Just In
বাজারে এল শুধু নাক ঢাকা মাস্ক! দক্ষিণ কোরিয়ার এই আজব মাস্ক নিয়ে সরগরম নেটদুনিয়া
করোনা অতিমারীর কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পাকাপোক্তভাবে জায়গা করে নিয়েছে মাস্ক। গত দু'বছর ধরে মাস্কের ব্যবহার বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। অতিমারীকে রুখতে এখন মাস্কই প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দু'বছরে মাস্কের রকমফেরও তাক লাগিয়েছে। N95, সার্জিক্যাল, কাপড়ের মাস্ক ছাড়াও আরও নানান রকমের মাস্ক মার্কেটে বিদ্যমান। কিন্তু এবার সব মাস্ককে পিছনে ফেলে সকলের নজরে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মাস্ক, যার নাম 'কোস্ক'। নয়া এই মাস্ককে নিয়ে এখন বিতর্কে সরগরম নেট ভুবন।
মাস্ক বলতে আমরা নাক-মুখ ঢেকে রাখা মাস্কই বুঝি। সাধারণ মাস্ক পরে থাকা অবস্থায় খাওয়াদাওয়া করা যায় না, খাওয়ার সময়ে সেটি খুলে রাখতে হয়। কিন্তু এই মাস্ক পরে থাকলেও দিব্যি খাওয়াদাওয়া করা যাবে। কোনও অসুবিধাই হবে না। তবে কেবলই কি খাওয়া দাওয়া? ঠোঁটে নির্ঝঞ্ঝাটে লিপস্টিকও লাগাতে পারবেন সুন্দরীরা।
কী এই 'কোস্ক' মাস্ক?
এটি আসলে একটি নাকঢাকা মাস্ক। এতে নাকের অংশটি কেবল ঢাকা থাকে, আর মুখ খোলা থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাটম্যান নামে একটি সংস্থা তৈরি করেছে এই অদ্ভুত মাস্কটি। কোরিয়ান ভাষায় 'কো' মানে নাক। 'কো' আর 'মাস্ক' মিলে হয়েছে 'কোস্ক'।
যদিও আর পাঁচটা মাস্কের মতো এটিও আপনার নাক আর মুখ দুই ঢেকে রাখতে পারে, কিন্তু কিছু খাওয়ার সময় কোস্ক ভাঁজ করে শুধুমাত্র নাক ঢেকে রাখতে পারবেন আপনি। এর ভিতরে একটি অংশ রয়েছে, যেটি ভাঁজ করে রাখা থাকে। দরকার হলে সেটি খুলে নিয়ে মুখও ঢেকে রাখা যায়।
অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে 'কোস্ক'
একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মিলছে এই কোস্ক। এটিকে বলা হচ্ছে KF80 মাস্ক। এখানে KF বলতে 'কোরিয়ান ফিল্টার'। দাবি করা হচ্ছে যে, ০.৩ মাইক্রন পর্যন্ত খুদে জীবাণুদেরও ৮০ শতাংশ পর্যন্ত রুখতে সক্ষম এই মাস্ক।
এই অদ্ভুত মাস্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ এই মাস্কের নকশা এবং ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার কেউ কেউ কোভিড থেকে বাঁচাতে কোস্ক কতটা কার্যকরী তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে আবার এটাও মনে করছেন, সত্যিকারের কোনও কাজে লাগবে না এটি, বরং মজা করেই বানানো হয়েছে মাস্কটি।
অনেকের মতে, এই মাস্কে যেহেতু মুখ খোলা থাকে তাই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। সুতরাং এমন মাস্ক পরা আর না পরার মধ্যে কোনও তফাত নেই। আবার অনেকে বলছেন, এটি দরকার মতো খুলে মুখও ঢেকে রাখা যায়। আর খাবার খাওয়ার সময়ে তো নাকটুকু ঢাকা থাকছেই। ফলে দু'টো কাজই একসঙ্গে হয়। কিছুটা হলেও অতিরিক্ত সুরক্ষা পাওয়া যাচ্ছে এই মাস্তেক, যা অন্য মাস্কে পাওয়া যায় না।