Just In
- 28 min ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 16 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 17 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 20 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
Don't Miss
আপনার সঙ্গে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটুক এমনটা যদি না চান তাহলে সদর দরজায় এই জিনিসগুলি ঝোলাতে ভুলবেন না!
বাড়ির সদর দরজা দিয়েই প্রবেশ ঘটে খারাপ শক্তির। তাই মূল দরজায় যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত জিনিসগুলি ঝুলিয়ে রাখা যায়, তাহলে বাড়ির অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়াতে শুরু করে।
বাস্তুশাস্ত্র মতে আমরা সুখে থাকবো না দুঃখে, তা অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন ধরুন গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়ছে কিনা, সেদিকে নজর রাখা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এমনটা না হলে একদিকে যেমন নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, তেমনি হঠাৎ কোনও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও বাড়ে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হতেও সময় লাগে না।
এখন প্রশ্ন হল বাড়ির অন্দরে পজেটিভ শক্তি বাড়ছে, না কমছে তা বুঝে ওঠার ক্ষমতা তো আমাদের নেই। কিন্তু যেটা আমাদের হাতে আছে, তা হল গৃহস্থের অন্দরে কীভাবে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়ানো যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্যে করতে পারে এই প্রবন্ধ। আসলে এই লেখায় এমন একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল, যা হয়তো অনেকেই জানেন না। বিষয়টি হল আমাদের বাড়ির সদর দরজা দিয়েই প্রবেশ ঘটে খারাপ শক্তির। তাই মূল দরজায় যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত জিনিসগুলি ঝুলিয়ে রাখা যায়, তাহলে বাড়ির অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়াতে শুরু করে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন হ্রাস পায়, তেমনি গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়। ফলে কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাদ পেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি সুখ-শান্তি রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে।
প্রসঙ্গত, বাড়ির দরজায় যে যে জিনিসগুলি রাখা মাস্ট, সেগুলি হল...
১. সোয়াস্তিকা চিহ্ন:
বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়ির মূল দরজায় সোয়াস্তিকা চিহ্নের স্টিকার লাগালে পরিবারের উপর ভগবানের আশীর্বাদ বজায় থাকে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়। বিশেষত কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। শুধু তাই নয়, গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে প্রতিটা দিন সুন্দর হয়ে ওঠে।
২. কুবের দেবতার ছবি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সদর দরজায় ধনদেবতা কুবেরের ছবি লাগালে সেই পরিবার অর্থনৈতিক দিক থেকে বেজায় সমৃদ্ধি লাভ করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ফলে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন তো পূরণ হয়েই, সেই সঙ্গে রোগমুক্ত শরীর লাভের আশাও পূর্ণ হতেও সময় লাগে না।
৩.গণেশ এবং লক্ষী মার ছবি:
গৃহ প্রবেশের দিন বাড়ির দরজায় শ্রী গণেশ এবং মা লক্ষীর ছবি লাগাতে ভুলবেন না যেন! কারণ হিন্দু শাস্ত্র মতে মা লক্ষ্মী এবং গণেশের পুজো করে যদি নতুন জীবন শুরু করা যায়, তাহলে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, শাস্ত্রে এমনটাও উল্লেখ পাওয়া যায় যে মা লক্ষ্মী এবং গণেশ দেবের আশীর্বাদ পেলে মনের অন্দরে জায়গা করে নেওয়া যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না।
৪. সুন্দর পরিবেশ থাকা জরুরি:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির সদর দরজার সামনের জায়গা সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ এমনটা না করলে পরিবারের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
৫. সিঁড়ির সংখ্যা:
রাস্তা থেকে বাড়ির সদর দরজায় পৌঁছাতে যদি সাঁড়ি চরতে হয়, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যে সেই সিঁড়ির সংখ্যা যেন জোড় সংখ্যায় হয়। কারণ বাস্তুশাস্ত্র মতে এমনটা করলে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৬. ভাঙা বাড়ি:
আপনার বাড়ির সদর দরজা খুললেই যদি ভাঙা বাড়ি দেখতে পাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ এমনটা হলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ব্যাড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে প্রতি পদে বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। একই ঘটনা ঘটে যদি বাড়ির সামনে মাংসের দোকান থাকলেও!
৭. ছায়া যেন না পরে:
বাস্তুশাস্ত্রের নিয়মনীতি আপাত দৃষ্টিতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে এই নিয়মগুলি বেজায় সাহায্য করে কিন্তু! যেমন ধরুন এই শাস্ত্রে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির অন্দরে যদি পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটাতে হয়, তাহলে এমনভাবে সদর দরজা বানাতে হবে, যাতে তার উপর কোনও কিছুর ছায়া না পরে, এমনকি গাছেরও নয়। কারণ বাড়ির মূল দরজায় ছায়া পরলে কারার ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
৮. বাড়ির দরজায় যেন ফাটল না থাকে:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মূল দরজায় ফাটল থাকলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দূরে পালায়, সেই সঙ্গে সুখ-শান্তিও সেই ফাটল গলে বেরিয়ে যায়। ফলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে যে সময় লাগে না, তা বলাই বাহুল্য!