Just In
সুখে-শান্তিতে থাকতে এবং নানাবিধ বিপদ এড়াতে ভুলেও রবিবার এই খাবারগুলি খাবেন না যেন!
রবিবার এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি খেলে সূর্য দেব বেজায় রেগে যান। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে মনোবল কমতে শুরু করে, এমনকি সমাজিক সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়
কথাটা কতটা সত্যি জানা নেই! তবে হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে রবিবার এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি খেলে সূর্য দেব বেজায় রেগে যান। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে মনোবল কমতে শুরু করে, এমনকি সমাজিক সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো বলি বন্ধু, সত্য-মিথ্যার জালে জড়িয়ে এমন ধরনাকে অবিশ্বাস করার সাহস দেখানো উচিত কি?
বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে নব গ্রহদের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী হল সূর্য দেব। আর তিনি প্রকৃতিতে বেজায় গরম প্রকৃতির। তাই তো ভুলেও সূর্যদেবকে চটানো উচিত নয়। বরং এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে চলার পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে উঠে স্নান সেরে সূর্য দেবকে জল নিবেদন করা উচিত। কারণ এমনটা নিয়মিত করতে পারলে, বিশেষত রবিবার, দারুন সব উপকার মেলে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে, সেই সঙ্গে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার উন্নতি ঘটে, কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে, বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে যায়, কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাদ পাওয়া যায় এবং অর্থনৈতির উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়। এক কথায় এ জীবনে সুখ-শান্তিতে থাকতে পার্থিব যা যা কিছুর প্রয়োজন, তা সবই মেলে সূর্য দেবকে আরাধনা করলে।
প্রসঙ্গত, রবিবার হল সূর্যদেবের দিন। তাই তো এদিন তাঁকে প্রসন্ন করতে যে যে খাবারগুলি এড়িয়ে চলা উচিত, সেগুলি হল...
১. মুসুর ডাল:
শুনে অবাক হয়ে গেলেন নিশ্চয়! কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে রবিবার এই ডালটি কোনওভাবেই খাওয়া চলবে না। কারণ এই ডালটি খেলে সূর্যদেব একেবারেই প্রসন্ন হন না। এমন কেন? আসলে এই ডালটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। তাই তো "দেব ভোগ" হিসেবে মুসুর ডাল পরিবেশন করা যায় না। আর যে খাবার দেবকে পরিবশন করা হয় না, তা আপনি কী করে খেতে পারেন বলুন! মোট কথা মুসুর ডালকে আমিষ খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। আর এমন খাবার ভগবানকে নিবেদন করা পাপ।
২. লাল শাক:
হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা বেশ কিছু বই অনুসারে লাল শাক হল মৃত্যুর প্রতীক। তাই তো রবিবার এই শাকটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়ে থাকে। কারণ সূর্য দেবের আশীর্বাদে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়াতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে লাল শাক খেলে পজেটিভ শক্তির জায়গা নেয় অশুভ শক্তি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
৩. রসুন:
শরীরকে ভিতর এবং বাইরে থেকে চাঙ্গা রাখতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু শাস্ত্রে এই প্রকৃতিক উপাদানকে আমিষ খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, রসুনের সঙ্গে নাকি খারাপ শক্তির যোগ রয়েছে। এই কারণেই ববিবার রসুন খেতে মানা করা হয়। প্রসঙ্গত, সূর্যদেবকে প্রসন্ন করতে পারলে যেখানে এত সুফল পাওয়া যায়, সেখানে আমিষ খাবার একদিন না খেলে যে খুব একটা ক্ষতি হয় না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৪. মাছ:
যে কারণে রসুন খাওয়া চলবে না। সেই একই কারণে সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে মাছ-মাংস বা কোনও ধরনের আমিষ খাবারকেও এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ রবিবার হল সূর্য দেবতার আরাধনা করার দিন। আর যেদিন আমরা দেবের পুজো করি, সেদিন আমিষ খাই কি?
৫. পেঁয়াজ:
বাঙালি সংস্কৃতিতে পেঁয়াজকেও আমিষ খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। তাই ভুলেও রবিবার এই সবজিটি খাওয়া চলবে না। মোট কথা রোববার সকালে উঠে স্নান সেরে সূর্য দেবকে জল নিবেদন করার পর থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত ভুলেও কোনও আমিষ খাবরকে ছোঁয়া যাবে না যেন!
একমাস, মানে চারটে রবিবার এই নিয়ম মেনে দেখুন না কোনও ফল পান কিনা! আর যদি না পান, তাহলে পুরনো নিয়মে ফিরে যাবেন।