবন যেমন সাদামাটা হয়, অনেকটা তেমনই। এক কতায় বেজায় মশালা এবং তরকাহীন! এক কথায় এমন মানুষদের তেমন একটা উচ্চাকাঙ্খা থাকে না। অল্পতেই সন্তুষ্ট হতে পারার মতো বিরল গুণের অধিকারি হওয়ার কারণে এরা জীবনে চলার পথে খুব একটা কষ্ট পান না।
পায়ের আঙুলও কিন্তু অনেক কথা বলে:
যদি এমনটা ভেবে থাকেন যে পায়ের তলা বিশ্লেষণ করে কেবল আমাদের চরিত্র এবং জীবন সম্পর্কে নানা অজানা তথ্যের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে ভুল ভাবছেন। কারণ পায়ের আঙুল দেখেও যে কোনও মানুষের সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে যাওয়া সম্ভব। যেমন ধরুন যদি কারও বুড়ো আঙুল পাশের আঙুলের থেকে ছোট হয়, তাহলে বুঝতে হবে তার ভাগ্য খুব ভাল। এমন মানুষেরা খুব সহজেই সাফল্য পেয়ে যান জীবনে। শুধু তাই নয়, বৃহত শৃঙ্গ উজিয়ে অনেক বড় জায়গায় পৌঁছানোই এদের ভাগ্যে লেখা থাকে। অন্যদিকে যাদের কড়ে আঙুল বাকি আঙুলদের থেকে লম্বা হয়, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভাল হয় না। তাই এমন মানুষদের সাশ্রয়ের দিকে বেশি করে নজর দিতে হয়। প্রসঙ্গত, যাদের পায়ের আঙুল স্বাভাবিকের থেকে বেশ বড় হয়, তাদের স্বাস্থ্য খুব একটা ভাল থাকে না। কথায় কথায় নানাবিধ শারীরিক সমস্যা ভোগাই এদের ভাগ্যে লেখা থাকে।
পায়ের তলার রং কেমন তাও এক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়:
যাদের পায়ের পাতার রং স্বাভাবিক হয় এবং সোল একেবারে পরিষ্কার থাকে, তাদের শরীর ভিতর এবং বাইরে থেকে এতটাই শক্তিশালী হয় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। আর যদি পায়ের তলার রং গোলাপী হয়, তাহলে বুঝতে হবে সেই ব্যক্তি বেজায় ধনী। শুধু তাই নয়, এমন মানুষেরা জীবনে খুব সাফল্য পেয়ে থাকেন। আর যদি পায়ের তলার উপরের অংশ, মানে যে অংশটাকে থাবা বলা হয়, সেই জায়গার রং যদি হলকা হলুদ বর্ণের হয়, তাহলে বুঝতে হবে ওই মানুষটির বৈবাহিক জীবন একেবারে ভাল যাবে না।
কী বন্ধু এবার একটু নিজের পায়ের পাতার দিকে নজর ফিরিয়ে দেখুন, আর জেনে নিন নিজের সম্পর্কে নানা আজানা তথ্য। আর এই প্রবন্ধটি পড়ে যদি উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে বন্ধু এবং আত্মীয়দেরও এই লেখার লিঙ্ক শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন!