Just In
আপনার রাশি কি? আরে জেনে ফেলুন ঝটপট কারণ এমন কিছু খাবার আছে যা আপনার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়!
খাওয়া-দাওয়াও করতে হবে রাশি অনুসারে, না হলে শরীরে য়ে নানা রোগ বাসা বাঁধবে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!
শুনতে আজব লাগলেও একথা কোনও ভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয় যে আমাদের জীবনে খারাপ-ভাল যা কিছুই ঘটছে, তার সব কিছুর সঙ্গেই গ্রহ-নক্ষত্রের একটা সুদৃঢ় যোগ রয়েছে। তাই তো জীবন সংক্রান্ত যে কোনও পরক্ষেপ নেওয়ার আগে আপনার রাশির সঙ্গে সেই সিদ্ধান্ত খাপ খায় কিনা, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! শুধু কি তাই, খাওয়া-দাওয়াও করতে হবে রাশি অনুসারে, না হলে শরীরে য়ে নানা রোগ বাসা বাঁধবে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!
হ্যাঁ বন্ধু, একেবারেই ঠিক শুনেছেন! জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে যে ১২ টি রাশি রয়েছে, তার সবকটির সঙ্গেই কিছু না কিছু খাবারের সম্পর্কে বেজায় খারাপ। তাই তো বলি বন্ধু বাকি জীবনটা যদি সুস্থভাবে কাটাতে হয়, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রেখে জেনে নিন কোন কোন খাবার আপনার রাশির পরিপন্থী। না হলে কিন্তু...
১. মেষরাশি:
বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের ভুলেও কফি খাওয়া উচিত নয়। কারণ এদের গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান যা, তাতে এই পানীয়টি খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে আপনার যা চরিত্র তাতে জীবনকে যদি আকর্ষণীয় করে তুলতে হয়, তাহলে প্রতিদিন নানা স্বাদের খাবার খেতে ভুলবেন না যেন!
২. বৃষরাশি:
এরা বেজায় একগুঁয়ে গোছের হয়ে থাকেন। তাই তো নিজের ছাড়া আর কারও কথা শুনতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা একেবারেই পছন্দ করে না। বিশেষত খাবারের প্রসঙ্গে তো মোটেও নয়। তাই তো বলি বন্ধু, এদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হোক, এমনটা যদি না চান, তাহলে আপনার পছন্দের কোনও খাবার জোর করে বৃষরাশিদের খাওয়াতে যাবেন না যেন! তাতে কিন্তু বন্ধুত্বে ছেদ পরে যেতে পারে। তবে শরীরকে সুস্থ রাখতে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের কোনও খাবরই বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়! বিশেষত মিষ্টি জাতীয় খাবার।
৩. মিথুনরাশি:
জটিল সব রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধুক এমনটা যদি না চান, তাহলে যে খাবারে চিজ রয়েছে এমন পদ ভুলেও বেশি মাত্রায় খাবেন না যেন! এছাড়া বাকি সব কিছুই চলতে পারে!
৪. কর্কটরাশি:
এরা ঝাল খাবার খেতে যেমন পছন্দ করেন, তেমনি মিষ্টি জাতীয় খাবারও এদের বেজায় পছন্দের। কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখতে আপনাদের বেশি মাত্রায় ঝাল খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির সঙ্গে এই ধরনের খাবারের একেবারেই বন্ধুত্ব নেই। তাই তো কর্কটরাশির জাতক-জাতিকারা যদি বেশি মাত্রায় ঝাল-ঝাল খাবার খাওয়া শুরু করেন, তাহলে কিন্তু শরীরের উপর নানারোগের আক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৫. সিংহরাশি:
নানা স্বাদের খাবার খেতে আপনারা বেজায় ভালবাসেন, কি তাই তো? তবে বন্ধু যে খাবারই খান না কেন, কর্কটরাশির মতো আপনারও কিন্তু যতটা সম্ভব ঝাল খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। না হলে কিন্তু...
