Just In
ভুলেও টিকটিকি মারা উচিত নয়, কেন জানেন?
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে টিকিটিক বেজায় শুভ। তাই তো বাড়িতে এই প্রাণীটি থাকলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে।
হিন্দু ধর্মই হল এমন একটি ধর্ম যার সঙ্গে প্রকৃতির যোগ বেজায় নিবিড়। তাই তো খেয়াল করে দেখবেন একমাত্র এদেশেই নদী, গাছ এমনকী নানাবিধ প্রাণীকে ভগবানের রূপ ভেবে পুজো করা হয়ে থাকে, যা আর ধর্মে করা হয় না। তাই তো গঙ্গা আমাদের কাছে শুধু নদী নয়, মমুক্তির আরেক পথ। একই কথাভাবে হিন্দু ধর্ণের সঙ্গে অশ্বত্থ গাছ এবং গরুর যোগকেও উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আসলে সনাতন হিন্দু ধর্ম আধ্যাত্মিক পথ ধরে প্রকৃতিকে বাঁচানোর প্রায়াস করে। এই কারণেই তো হিন্দু ধর্মে ভূ-ভারতের প্রতিটি নদীকে পবিত্র বলে বিবেচিত করা হয়েছে, একই কারণে টিকটিকিকে মেনে নেওয়া হয়েছে দেব-দেবীদের দূত হিসেবে। এই জন্যই তো হিন্দু ধর্ণের উপর লেখা প্রায় প্রতিটি বইয়ে টিকটিকিকে মারতে মানা করা হয়েছে।
আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান, টিকটিকদের মাধ্যমে তাঁর কথা ভক্তদের কান পর্যন্ত পৌঁছে দেন। শুধু তাই নয়, এমনও বিশ্বাস আছে যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় টিকটিকির ছোঁয়া লাগলে ভাল-মন্দ নানা ঘঠনা ঘটয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে টিকটিকি কীভাবে আমাদরে ভাগ্যকে প্রভাবিত করে থাকে, সে সম্পর্কে...
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে টিকিটিক বেজায় শুভ। তাই তো বাড়িতে এই প্রাণীটি থাকলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গুডলাক রোজের সঙ্গী হয়। আর এমনটা হলে একদিকে যেমন মাথা চাড়া দিয়ে ওটা বাঁধার পাহাড় সরে যেতে শুরু করে, তেমনি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে আমাদের দেশের বেশ কিছু জয়গায় এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় টিকটিকি পরলে নানা ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেমন ধরুন...
১. ঘাড়ের উপর টিকটিকি পরলে:
শাস্ত্র মতে ঘাড়ের ইতিউতি যদি টিকটিক হাঁটাহাঁটি করে, তাহলে জানবেন আপনার প্রতিপক্ষরা একে একে সব হার মানতে শুরু করবে। ফলে আপনার হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তি ফিরে আসতে সময় লাগবে না।
২.পায়ে ছোঁয়া লাগলে:
আপনি দাঁড়িয়ে আছেন, আর ঠিক ওই সময়ই হঠাৎ করে একটা টিকটিকি আপনার পায়ের উপর দিয়ে চলে গেল। এমনটা হলে ভয়ে আপনি যে লাফিয়ে উঠবেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! কিন্তু জানবেন এমনটা হলে ভাল কোনও খবর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩. মাথায় যদি টিকটকি পরে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মাথার উপর যদি টিকটিকি এসে পরে, তাহলে বুঝতে হবে কারও সঙ্গে আপনার ঝগড়া হতে চলেছে। তাই সেদিনটা একটু সাবধানে থাকবেন। প্রসঙ্গত, এমন ঘটনা ঘটলে মানসিক শান্তিও কিছু সময়ের জন্য দূরে পালায়। তাই তা এই সময় মনকে শান্ত রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।
৪. ডান হাতের উপর যদি পরে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হঠাৎ করে যদি টিকটিকি ডান হাতের উপর পরে, তাহলে গুডলাক রোজের সঙ্গী হয়। বিশেষত কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তাই অল্প সময়ে যদি পদন্নতি পেতে চান, তাহলে টিকটিকি দেখলে পালিয়ে যাবেন না যেন! বরং সরীসৃপটির ঠিক নিচে গিয়ে দাঁড়াবেন, পাছে সেটি আপনার হাতে এসে পরে।
৫. মুখের উপর পরলে:
একথা ঠিক যে হটাৎ করে আপনার মুখের উপর যদি একটা টিকটিকির ছানা এসে লাফিয়ে পরে, তাহলে ভয়ের চোটে অপনি অক্কাও যেতে পারেন, তবে শাস্ত্র মতে এমনটা হওয়া বেজায় শুভ! কারণ মুখের উপর টিকটিকি পরলে কোনও শুভ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়িতে কোনও অতিথি আসার সম্ভাবনাও থাকে। তাই এমনটা যদি কোনও দিন আপনার সঙ্গে ঘটে, তাহলে ভাল-মন্দ বানাতে ভুলবেন না যেন!
৬. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে:
অল্প সময়ে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন যদি দেখেন, তাহলে প্রর্থনা করুন আপনার পিঠের উপর পরে। কারণ বিশ্বাস করা হয়, এমনটা হলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের সম্ভাবনা বাড়ে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি পাওয়ার পথও প্রশস্ত হয়।
৭. চুলে যদি লাগে:
কোনওভাবে টাকটিকির শরীর যদি আপনার চুল ছুঁয়ে যায়, তাহলে জানবেন সুখের সময় আসতে চলেছে। কারণ শাস্ত্র মতে টিকটিকির শরীর চুলে লাগলে অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাদ পেতেও সময় লাগে না।
৮. মা লক্ষীর আগমণ ঘটে গৃহস্তে:
হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা বেশ কিছু বই অনুসারে বাড়িতে টিকটিকি থাকার অর্থ হল গৃহস্থের অন্দরে মা লক্ষ্মীর আগমণ ঘটে। আর বাড়িতে মায়ের আগমণ ঘটলে সুখ-শান্তির ছোঁয়া তো লাগেই। সেই সঙ্গে সব দিক থেকে উন্নতি লাভের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। তাই এবার থেকে টিকটিকিকে দেখলে ভাগিয়ে দেবেন না যেন!