Just In
- 7 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 8 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 12 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 13 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
অল্প দিনেই ধনী হয়ে উঠতে মেনে চলুন বাস্তুশাস্ত্রের এই নিয়মগুলি!
অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই ঠিকই। কিন্তু এ সম্পর্কে বাস্তু শাস্ত্রের নিয়মগুলিকেও কোনও ভাবে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।
অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই ঠিকই। কিন্তু এ সম্পর্কে বাস্তু শাস্ত্রের নিয়মগুলিকেও কোনও ভাবে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। কারণ বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখিত বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে বাস্তবিকই ধনি হয়ে উঠতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কোন রকমের অর্থনৈতিক সমস্যা সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও কমে চোখে পরার মতো।
কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে এক্ষেত্রে? তেমন কিছুই নয়! বাড়িতে রাখতে বেশ কিছু সোপিস এবং মেনে চলতে হবে সাধারণ কিছু নিয়ম। তাহবেই দেখবেন পকেট ভরি হতে সময় লাগবে না। কেমন নিয়ম? যেমন ধরুন...
১. বাড়ির সদর দরজা:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পরিবারের অন্দরে সুখ-সমৃদ্ধির আগমণ ঘটাতে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে সাফল্যের চূড়ার পৌঁছাতে বাড়ির সদর দরজা বানাতে হবে উত্তর বা পূর্বদিকে মুখ করে। আর দরজা হতে হবে কাঠের বা টিক উডের। এমনটা করলে বাড়ির অন্দরে পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটবে, সেই সঙ্গে গুড লাক এমন যাদু দেখাতে শুরু করবে যে লক্ষী দেবী আপনার বাড়ির আসন ছেড়ে কোনও দিন প্রস্থান করবে না।
২. শোয়ার ঘর:
বাস্তু শাস্ত্রে এমনটা মেনে চলা হয় যে বাড়ির অন্দরে শোয়ার ঘর হল সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। কারণ এখানেই আমরা বিশ্রাম নিয়ে থাকি। তাই তো শোয়ার ঘরে যদি নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে, তাহলে ঘুম মাথায় ওঠে। আর ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীর ভাঙতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অর্থনৈতিক উন্নতি পাওয়ার সম্ভব কমে যায়। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক যদি না চান, তাহলে শোয়ার ঘরে একটি জানলা তৈরি করতে ভুলবেন না। আর সেই জানলাটি দিনের মধ্যে কম করে ২০ মিনিট খুলে রাখবেন। এমনটা করলে ঘরের অন্দরে হাওয়া-বাতাস খেলবে। ফলে পজেটিভ এনার্জি বাড়তে শুরু করবে। শুধু তাই নয়, খেয়াল করে দক্ষিণ দিকে মাথা করে শোবেন। এমনটা করলে দেখবেন অর্থের আগমণ ঘটতে সময় লাগবে না।
৩. লাফিং বুদ্ধ:
বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী ড্রয়িং রুম, রান্না ঘর অথবা বাগানে লাফিং বুদ্ধের মূর্তি রাখা বেজায় শুভ। কারণ এমনটা করলে পরিবারে শান্তি এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। এখানেই শেষ নয়, ফেং শুই মতে লাফিং বুদ্ধ বাড়িতে পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটায় এবং অর্থৈনতিক উন্নতির পথও প্রশস্ত করে।
৪. পেন্টিং:
ঝরনা, গোল্ডফিশ অথবা নদীর ছবি বাড়িতে রাখা বেজায় শুভ। কারণ বাস্তু শাস্ত্র মতে এমন ছবি ঘরে রাখলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কেরিয়ারের উচ্চতর শৃঙ্গে পৌঁছানোর রাস্তাও সহজ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ওয়াটার ফলের ছবি রাখা শুভ হলেও বাড়িতে ঝরনা রাখা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে অর্থনৈতিক অবনতি ঘটার আশঙ্কা বাড়ে।
৫. উইন্ডচিমস:
দ্রুত যদি অর্থনৈতিক উন্নতি পেতে চান, তাহলে আজই একটা সুন্দর দেখতে উইন্ডচিমস কিনে আনুন। কেন, এমনটা করলে কী হবে? বাস্তু মতে ঘরের প্রবেশ দ্বারে উইন্ডচিমস ঝোলালে অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হতে সময় লাগে না। আর বাথরুমের দরজায় যদি লাগান, তাহলে টাকা খরচের প্রবণতা কমে। ফলে সঞ্চয় বাড়তে শুরু করে।
৬. মানি প্লান্ট:
সবুজ টবে মানি প্লান্ট গাছ রেখে বাড়ির উত্তর দিকে যদি সেটি রাখতে পারেন, তাহলে সমৃদ্ধি আপনার চিরসঙ্গী হবে। শুধু তাই নয়, এমনটা করলে বাড়িতে কখনও সুখ-শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত হবে না। প্রসঙ্গত, কেরিয়ারে উন্নতির পথ প্রশস্ত করতেও মানি প্লান্ট গাছ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. অ্যাকোয়ারিয়াম:
ছোট হোক কী বড়, বাড়িতে অ্যাকোরিয়াম রাখলে একদিকে যেমন আপনার স্ট্রেস লেভেল কমে, তেমনি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগবে না। তবে এক্ষেত্রে অ্যাকোয়ারিয়ামে গোল্ড ফিশের মতো মাছ রাখতে হবে, যারা সারা দিন লাফিয়ে লাফিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরে বেরায়। প্রসঙ্গত, বাস্তু মতে অ্যাকোরিয়ামটি যদি বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখা যায়, তাহলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
৮. বন্ধ ঘড়ি নৈব নৈব চ:
বাস্তু শাস্ত্রে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আমাদের জীবনের দিশা কোন দিকে যাবে, তা অনেকাংশেই বাড়িতে রাখা ঘড়ির সঙ্গেও সম্পর্কিত। তাই তো ঘরে কখনও বন্ধ ঘড়ি রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে টাকা আসতে আসতেও আটকে যাবে। শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের উন্নতি হতেও সময় লাগবে। তাই বাড়িতে ভুলেও বন্ধ ঘড়ি রাখবেন না। শুধু তাই নয়, ঘড়ি ঝোলাতে হবে উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে। এই নিয়মটি মানলে দেখবেন অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগবে না।