৬. কন্যারাশি:
আপনাদের যা চরিত্র তাতে সোজ-সাপটা বাড়ির খাবারই আপনাদের পছন্দের লিস্টে একেবারে উপরের দিকে থাকে, যা একদিকে বেজায় ভাল অভ্যাস। তবে খাবার-দাওয়ারের বিষয়ে একটা জিনিসই আপনাদের মাথায় রাখতে হবে, তা হল ভুলেও ভাজাভুজি জাতীয় খাবার, বিশেষত জাঙ্ক ফুড বেশি মাত্রায় খাওয়া চলবে না! কারণ এমন খাবারের সঙ্গে আপনার রাশির সম্পর্কটা এতেবারেই ভল নয়।
৭. তুলারাশি:
কম করে ৬০-৭০ বছর বাঁচতে চান কি? তাহলে পিৎজা এবং চিকেন উইংসের মতো খাবার যতটা সম্ভাব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। পরিবর্তে বেশি করে খাবেন বাড়িতে তৈরি খাবার। তবে মিষ্টি জাতীয় খাবার যেহেতু আপনার বেজায় পছন্দের, তাই রোজ অল্প-বিস্তর মিষ্টি খাওয়া চলতেই পারে।
৮. বৃশ্চিকরাশি:
আপনাদের এড়িয়ে চলতে হবে পাঁঠার মাংস। কারণ এই খাবারটির সঙ্গে আপনার রাশির সম্পর্কটা একেবারই ভাল নয়। তাই তো বেশি মাত্রায় রেড মিট খাওয়া শুরু করলে শরীর ভাঙতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, মাংসের পরিবর্তে নিরামিষ খাবার খাওয়া শুরু করতে পারেন, বিশেষত স্যুপ। আর যদি এমনটা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন ছোট-বড় কোনও রোগই আপনার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
৯. ধনুরাশি:
মধু, কলা এবং ওটসমিলের মতো খাবার ভুলেও ছোঁয়া যাবে না। বরং বেশি করে খাওয়া শুরু করতে হবে বেদানা, দই এবং ডার্ক চকোলেটের মতো খাবার। এই উপদেশটা মানলে শরীর তো সুস্থ থাকবেই, সেই সঙ্গে মন-মেজাজও চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
১০. মকররাশি:
এরা এমনিতেই সমঝে খাবার খান। তাই তো শরীর নিয়ে চিন্তা করার আপনাদের কাছে কোনও কারণ নেই। তবে রাশি অনুসারে আপনাদের কেমন খাবার খাওয়া উচিত, এই প্রশ্ন যদি করেন, তাহলে বলতে হয় সবুজ শাক-সবজি আপনাদের জন্য বেজায় উপকারি খাবার। তাই সম্ভব হলে প্রতিদিন শাক-সবজি থাওয়া শুরু করুন, তবে কম খাওয়া চেষ্টা করুন মাত্রাতিরিক্ত হারে প্রোটিন রয়েছে এমন খাবার।
১১. কুম্ভরাশি:
শরীর এবং মনকে চাঙ্গা রাখতে আপনাদের বেশি করে খেতে হবে মাছ, লেবু এবং ডার্ক টকোলেটের মতো খাবার। আর এড়িয়ে চলতে হবে কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং সোডা।
১২. মীনরাশি:
বিশেষজ্ঞদের মতে এদের নানাবিধ ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার যোগ রয়েছে। তাই তো মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াবে এমন খাবার মীনরাশির জাতক-জাকতিকাদের বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত। যেমন ধরুন অ্যাভোকাডো, ব্রকলি, মাছ এবং জাম প্রভৃতি। আর এড়িয়ে চলতে হবে ঝাল জাতীয় খাবার। তাহলেই দেখবেন কোনও রোগই আপনাকে ছুঁতে পারবে না।