Just In
- 17 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 18 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 20 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 23 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
ডান হাতের তালুতে তিনটে রেখা মিলে যদি ত্রিভুজের মতো অবয়ব সৃষ্টি করে তাহলে কিন্তু...!
হস্তরেখা নিয়ে যারা চর্চা করেন তাদের মতে অনেকেরই ডান হাতের তালুতে ত্রিভুজের মতো চিহ্ন থাকে, যা অনেক সময় খালি চোখে দেখা না গেলেও আতস কাঁচ দিয়ে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করলে তবে চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
তাহলে কী? বলুন তাড়াতাড়ি ভয় লাগছে যে! আসলে আমারও ডান হাতের তালুতে বেশ কয়েকটা ত্রিভুজ রয়েছে। তাহলে কি কোনও ক্ষতি হতে পারে? আরে না না বন্ধু! ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই! বরং বেশি কিছু সুফল মিলবে, একথা হলফ করে বলতে পারি। তবে কী সেই সুফল মিলবে, সে সম্পর্কে জানতে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
হস্তরেখা নিয়ে যারা চর্চা করেন তাদের মতে অনেকেরই ডান হাতের তালুতে ত্রিভুজের মতো চিহ্ন থাকে, যা অনেক সময় খালি চোখে দেখা না গেলেও আতস কাঁচ দিয়ে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করলে তবে চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আর জেনে রাখা ভাল যে, এমন রেখা যাদের হাতে থাকা, তারা বেজায় ভাগ্যবান। কারণ...
১. হাতের তালুর একেবারে মাঝামাঝি থাকলে:
বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের ডান হাতের তালুর একেবারে মাঝামাঝি ত্রিভুজের মতো চিহ্ন থাকে, তাদের জীবনে খারাপ সময় আসার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, গুড লাক সঙ্গে থাকার কারণে এদের কোনও ধরনের বিপদে পরার আশঙ্কা যেমন কম থাকে, তেমনি মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সামাজিক এবং কর্মক্ষেত্রে সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তবে এখানেই শেষ নয়, হাতের তালুর মাঝে যাদের এমন চিহ্ন থাকে, তাদের মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয় না। ফলে বৈবাহিক জীবনে কোনও ধরনের ঝুট-ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। অর্থাৎ এক কথায় বললে কর্মজীবন থেকে পারিবারিক জীবন, সবক্ষেত্রেই এরা বেজায় সুখ-শান্তিতেই থাকেন।
২. নেপচুনের উপরে থাকলে:
আমাদের তালু ঠিক যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানে দুটো ডিপির মতো আংশ থাকে। এই ডিপি দুটোর মাঝের জায়গাকে হস্তরেখা বিশেষজ্ঞরা নেপচুন মাউন্ট বলে ডেকে থাকেন। এই অংশে কারও যদি ত্রিভুজের মতো চিহ্ন থাকে, তাহলে কিন্তু বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে তাদের জীবনের একটা বড় অংশই একাকিত্বে কাটে। ফলে জীবনের প্রতিটি দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। কারণ এ জীবনে একা থাকার থেকে আর বড় কোনও শাস্তি আছে বলে তো মনে হয় না!
৩. ম্যারেজ লাইন এবং হার্ট লাইন:
হাতের তালুতে থাকা এই দুটি লাইনের কোনও একটির উপর যদি এমন ত্রিভুজের মতো রেখা থাকে, তাহলে জানবেন আপনার বৈবাহিক জীবন বেশ সুখে-শান্তিতেই কাটবে। সেই সঙ্গে চরম অর্থনৈতিক উন্নতির যোগও রয়েছে। অর্থাৎ বড়লোক হয়ে উঠতে এদের বেশি দিন অপেক্ষাই করতে হয় না। প্রসঙ্গত, এমনও বিশ্বাস আছে যে এই দুই রেখার উপরে যাদের এমন চিহ্ন থাকে, তাদের "লাক" নাকি বেজায় ভাল হয়। ফলে জীবন পথে নানাবিধ বাঁধা এবং খারাপ সময়ের সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনা নাকি এদের থাকে না বললেই চলে।
৪. হেড লাইনে থাকলে:
যাদের ডান হাতের তালুতে থাকা হেড লাইনের উপর এমন ত্রিভুজের মতো চিহ্ন থাকে, তারা পড়াশোনায় বা একাডেমিক লাইনে খুব উন্নতি লাভ করেন।
৫. লাইফ লাইনে থাকলে:
এই রখাটির উপরে যাদের ত্রিভুজ তৈরি হয়, তারা কর্মক্ষেত্রে দারুন সফল হন। শুধু তাই নয়, এরা বিপদে পরলেই নানা দিক থেকে নানা লোকের সাহায্য এসে যায়। ফলে কোনও পরিস্থিতিতেই এদের কঠিন সময়ের সম্মুখিন হতে হয না। তবে এক্ষেত্রে একটা জিনিস মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল ত্রিভুজটা যদি লাইফ লাইনের একেবারে উপরে না হয়ে একটু পাশের দিকে হয়, তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়! কারণ এমনটা হলে নাকি নানাবিধ রোগ-ব্যাধির কারণে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না, বিশেষত হার্ট, লিভার এবং নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৬. কব্জিতে থাকলে:
হাতের এই অংশে ত্রিভুজের মতো রেখা থাকাটাও বেজায় ভাগ্যের বিষয়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে কব্জির একেবারে মাঝামাঝি যদি এমন চিহ্ন তৈরি হয়, তাহলে উচ্চপদে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবানা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে কম বয়সে বড়লোক হয়ে ওঠার যোগও দৃঢ় হয়।
৭. তর্জনীর ঠিক নিচে:
যাদের ইনডেক্স ফিঙ্গারের নিচে ত্রিভুজের মতো চিহ্ন সৃষ্টি হয়, তারা বেজায় পরিশ্রমী হন। শুধু তাই নয়, মারাত্মক চাপের মধ্যেও এদের শান্ত মনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার এক আজব ক্ষমতা থাকে। তাই তো কর্মক্ষেত্রে এমন মানুষদের উন্নতি লাভ করতে একেবারেই সময় লাগে না। আর যদি চাকরির প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে বলতে হয়, হাতের তালুর এই বিশেষ অংশে যাদের এমন চিহ্ন থাকে, তাদের মিলিটারিতে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও কিন্তু এমন মানুষদের বেজায় নাম-ডাক হয়।
৮. মধ্যমাতে ত্রিভুজ:
মিডিল ফিঙ্গারের ঠিক নিচে যাদের ত্রিভুজের মতো রেখা জন্ম নেয়, তাদের ৩০ এর পর চরম সফলতার স্বাদ পাওয়ার সুযোগ আসে, তার আগে নয় কিন্তু! তবে একবার ৩০ পেরনো মাত্র এমন সব সুয়োগ আসতে শুরু করে যে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি কর্মক্ষেত্রে একের পর এক উন্নতির দরজা খুলে যায় চোখের পলকে।
৯. অনামিকার নিচে:
হাতের তালুর এই নির্দিষ্ট অংশে যদি এমন ত্রিভুজ থাকে, তাহলে জানবেন সেই ব্যক্তি বেজায় বুদ্ধিমান গোছের হন। শুধু তাই নয়, এদের অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতেও কেউ আটকাতেই পারে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে বেজায় কম সময়েই চরম উন্নতির স্বাদ পান এমন মানুষেরা।