For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

এই গ্রামের কোনও বাড়িতেই দরজা নেই, নেই ব্যাংকেও! কেন জানেন?

|

শয়ে শয়ে বাড়ি। রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখাও। কিন্তু অজাব ব্যাপার এই গ্রামের মানুষ দরজা কাকে বলে তা জানেনই না। কারণ এখানকার একটা বাড়িতেও দরজা নেই। আর এমনটা হওয়ার পিছনে দায়ি শনিদেব!

মহারাষ্টের শনি শিংনাপুর গ্রামে পা রাখলে আপনি নিজের চোখকে বিশ্বাসই করে উঠতে পারবেন না। কারণ দরজাহীন বাড়ি দেখতে তো আপনি কখনও অভ্যস্ত নন, তাই না! নিরাপত্তাকে এমনভাবে বুড়ো আঙুল দেখানোর পিছনে রয়েছে শুধুই বিশ্বাস। এখানকার বাসিন্দারা মনে করেন যতদিন শনিদেব তাদের সঙ্গে রয়েছেন, ততদিন এই গ্রামে কখনও চুরি হবে না। কথায় আছে না, "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর!" শনি শিংনাপুর গ্রামে এই কথার বাস্তব রূপায়ণ হয়ে চলেছে সেই ৩০০ বছর আগে থেকে।

নদীবক্ষে আবির্ভাব:

নদীবক্ষে আবির্ভাব:

একাধিক প্রচীন গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়, আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে একটা পাথরের বিশালাকায় খন্ড নদীতে ভাসতে ভাসতে শনি শিংনাপুর গ্রামে এসে পৌঁছায়। যখন গ্রামবাসীরা শীলাখন্ডটি দেখে তাতে লাঠি দিয়ে খোছাতে শুরু করে, তখন হঠাৎই সেই পাথরের খন্ড থেকে রক্ত বেরতে থাকে। আরে আরে এখনই অবাক হবে না! কারণ আসল ঘটনাটা ঘটবে এবার। সেই রাতেই গ্রামের প্রধানের স্বপ্নে আসেন শনিদেব। বলেন, সেই পাথরের খন্ডটি স্বয়ং তাঁর। তাই সেটি যেন যোগ্য সম্মান স্থাপন করা হয় এবং পুজো শুরু করা হয়। সেই মতো পরদিন সকালে ধুমধাম করে স্থাপন করা হয় সেই শিলাখন্ডটি। শুরু হয় পুজো।

একের পর এক দরজা সরতে শুরু করল:

একের পর এক দরজা সরতে শুরু করল:

শনিদেবকে স্থাপন করার পর গ্রামবাসীদের কোনও এক অজানা কারণে মনে হয়েছিল এই গ্রামে আর কোনও খারাপ কিছু ঘটবে না। কারণ স্বয়ং শনিদেব তাদের রক্ষা করার জন্য় এসে গেছেন। সেই থেকে কোনও বাড়িতেই দরজা নেই এবং অবাক করার মতো বিষয় হল এই ৩০০ বছরে এই গ্রামে একবারের জন্যও চুরি হয়নি।

১৯৯০ সাল:

১৯৯০ সাল:

আশির দশকের পরেও এই গ্রামের ব্যাপারে কেউই জানতই না। ৯০ সালের শেষের দিকে একটি ডকুমেন্ট্রি ফিল্ম তৈরির পরই শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে শনি শিংনাপুর গ্রামের কথা। সেই থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এই গ্রামে আসেন। পুজো দেন এবং শনিদেবের আশীর্বাদ নিয়ে ফিরে যান নিজ নিজ আস্তানায়।

Image Source

আখ থেকে পর্যটন:

আখ থেকে পর্যটন:

এক সময় গ্রামবাসীদের উপার্জনের রাস্তা বলতে ছিল একমাত্র আখের চাষ। সেখানে আজ পর্যটন সবকিছুকে চাপিয়ে গেছে। প্রতি বছর গ্রামাবাসীরা বিপুল পরিণাণ অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছেন পর্যোটনের কারণেই। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র সরকারের দেওয়া হিসেব অনুসারে শনি শিংনাপুর গ্রামে প্রতিদিন প্রায় ৪০,০০০ হাজার মানুষ আসেন ভগবানের দর্শনের জন্য। তাহলে একবার ভাবুন বছরে কত সংখ্যক মানুষ ভিড় জমান এই ছোট্ট গ্রামে।

Image Source

Read more about: বিশ্বাস
English summary

শয়ে শয়ে বাড়ি। রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখাও। কিন্তু অজাব ব্যাপার এই গ্রামের মানুষ দরজা কাকে বলে তা জানেনই না। কারণ এখানকার একটা বাড়িতেও দরজা নেই। আর এমনটা হওয়ার পিছনে দায়ি শনিদেব!

Imagine a village where homes have no front doors and shops are always left unlocked and locals never feel unsafe. This is the story of shani shingnapur in India’s Maharashtra state, where villagers feel secured because of their undying faith in lord shani, the god of Saturn, who is considered the guardian of the village.
Story first published: Monday, July 3, 2017, 15:31 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion