For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

রাশি অনুযায়ী মা লক্ষ্মীর কোন রূপের পুজো করলে চটজলদি বড়লোক হয়ে ওঠা যায় জানা আছে কি?

জানেন কি গৃহস্থে মা লক্ষ্মীর আগমণ ঘটাতে রাশি অনুযায়ী দেবীর কোন রূপকে জায়গা করে দিতে হবে আপনার ঠাকুর ঘরে?

|

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী মা লক্ষ্মী হলেন সমৃদ্ধি এবং অর্থের প্রতীক। তাই তো এমনটা বিশ্বাস করা হয়, যে গৃহস্থে মায়ের আগমণ ঘঠে, সেখানে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার, যেমন ধরুন...

১. মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়:

১. মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গৃহস্থে মায়ের আগমণ ঘটলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, যে কোনও লক্ষও পূরণ হয় চোখের পলকে।

২. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়:

২. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়:

শাস্ত্র মতে মায়ের আশীর্বাদ যখন কারও উপর পরে তখন শুধুমাত্র মন আনন্দে ভরে ওঠে না, সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে বাসা বেঁধে থাকা ছোট-বড় সব রোগই দূরে পালায়। ফলে রোগমুক্ত শরীরের স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।

৩. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:

৩. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গৃহস্থের অন্দরে মায়ের পায়ের ছাপ পরলে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অনেকে অনেক টাকায় পকেট ভরে ওঠে। ফলে অল্প সময়ে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয় চোখের পলকে।

৪. গৃহস্থের পরিবেশে পবিত্র হয়ে ওঠে:

৪. গৃহস্থের পরিবেশে পবিত্র হয়ে ওঠে:

বাড়িতে মায়ের পুজো শুরু করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে বাড়ির পরিবেশে পবিত্রতার ছোঁয়া লাগে, আর এমনটা হওয়া মাত্র বাড়ির অন্দরে যেমন মায়ের আগমণ ঘটে, তেমনি পিছু পিছু ধন দেবতা কুবেরেরও পায়ের ছাপ পরে গৃহস্থের অন্দরে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মী যেখানে থাকেন, সেখানে ধন দেবতাও থাকেন। আর একবার কুবের দেবের আশীর্বাদ লাভ করলে জীবন বদলে যেতে যেমন সময লাগে না, তেমনি অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

৫. পড়াশোনায় উন্নতি ঘটে:

৫. পড়াশোনায় উন্নতি ঘটে:

শাস্ত্র মতে প্রতিদিন মায়ের পাদুকার পুজো করলে বাচ্চাদের মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে পড়াশোনায় উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারের বাকি সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, যারা ব্যবসা করেন, তারা যদি তাদের অফিসে মায়ের পাদুক রাখতে পারেন, তাহলে ব্যবসায় উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।

৬. ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা কমে:

৬. ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা কমে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে মায়ের আর্শীর্বাদ লাভ করলে জীবনের প্রতিটি বাঁকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। আর বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত যখন ঠিক হয়, তখন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কী আর বলার অপেক্ষা রাখে।

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে এইসব উপকার তখনই মেলে যখন মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। তাই প্রশ্ন হল মাকে খুশি করা যায় কীভাবে? প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যেমন ধরুন...

১. ভগবান কুবেরের ছবি:

১. ভগবান কুবেরের ছবি:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে ধন দেবতা কবেরের ছবি রাখলে সেই গৃহস্থে মায়ের আগমণ ঘটতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন জীবনের ছবিটা যে নিমেষে বদলে যায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!

২. শ্রীফল:

২. শ্রীফল:

খেয়াল করে দেখবেন বাজারে ছোট ছোট সাইজের নারকেল পাওয়া যায়। এই বিশেষ ধরনের নারকেলকে শ্রীফল বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন যদি এই ধরনের নারকেলের পুজো করা যায়, তাহলে দেবী বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে গৃহস্থের অন্দরে মায়ের আগমণ ঘটতে সময় লাগে না।

৩. কড়ি:

৩. কড়ি:

শাস্ত্র মতে বাড়ির ঠাকুর ঘরে কয়েকটি কড়ি এনে রাখলে সেই পরিবারের উপর সারাক্ষণ মায়ের আশীর্বাদ থাকে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, অল্প সময়ে যদি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে হয়, তাহলে এই টোটকাটিকে বাস্তবায়িত করতে ভুলবেন না যেন!

মজার বিষয় কী জানেন, এই নিয়মগুলি মানলে মায়ের আশীর্বাদ মেলে ঠিকই। কিন্তু যদি চটজলদি সুফল পেতে চান, তাহলে রাশি অনুযায়ী মায়ের এক এক রূপের পুজো করতে হবে। তাহলে এখন প্রশ্ন হল গৃহস্থে মায়ের আগমণ ঘটাতে রাশি অনুযায়ী দেবীর কোন রূপকে জায়গা করে দিতে হবে আপনার ঠাকুর ঘরে?

