Just In
হঠাৎ করে কোনও বিপদ ঘটুক, এমনটা চান না নিশ্চয়? তাহলে বাড়ির সদর দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলাননি কেন?
বাস্তুশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাদের মতো এই টোটকাটিকে কাজে লাগালে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
সেই ছোটবেলা থেকেই নানা দোকানে তো বটেই এমনকী অনেকের বাড়ির সদর দরজাতেও লেবু-লঙ্কা জোলাতে দেখে এসেছি। এমনকী এও শুনেছি যে কারও ব্যবহার করা লেবু-লঙ্কা রাস্তায় পরে থাকলে তা যেন ভুল কেউ না মারায়। কারণ এমনটা করলে নাকি নানাবিধ বিবপদ ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
সেই ছোট বাচ্চাটা আজ ২৫ বছরের যুবক। কিন্তু একটা প্রশ্ন এখনও সঙ্গ ছাড়েনি, কেন সবাই দোকান এবং বাড়ির মূল দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলান? যারা বাস্তুশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাদের মতো এই টোটকাটিকে কাজে লাগালে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই মেলে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তবে তার আগে আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন যে অনেকের কাছেই অন্ধবিশ্বাস হিসেবে পরিচিত এই টোটকাটিকে কাজে লাগালে যে বাস্তবিকই কিছু উপকার পাওয়া যায়, সে কথা বিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে। তাই তো বলি বন্ধু জীবনের আগামী সময়কে যদি নিরাপদ করতে হয়, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, বাড়ি বা দোকানের সদর দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলালে সাধারণত যে যে বিপদগুলি থেকে বেঁচে থাকা যায়, সেগুলি হল...
১. গৃহস্থে অলক্ষীর প্রবেশ ঘটার আশঙ্কা কমে:
শাস্ত্র মতে কারও বাড়িতে মা লক্ষ্মীর প্রবেশ ঘটলে সেই পরিবারের জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। কিন্তু মা লক্ষ্মীর জয়গায় যদি তাঁর বোন অলক্ষ্মী কারও বাড়িতে প্রবেশ করে যায়, তাহলে কিন্তু মারাত্মক বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় খারাপ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয়। তবে এমন ক্ষতির হাত থেকে কিন্তু বেঁচে থাকা সম্ভব, যদি বাড়ির মূল দরজায় লেবুর সঙ্গে সাতটি লঙ্কা ঝোলানো হয় তো। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অলক্ষ্মী, ঝাল জাতীয় খাবার বেজয় পছন্দ করেন। তাই তো লেবু-লঙ্কা ঝোলালে বাড়ির দরজায় এসে মা লক্ষ্মীর বোন থেমে যান, কারণ সেখান থেকেই তিনি খাবার খেয়ে উল্টো মুখে ফিরে যান। ফলে বাড়ির অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটার সম্ভাবনা যায় কমে।
২. কালো দৃষ্টির প্রভাব কমে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলালে কারও খারাপ দৃষ্টির প্রভাবে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কারণ লেবু-লঙ্কার প্রভাবে খারাপ শক্তি ঘরের ভিতরে প্রবেশই করতে পারে না। তাই তো বলি বন্ধু, আজকের প্রতিযোগিতাময় দুনিয়ায় য়েখানে সবাই সামনের জনকে মেরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা লেগে রয়েছে, সেখানে নিজেকে এমন খারাপ শক্তির হাত থেকে বাঁচাতে যে এমন ঘরোয়া টোটকাকে কাজে লাগানো মাস্ট, সে বিষয়ে নিশ্চয় আর কোনও সন্দেহ নেই!
৩. ভূত-প্রেতেরা দূরে পালায়:
এই ধরণা কতটা বাস্তবসম্মত জানা নেই, তবে এদেশের অনেক জায়গাতেই এমনটা বিশ্বাস রয়েছে যে বাড়ির মূল ফটকে একটা সাদা সুতোর সাহায্যে লেবু-লঙ্কা ঝোলালে ভূতের খপ্পরে পরার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তবে আদতে এমনটা হয় কিনা তা যদিও জানা নেই।
৪. রোগ-ব্যাধির প্রকোপ কমে:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! বাস্তবিকই বাড়ির সদর দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলালে অনেক রোগই দূরে পালা। কারণ লেবু এবং লঙ্কাতে উপস্থিত ভিটামনি সি সহ আরও নানাবিধ উপকারি উপদান বাতাসে মিশে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ফলে দেহের অন্দরের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৫. পোকা-মাকড় দূরে থাকে:
সম্প্রতি হওয়া বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে যে সুতোর সাহায্যে লেবু এবং লঙ্কা ঝোলানো হয়, তা ধীরে ধীরে লেবুতে উপস্থিত নানাবিধ অ্যাসিডকে শুষে নেয়। ফলে সেই সব অ্যাসিডের গন্ধে পোকা-মাকড়দের বাড়ির অন্দরে প্রবেশ একেবারে আটকে যায়। ফলে পোকা-মাকড়দের উপদ্রবে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নানাবিধ রোগ-ব্যাধির মার থেকে সুরক্ষিত রাখতে লেবু আর লঙ্কাকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, বাড়ির সদর দরজার লেবু-লঙ্কা ঝোলালে যে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায় সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এই টোটকাটিকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি যদি ঘরের প্রতিটি কোণায় লেবু কেটে রাখতে পারেন, তাহলে কিন্তু আর বেশি মাত্রায় উপকার মেলে। যেমন ধরুন...
১. সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে পরিবারে:
সুখে-শান্তিতে থাকতে কে না চায় বলুন! কিন্তু শত চেষ্টা করেও যে সেই স্বপ্ন অনেকে পূরণ করতে পারেন না। তবে আর চিন্তা নেই! কারণ আজ এমন এক মহৌষধি সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি, যাকে কাজে লাগালে গৃহস্থের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করবে যে নেগেটিভ শক্তি দূরে পালাবে। ফলে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে পরিবারে। শুধু তাই নয়, গুড লাকও রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে। ফলে জীবনের ছবিটা মনোরম হয়ে উঠতে যে সময় লাগবে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
২. বাস্তু দোষ কেটে যায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কারও বাড়িতে যদি বাস্তু দোষ থাকে, তাহলে নানবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। শুধু তাই নয়, পরিবারে অশান্তির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। আর সবথেকে চিন্তার বিষয় হল কারও বাড়িতে এমন দোশ আছে কিনা তা জেনে ওটাও সম্ভব নয়। তাই তো প্রায় সবারই বাড়িতে লেবু রাখা উচিত। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে একটা পাতি লেবুকে চার টুকরো করে একটা প্লেটে রেখে তার চারিপাশে চাল দিয়ে একটা বৃত্ত বানিয়ে যদি প্লেটটিকে শোয়ার ঘরের বিছানার নিচে রাখা যায়, তাহলে বাস্তু দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, প্রর পর তিনদিন ফ্রেশ লেবু থালায় রেখে তা যদি বিছানার নিচে রাখতে পারেন, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়া যায়।
৩. অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে লোকের কুনজর এবং অশুভ শক্তির প্রভাবে অনেক সময়ই এমন পরিস্থিতি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে যার প্রভাবে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় থাকে, সেই সঙ্গে পকেট খালি হয়ে যেতেও সময় লাগে না। এমন অবস্থায় একটি লেবুকে চার চুকরো করে ঘরের চার কোনায় রেখে দিন। দেখবেন অবস্থার উন্নতি ঘটতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পাবে যে অনেক অনেক টাকার মলিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে দেখবেন সময় লাগবে না।
৪. কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়:
অফিসে চটজলদি পদন্নতি লাভ করতে চান নাকি? উত্তরটা যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে ৯টা লেবু একটি সেরেমিক পাত্রে রেখে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, মাইনেও বাড়বে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, মনের মতো চাকরির সন্ধান করছেন যারা, তারাও এই টোটকাটিকে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। সুফল যে মিলবে, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
৫. বৈবাহিক জীবন আনন্দে ভরে ওঠে:
শাস্ত্র মতে একটি মাঝারি মাপের পাত্রে জল নিয়ে তাতে তিনটি লেবু ফেলে যদি শোয়ার ঘরে রাখা যায়, তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই নয়, স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ভালবাসার মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে আনন্দে ভরে ওঠে সংসার।