Just In
- 11 min ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 2 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 2 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 19 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
জানেন কি ঘুমনোর সময়কার পজিশন দেখে বলে দেওয়া সম্ভব যে কোনও মানুষের চরিত্র সম্পর্কে!
ঘুমনোর সময়কার শরীরের পজিশন দেখে ধারণা করে নেওয়া সম্ভব কোনও মানুষের মনের অন্দরে কী চলছে, সে সম্পর্কে।
না না ভুল শোনেননি! সত্যিই ঘুমনোর সময়কার শরীরের পজিশন দেখে ধারণা করে নেওয়া সম্ভব কোনও মানুষের মনের অন্দরে কী চলছে, সে সম্পর্কে। আসলে বছরের পর বছর ধরে এই বিষয়টির উপর একাধিক গবেষণা হয়েছে, তাতেই এমন সব তত্য় উঠে এসেছে, যা বাস্তবিকই চমকপ্রদ। তাই তো এই প্রবন্ধে সেই সব অবাক করা তথ্য়ের কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করা হল।
বেশ কয়েক বছর ধরে সারা বিশ্বের নামকরা সাইকোলজিস্ট এবং স্লিপ সায়েন্টিস্টরা হাত মিলিয়ে এই গবেষণাটি চালিয়েছিলেন। তাতে দেখা গেছে সাধারণত আমরা ৬ রকম ভাবে শুয়ে থাকি এবং প্রত্যেকটি পশ্চারের সঙ্গে মানুষের স্বাভাবের একটা যোগ রয়েছে। যেমন ধরুন...
১. দা ফেটাল পজিশন:
এ আবার কেমন পজিশন বন্ধু? খেয়াল করে দেখবেন ঘুমনোর সময় অনেকেই বুকের কাছে হাঁটু এনে স্বপ্নের জগতে চলে যান। এই পজিশনটিকে ফেটাল পজিশন বলা হয়ে থাকে। বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ স্লিপ বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যারা এইভাবে ঘুমতে পছন্দ করেন, তারা নিজেদের একটি কাল্পনিক কবজের মধ্যে রাখতে পছন্দ করেন। অর্থাৎ মনের কথা এরা সচরাচর কারও সঙ্গে শেয়ার করেন না। কেন এরা এমনটা করেন জানেন? আসলে এমন মানুষেরা মন থেকে খুব নরম প্রকৃতির হন, তাই তো পাছে কেউ আঘাত করে বসে, এই ভয়ে এরা মনের দরজা কারও জন্যই খুলতে চান না। প্রসঙ্গত, এরা বেশ লাজুক প্রকৃতিরও হয়ে থাকেন।
২. দা লগ:
লগ কথার অর্থ হল গাছের গুঁড়ি। যারা সারা রাত কোনও একটা দিকে ফিরে একদম সোজা ভাবে, অনেকটা গাছের গুঁড়ির মতো ঘুমান, তাদের চরিত্র বেজায় ফ্রেন্ডলি গোছের হয়। অর্থাৎ এরা মানুষের সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারেন। এক কথায় কেয়ার ফ্রি লাইফ বাঁচতে এরা বেজায় পছন্দ করেন। তাই তো সোসাল সার্কেলে এরা বেশ জনপ্রিয়তা পান। তবে এদের চরিত্রের একটাই দুর্বল দিক রয়েছে, তা হল এরা সহজেই কাউকে বিশ্বাস করে ফেলেন। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে অনেকেই এদের ঠকিয়ে থাকেন। যদি সে নিয়ে এরা একেবারেই খুব একটা ভাবতে চান না।
৩. দা ইয়ারনার পজিশন:
এক্ষেত্রে শরীর কোনও একটা দিকে থাকে, আর হাত থাকে সামনের দিকে স্ট্রেচ করা অবস্থায়। অর্থাৎ কেউ পাশ ফিরে শুয়ে মুখের সমান্তরাল পজিশনে হাত দুটি রেখে ঘুমলে জানবেন সেই মানুষটি বেজায় জটিল প্রকৃতির। শুধু তাই নয়, এরা যেমন কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে চান না, তেমনি কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও বেশ সময় নেন। তবে একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে তা থেকে সহজে পিচু হাঁটেন না।
৪. দা সোলজার পজিশন:
আর্মি পার্সেনরা সাবধান পজিশনে যেভাবে দাঁড়ান, ঠিকই একই পশ্চারে যারা ঘুমোন, তারা খুব শান্ত এবং কম কথা বলতে ভালবাসেন! শুধু তাই নয়, এরা বেশ কিছু নীতি মেনে জীবন পথে এগতে চান। সেই নীতির বাইরে বেরতে যেমন এরা পছন্দ করেন না, তেমনি এমন মানুষদের সঙ্গে যারা থাকেন, তারাও যাতে একই নিয়ম মেনে চলেন, সেদিকেও এদের সরাক্ষণ নজর থাকে। মধ্যা কথা এরা বেজায় বোরিং প্রকৃতির মানুষ হন।
৫. ফ্রিফলার পজিশন:
ইউটিউবে কখনও ফ্রি ফল-এর ভিডিয়ো দেখছেন? যদি না দেখে থাকেন, তাহলে আজই এক ঝলক দেখে নিন। কারণ কেউ কেউ ঠিক একই রকমভাবে ঘুমিয়ে থাকেন। এই পজিশনে শুতে গেলে পেটের উপর চাপ দিয়ে শুতে হয়, আর হাতের তালু থাকে মুখের নিচে। আর পা কোনও সময় ভাঁজ করা অবস্থায় থাকে, তো কখনও সোজা অবস্থায়। এমনভাবে ঘুমতে যারা পছন্দ করেন, তারা সাধারণত খুব মন খোলা প্রকৃতির হন। অচেনা মানুষদের সঙ্গে মিশতে এরা খুব পছন্দ করেন। শুধু তাই নয়, মন খুলে কীভাবে বাঁচতে হয়, তা এই মানুষদের থেকে বেশি ভাল রকমভাবে আর কেউ জানে বলে তো মনে হয় না। তবে এরা কিন্তু নিজের সমালোচনা একেবারে নিতে পারেন না। তাই এমন মানুষদের বিপক্ষে কিছু বলার আগে কয়েকবার ভেবে নেবেন কিন্তু!
৬. দা স্টারফিশ পজিশন:
হাত দুটো উপরের দিকে, আর দু পায়ের মধ্যে কয়েক কিলোমিটারের ফাঁক, দেখে অনেকটা স্টারফিশের মতো মনে হয়। এমনভাবে যারা ঘুমতে পছন্দ করেন তারা বিপদের সময় যে কাউকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। তবে কেউ এমন মানসিকতার জন্য় এদের গুণগান গাক, এমনটা এরা একেবারেই পছন্দ করেন না।