১. মেষরাশি:

১. মেষরাশি:

এই রাশির জাতক-জাতিকাদের মা লক্ষ্মীর "রামা" স্বরূপ এর আরাধনা করতে হবে এবং প্রতিদিন জপ করতে হবে "আম শ্রী লক্ষ্মী দেবায়া নমহ", এই মন্ত্রটি। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে সুফল মিলতে দেখবেন সময় লাগবে না।

২. বৃষরাশি:

২. বৃষরাশি:

এদের আরাধনা করতে হবে মায়ের "মোহিনী" সরূপকে এবং পাঠ করতে হবে "আম শ্রিম হ্রিম শ্রিম কমলে কমলাল্যে প্রসিদা প্রাসিদ, শ্রিম হ্রিম শ্রিম মহালক্ষ্মী নমহঃ", এই মন্ত্রটি।

৩. মিথুনরাশি:

৩. মিথুনরাশি:

এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি চান অল্প দিনেই তাদের জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগুক, তাহলে মায়ের "পদ্মলক্ষ্মী" রূপের পুজো করতে হবে। আর নিয়মিত পাঠ করতে হবে "লক্ষ্মী চাল্লিশা"।

৪. কর্কটরাশি:

৪. কর্কটরাশি:

এই রাশির জাতক-জাতিকাদের নিয়মিত কনকধারা সোত্রা পাঠ করারা পাশাপাশি মায়ের "কমলা" রূপের পুজো করতে হবে। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহেল দেখবেন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগবে না।

৫. সিংহরাশি:

৫. সিংহরাশি:

এদের পুজো করতে হবে দেবীর "ক্রান্তিমতি" রূপের। আর নিয়মিত পাঠ করতে হবে "আম শ্রিম হ্রিম মহালাক্ষ্মী নমহ", এই মন্ত্রটি।

৬. কন্যারাশি:

৬. কন্যারাশি:

এই রাশির অধিকারীরা যদি প্রতিদিন মা লক্ষ্মীর "অপরাজিতা" স্বরূপের আরাধনা করতে পারেন, তাহলে সুফল মিলতে সময় লাগে না। আর মায়ের পুজো করার সময় এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল "আম মহালক্ষ্মী চ বিদমাহে, বিষ্ণুপত্নী চ ধিমহী। তন্মো লক্ষ্মী প্রাচোদায়াত!"

৭. তুলারাশি:

৭. তুলারাশি:

"আম মহালক্ষ্মী নমহঃ", এই মন্ত্রটি জপ করতে করতে তুলারাশির জাতক-জাতিকারা যদি নিয়মিত মায়ের "পদ্মবতী" রুপের আরাধনা করেন, তাহলে অল্প দিনেই দারুন সুফল মেলে।

৮. বৃশ্চিকরাশি:

৮. বৃশ্চিকরাশি:

এদের পুজো করতে হবে দেবীর "রাধা" স্বরূপের। আর পাঠ করতে হবে "শ্রী শুক্ত" মন্ত্র।

৯. ধনুরাশি:

৯. ধনুরাশি:

সুখে-শান্তিতে থাকতে এবং অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে ধনুরাশির অদিকারীদের মায়ের "বিশ্বলক্ষ্মী" রূপের পুজো করতে হবে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটা বিষয় জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল, মায়ের পুজো করার সময় যদি নিয়মিত হোমের আয়োজন করা যায় এবং তাতে ঘি এবং ড্রাই ফল নিবেদন করা যেতে পারে, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় সুফল মেলে।

১০. মকররাশি:

১০. মকররাশি:

মা লক্ষ্মীর যে মূর্তি সচরাচর পাওয়া যায়, তা বাড়িতে এনে প্রতিষ্টিত করে শুরু করতে হবে পুজো। সেই সঙ্গে আরাধনার সময় দেবীকে নিবেদন করতে হবে গোলাপের মালা।

১১. কুম্ভরাশি:

১১. কুম্ভরাশি:

এই রাশির জাতক-জাতিকাদের মা লক্ষ্মীর "রুক্মিনী" রূপের আরাধনা করতে হবে এবং পুজোর সাময় মাকে নিবেদন করতে হবে বেল ফল। তাহলেই দেখবেন মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগবে না।

১২. মীনরাশি:

১২. মীনরাশি:

এরা যদি দেবীর "বিলক্ষণা" রূপের পুজো করেন, তাহলে দারুন সব সুফল মেলার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।

Read more about: বিশ্ব
English summary

Which Form of Goddess Lakshmi Should You Worship As Per Moon Sign?

The lovely and inspirational Goddess, hence, is an integral part of the Hindu religion and culture. She embodies many divine qualities, and is worshipped and invoked on many occasions, including the most famous Hindu festival of Diwali (or Deepawali). Goddess is known to have many forms and as many as 1008 names, which are associated to her countless qualities and blessings. People celebrate and revere her in many ways, and here we bring you the Moon Sign wise division of some of the Goddess Lakshmi's Mantras and forms.
Story first published: Thursday, August 2, 2018, 13:08 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion