Just In
- 2 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 7 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 9 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 11 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
Don't Miss
তিনি একজন প্রস্টিটিউট ছিলেন, জন্মেছিলেন ৩ টে পা, ৪ টে ব্রেস্ট এবং ২ টো ভ্যাজাইনা নিয়ে!
এই প্রবন্ধে এমনই একজন মানুষের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে যিনি সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেননি। তবু সারা বিশ্বে তিনি নানা কারণে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।
কোনও মহিলা গর্ভবতী হলেই তার পরিবারের সদস্য়রা একটাই প্রার্থনা করতে থাকেন, যাত জন্ম নিতে চলা বাচ্চাটি সুস্থ এবং সুন্দর হয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও সবাই সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিতে পারেন কি? একেবারেই না। আজ এই প্রবন্ধে এমনই একজন মানুষের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে যিনি সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেননি। তবু সারা বিশ্বে তিনি নানা কারণে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তার এই জনপ্রিয়তার কারণ কি ছিল জানেন? কারণ ওই মানুষটির শারীরিক গঠন আর পাঁচ জনের মতো ছিল না। তার ছিল দুটোর জয়াগায় তিনটে পা, চারটে ব্রেস্ট এবং ২ টো ভ্যাজাইনা। এই অবস্থায় কীভাবে বেঁচেছিলেন তিনি? তার জীবনের এমনই কিছু ঘটনাবহুল অধ্যায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হল এই প্রবন্ধে।
তিনি জন্মেছিলেন ১৮৬০ সালে:
রেকর্ড ঘেঁটে জানা গেছে ব্লেনচে ডুমাস নামে ওই ফরাসি মহিলার জন্ম হয়েছিল ১৮৬০ সালে। তার বাবা ছিলেন ফরাসি, আর মা ছিলেন আফ্রিকান।
তার মতো শরীরের গঠন আজ পর্যন্ত কারও হয় নি:
ব্লনচে ডুমাস জন্মেছিলেন তিনটে পা, ৪ টো ব্রেস্ট নিয়ে। তৃতীয় পাটি ছিল শরীরের ককিজেনাস সংলগ্ন অংশে। আর স্বাভাবিক দুটি ব্রেস্টের সঙ্গে আরও যে দুটি ব্রেস্ট ছিল, সেগুলি শরীরের পিউবিক অঞ্চলে জায়গা করে নিয়েছিল।
এছাড়াও...
শরীরের এতগুলি অঙ্গের পাশপাশি তার ২ টো ভ্যাজাইনা এবং ২ টো ভাল্বও ছিল। ইতিহাসবিদদের বর্ণনা ঘেঁটে জানা গেছে পরর্বতি জীবনে ডুমাস যখন দেহ ব্য়বসায় নামেন তখন তিনি দুটি ভ্যাজাইনা কাজে লাগিয়ে তার কাছে আসা পুরুষদের অনন্দ দিতেন।
বইও লেখা হয়েছিল তার উপর:
যেমনটা আগেও বলেছি, এমন দৈহিক গঠন নিয়ে ব্লনচে ডুমাসের আগে না কেউ জন্মেছিল, না পরে। তাই সারা বিশ্বে আজও ব্লনচের শারীরিক গঠন নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। সে সময়ও তার এতগুলি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আলোচনা কম হত না। যার খবর এক সময় পৌঁছে গিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান লেখক বেচলিংগার পারার কানেও। তিনি সে সময় ঠিক করেন ব্লনচের উপর বই লেখার। সেই মতো শুরুও হয় কাজ। ব্লনচে ডুমাসের থেকে তার জীবনের সব ঘটনা জেনে নিয়ে লেখা হয় "হিউমেন ওডাটিস: এ বুক অব নেচার অ্যানোমেলিস" নামে বইটি।
বইটিতে কী লেখা ছিল?
লেখক তার বইটিতে ব্লনচের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু সেখানে এমন একটি বিতর্কিত বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছিল, যা ব্লনচের পাশপাশি বইটির জনপ্রিয়তাও রাতারাতি খুব বাড়িয়ে দিয়েছিল। কী ছিল সেই তথ্য? বেচলিংগার পারার তার বইটিতে লিখেছিল, ব্লনচের যৌন কামনা স্বাভাবিক মানুষের থেকে কয়েকগুণ বেশি ছিল, যে কারণে সে একই সময় একাধিক মানুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। তার যেহেতু দুটি ভ্যাজাইনা ছিল, তাই এমন কাজ করতে নাকি তার কোনও অসুবিধাই হত না।
এমনটাও বিশ্বাস করা হত যে:
একাধিক রোর্পোট দেখে এক সময় ইতিহাসবিধদের মনে হয়েছিল সে সময় ব্লনচের মতো এমন একজন পুরুষও ছিলেন, যার তিনটে পা এবং দুটি যৌনাঙ্গ ছিল এবং ব্লনচে নাকি ফ্রান্সিসকো ল্য়ানচিনি নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্কও স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে ব্লনচে, ফ্রান্সিসকোকে একটা চিঠিও লিখেছিলেন। যদিও এই দুজন কোনও দিন একে অপরের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি।