Just In
- 4 hrs ago
শুক্র প্রবেশ করল মকর রাশিতে, দেখুন এটি ১২টি রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে
- 4 hrs ago
জিভে কালো দাগ? বাড়িতে বসেই সহজ উপায়ে মুক্তি পেতে পারেন
- 11 hrs ago
দৈনিক রাশিফল : লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ হবে কি? জানতে পড়ুন ২৮ জানুয়ারির রাশিফল
- 20 hrs ago
সিল্কি এবং ঘন চুল পেতে ডায়েটে এই ভিটামিনগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন
Don't Miss
সাবধান: ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে বাড়িতে শঙ্খ না রাখলে ঘটে যেতে পারে খারাপ কিছু!
পুজো হোক কি শুভ কোনও অনুষ্টান, বাঙালি বাড়িতে শঙ্খের ব্যবহার হয়েই থাকে। কিন্তু শঙ্খকে যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে রাখতে না পারেন, তাহলে কিন্তু পরিবারের কারও মারাত্মক কোনও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই সাবধান!
বেশ কিছু স্টাডি করে দেখা গেছে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষই শঙ্খের ক্ষমতা সম্পর্কে জানেন না। তাই ঠিক মতো রাখতে না পারার কারণে অজান্তেই নেগেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করে বাড়ির অন্দরে। আর যেমনটা আপনাদের জানা আছে যে নেগেটিভ শক্তি যত শক্তিশালী হয়, তত ভাগ্য খারাপ হতে শুরু করে। তাই এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যাতে আপনার বা পরিবারের কারও কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এই কারণেই তো এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
যদি প্রশ্ন করেন কেন পড়বেন এই লেখাটি? তাহলে উত্তর দেব, কেউই নিজের ক্ষতি চায় না। কিন্তু সবাই বাড়িতে শঙ্খ ব্যবহার করেন, তাই না! আর এতদূর পর্যন্ত পড়ার পর একথা তো জেনে গেছেন যে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে শঙ্খ ব্যবহার না করলে তার পজেটিভ শক্তি বদলে যায় নেগেটিভ শক্তিতে। যার প্রভাবে হতে পারে মারাত্মক কোনও ক্ষতি। তাই এক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মেনে চলা জরুরি, তা জেনে নিতে হবে, আর সেই তথ্যেরই সন্ধান দেওয়া হল এই প্রবন্ধে।
প্রসঙ্গত, বাড়িতে যদি শঙ্খ কিনে আনেন তাহলে মানতে হবে এই নিয়মগুলি...

১. দুই শঙ্খের কথা:
খেয়াল করে দেখবেন শঙ্খ মূলত দু ধরনের হয়। এক ধরনের শঙ্খ বাজানো হয়। আর আরেক ধরনের শঙ্খে দুধ বা গঙ্গা জল নিয়ে পুজো করা হয়। আমরা অনেকেই শুধু বাজানোর শঙ্খ কিনে আনি। এমনটা করা উচিত নয়। বরং সব সময় একসঙ্গে দু ধরনের শঙ্খই কেনা উচিত। এবং দুটিকে রাখা উচিত আলাদা আলাদা করে। এমনটা না করলে কিন্তু পরিবারিক জীবনের উপর খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা বাড়ে।

২. শঙ্খ যেন বদলে না যায়:
যে শঙ্খ বাজানো হচ্ছে, তাতে জল নিয়ে যেন পুজোর সময় ব্যবহার করা না হয়। এতে পুজোর ঘর অশুদ্ধ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। কী সেই বিষয়? যে শঙ্খটি বাজানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা হলুদ কাপড়ের উপরে রাখতে হবে। এমনটা করলে পজিটিভ শক্তির ক্ষমতা বাড়বে।

৩. জলের শঙ্খ:
যে শঙ্খটিতে গঙ্গা জল নিয়ে পুজোর সময় ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সব সময় পরিষ্কার করতে হবে গঙ্গা জল দিয়ে। আর রাখতে হবে সাদা কাপড়ের উপর।

৪. দূরত্ব থাকা জরুরি:
বাজানোর কাজে ব্যবহৃত শঙ্খকে পুজোর কাজে ব্য়বহার করবেন না। শুধু তাই নয়, পুজোর শঙ্খকে, বাকি শঙ্খের থেকে উপরে রাখতে হবে। কেন এমনটা করতে হবে জানেন? কারণ গঙ্গা জলকে যে ধারণ করছে তার পবিত্রতা যেন কোনওভাবেই কমে না যায়।

৫. শঙ্খ এবং শিব:
হিন্দু শাস্ত্র মতে ভগবান শিবের ছবির সামনে বা উপরে শঙ্খ রাখা উচিত নয়। শুধু তাই নয়, শিব লিঙ্গের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। কেন এমনটা করা উচিত, সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে জানা না গেলেও এই বিষয়ে ঝুঁকি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন আছে বলে তো মনে হয় না।

৬. শঙ্খের জল যেন শিবের গায়ে না লাগে:
হিন্দু শাস্ত্র মতে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে শঙ্খের জল কখনই যেন দেবাদিদেবের ছবি বা লিঙ্গের উপর ঢালা না হয়। প্রসঙ্গত, একই নিয়ম মানতে হবে সূর্য দেবের পুজো করার সময়ও।

৭. পুজোর ঘরে শঙ্খ রাখার আগের নিয়ম:
বাজার থেকে শঙ্খ কিনে এনেই পুজোর ঘরে রাখবেন না যেন! পরিবর্তে তা ব্যবহারের আগে গঙ্গা জল দিয়ে ভাল করে তা পরিষ্কার করবেন। আর যদি হাতের কাছে গঙ্গা জল না থাকে, তাহলে দুধ দিয়েও ধুতে পারেন। এরপর তা রাখতে হবে ভগবানের সামনে। এই সময় খেয়াল রাখবেন শঙ্খের ছোঁচালো দিকটা যেন ভগবানের দিকে থাকে। সব শেষে শঙ্খের উপর সোয়াস্তিকা চিহ্ন এঁকে দিতে ভুলবেন না।

৮. শঙ্খের পুজো করতে ভুলবেন না যেন!
পুজোর সময় শঙ্খের ব্যবহার করে থাকলেও একথা অনেকেরই জানা নেই যে নিয়মিত শঙ্খেরও পুজো করা উচিত। কীভাবে করবেন শঙ্খের পুজো? হিন্দু শাস্ত্র মতে যে কোনও দিনই শঙ্খের পুজো করা যেতে পারে। তবে সোমবার যদি করতে পারেন, তাহেল বেশি উপকার পাওয়া যায়। শঙ্খের পুজো করার সময় যে শ্লোকটি পড়তে হবে, তা হল- "শঙ্খম চন্দ্রকাদৈবেত্তাম কুকশোভরুনা দৈবাতাম, প্রস্তে প্রজাপতিদেবা মুগরে গাঙ্গা সরস্বতী, প্রত্থিভিয়াম ইয়ানিতির্থানি বাসুদেবাসায়াচাগায়া, শঙ্খ তিস্থানিবিপরেন্দ্র তাসমত শঙ্খম প্রপজায়েত।"

৮.শঙ্খের পুজো করলে কী কী উপকার মেলে:
এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সমৃদ্ধি আপনার সঙ্গী হয়। সেই সঙ্গে বাড়িতে কখনও খাবার এবং বস্ত্রের অভাব দেখা দেয় না। শুধু তাই নয়, বাড়িতে মা লক্ষী এবং সরস্বতী দেবীর আগমণ ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ ভাগ্য ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। তবে এখানেই শেষ নয়, একাধিক বইয়ে এমনটাও লেখা আছে যে শঙ্খের পুজো করলে পাপের ফাঁদ থেকে মুক্তি মেলে। ফলে মৃত্যু পরবর্তি সময়ে স্বর্গের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।