Just In
বিশ্ব ওজোন দিবস : ওজন স্তর সম্পর্কে কিছু তথ্য ও গুরুত্ব
আজ, 'বিশ্ব ওজোন দিবস'। প্রতিবছর ১৬ সেপ্টেম্বর ওজন স্তরের ক্ষয় ও প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণ সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্বজুড়ে ওজোন দিবস পালন করা হয়। অন্যান্য দেশের মতোই প্রতিবছর আজকের দিনে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিবস পালিত হয়।
ওজোন স্তর হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। এই স্তর থাকে প্রধানতঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কিমি উপরে অবস্থিত।
ওজোনস্তরে ওজোনের ঘনত্ব খুবই কম হলেও প্রাণী জগতের জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি এটি শোষণ করে নেয়। মধ্যম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সূর্যের এই অতিবেগুনী রশ্মি মানবদেহের ত্বক এমনকি হাড়ের ক্যান্সার সহ অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধি সৃষ্টি করে। এই ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবীর জীবজগতের সকল প্রাণের প্রতি তীব্র হুমকি স্বরূপ। বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তর প্রতিনিয়তই এই মারাত্নক ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্নিগুলোকে প্রতিহত করে পৃথিবীর প্রাণিকুলকে রক্ষা করছে।
ওজোন স্তরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভূমিকার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ওজোন লেয়ার সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখটি মনোনীত করেছে।
তবে, পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিনিয়ত ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন (CFC) গ্যাসসহ অন্য ওজনস্তর ক্ষয়কারী গ্যাস উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে ওজনস্তর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বিশ্বব্যপী উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। ভূ-পৃষ্ঠ এতটাই উত্তপ্ত হচ্ছে যে সামগ্রিকভাবে বদলে গেছে আবহাওয়া, প্রকৃতি ও পরিবেশ। সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানান জটিল রোগে। এই পরিস্থিতি সারা বিশ্বকেই ভাবিয়ে তুলেছে।
ফরাসী পদার্থবিদ চার্লস ফ্যব্রি এবং হেনরি বুইসন ১৯৩০ সালে ওজোন স্তর আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদ জি এম বি ডবসন ওজোনস্তর নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন।