For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

বাড়ির এই জায়গায় লাফিং বুদ্ধার মূর্তি রাখলে দেখবেন দুঃখ আপনাকে ছুঁতে পর্যন্ত পারবে না!

কেউ গিফ্ট হিসেবে পেয়ে থাকেন। কেউ কেউ তো নিজে কিনেই বাড়ির উতি-উতি সাজিয়ে রাখেন। কিন্তু বেশিরভাগই জানেন না বাড়ির কোন অংশে লাফিং বুদ্ধার মূর্তি রাখা উচিত।

|

কেউ গিফ্ট হিসেবে পেয়ে থাকেন। কেউ কেউ তো নিজে কিনেই বাড়ির উতি-উতি সাজিয়ে রাখেন। কিন্তু বেশিরভাগই জানেন না বাড়ির কোন অংশে লাফিং বুদ্ধার মূর্তি রাখা উচিত এবং এই সব জয়গায় এই মূর্তিটিকে রাখলে কী কী উপকার মিলতে পারে। তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।

হ্যাঁ বন্ধু! একেবারেই ঠিক শুনেছেন। ফেংশুই বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির নির্দিষ্ট কতগুলি জায়গায় এই মূর্তিটি রাখলে যে কোনও ধরনের দুঃখ কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনের মণিকোঠায় লুকিয়ে থাকা সব স্বপ্নও পূরণ হয়। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির মূল ফটকের দিকে মুখ করে যদি লাফিং বুদ্ধরে মূর্তি রাখা যায়, তাহলে নাকি খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়। ফলে পরিবারের কারও কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে। তবে এখানই শেষ নয়, প্রায় ১০০০ বছর আগে জন্ম নেওয়া এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর মূর্তি বাড়িতে রাখলে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে সেই সব উপকার পেতে কোথায় কোথায় রাখতে হবে লাফিং বুদ্ধের মূর্তি, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা সুখে-শান্তিতে কাটুক, এমনটা যদি চান, তাহলে এই লেখায় চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!

লাফিং বুদ্ধাকে যদি বাড়ির পূর্বদিকে রাখা হয়:

লাফিং বুদ্ধাকে যদি বাড়ির পূর্বদিকে রাখা হয়:

ফেংশুই বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির পূর্ব কোণে এই মূর্তিটি রাখলে গৃহস্থে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের বিবাদ বা কলগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই তো বলি বন্ধু, পরিবারের সবাইকে নিয়ে যদি বাকি জীবনটা সুখে-শান্তিতে কাটাতে চান, তাহলে আজই একটা লাফিং বুদ্ধার মূর্তি কিনে এনে বাড়ির পূর্ব দিকে রাখতে ভুলবেন না যেন!

আর যদি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখা হয়:

আর যদি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখা হয়:

বাড়ির এই নির্দিষ্ট অংশে যদি লাফিং বুদ্ধার মূর্তি রাখেন, তাহলে খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। তবে এখানেই শেষ নয়, ফেংশুই বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির পূর্ব দিকে এমন মূর্তি রাখলে আরও বেশ কিছু উপকার মেলে। যেমন ধরুন- মানসিক অবসাদ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মানসিক চিন্তাও দূরে পালায়। শুধু তাই নয়, শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগেই ধারে কাছে আসতে পারে না।

রাখতে পারেন অফিস ডেস্কেও:

রাখতে পারেন অফিস ডেস্কেও:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অফিস ডেস্কে লাফিং বুদ্ধার মূর্তি রাখলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ প্রশস্থ হয়। সে সঙ্গে ব্রেন পাওয়ারও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তাই তো বাচ্চাদের পড়ার জায়গায় এমন মূর্তি রাখলে পরীক্ষায় ভাল ফল হওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।

এখন প্রশ্ন হল, লাফিং বুদ্ধা তো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, তাহলে কেমন মূর্তি রাখতে হবে বাড়িতে?

১. লাফিং বুদ্ধা এবং বাচ্চারা:

১. লাফিং বুদ্ধা এবং বাচ্চারা:

এমন মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে সারা গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি গুডলাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে।

২. লাফিং বুদ্ধার হাতে বাটি:

২. লাফিং বুদ্ধার হাতে বাটি:

ফেংশুই বিশেষজ্ঞদের মতে এমন মূর্তিটি বাড়িতে এনে রাখলে আধ্যাত্মিক চেতনার বিকাশ ঘটে। ফলে মন শান্ত হয়, সেই সঙ্গে নানাবিধ চিন্তাও দূরে পালায়।

৩. বুদ্ধার হাতে পাখা:

৩. বুদ্ধার হাতে পাখা:

এমন বিশ্বাস রয়েছে যে এই ধরনের মূর্তি বাড়িতে রাখার অর্থ হল দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। ফলে জীবন অনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগবে না।

৪. লাফিং বুদ্ধার হাতে ব্যাগ:

৪. লাফিং বুদ্ধার হাতে ব্যাগ:

ফেংশুইয়ের উপর লেখা বেশ কিছু বই অনুসারে এমন ধরনের লাফিং বুদ্ধের মূর্তি বাড়ির ড্রয়িং রুমে এনে রাখলে দুঃখ তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। এমনকী খারাপ সময়ও কেটে যায়। তবে বন্ধু বাড়িতে লাফিং বুদ্ধার মূর্তি এনে রাখলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এইসব নিয়মগুলি না মানলে কিন্তু কিছুই ফল পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি, সেগুলি হল...

১. বৌদ্ধধর্মানুসারে লাফিং বুদ্ধা ছিলেন একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। তাই তো তার মূর্তি বেজায় যত্নে রাখা উচিত। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখা উচিত তাঁর সম্মান যেন কোনওভাবে ক্ষুন্ন না হয়।

২. লাফিং বুদ্ধার মূর্তি এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে তা সব সময় চোখের সমান্তরালে থাকে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিচে তাকিয়ে যদি এমন মূর্তি দেখতে হয়, তাহলে নাকি কোনও উপকারই মেলে না।

৩. ভুলেও লাফিং বুদ্ধাকে টিভি, রেডিও বা কোনও ধরনের ইলেকট্রনিক গুডসের পাশে রাখা চলবে না।

৪. বেশ কিছু ধর্মে লাফিং বুদ্ধাকে যেহেতু ভগবান হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। তাই ভুলেও মাটিতে কখনও এই মূর্তি রাখা যাবে না। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মূর্তি মাটিতে রাখলে কোনওএ ফল তো মেলেই না, উল্টে নানাবিধ বিপদ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

Read more about: বিশ্ব
English summary

Where should you place a Laughing Buddha at home

Laughing Buddha statues and dolls are some of the finest things to keep at home as a matter of bringing good luck, avert misfortune and also increase the overall ambience and happiness in homes. The very pleasing look of laughing Buddha is highly entertaining and alleviating the stress and sorrows in life. These are some useful tips to consider while placing the laughing Buddha at homes. Depending on your conditions and expectations, you may choose where to place him.
Story first published: Friday, August 31, 2018, 15:33 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion