Just In
"ব্ল্যাক ম্যাজিক" এর কারণে ক্ষতি হোক এমনটা চান কি? তাহলে এই বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না!
কেউ কারও উপর ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছে কিনা, তা তো আগে থেকে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়, তাহলে উপায়? এক্ষেত্রে এই প্রবন্ধে আলোচিত বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে।
আজকের সমাজ এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে কেউ আনন্দে থাকলে অন্যরা তার রাস্তায় পাথর ফেলতে শুরু করে। আর এমন ইর্ষান্বিত মানুষের সংখ্যা যে দিন দিন বাড়ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে সমস্যাটা যে এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে, তা নয়। কারণ ইর্ষা কোনও কোনও সময় এত মাত্রায় পৌঁছায় যে সফল মানুষটির ক্ষতি করার জন্য় কালা যাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের সাহায্যে নিতেও অনেকে পিছপা হন না। আর যেমনটা অপনাদের সকলেই জানা আছে যে কালা যাদুর খপ্পরে যদি একবার পরে যান, তাহলেই কিন্তু বিপদ! কারণে সেক্ষেত্রে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে জীবন দুঃখে ভরে যেতেও সময় লাগে না।
এখন প্রশ্ন হল কেউ কারও উপর ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছে কিনা, তা তো আগে থেকে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়, তাহলে উপায়? এক্ষেত্রে এই প্রবন্ধে আলোচিত বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে। আর যদি এমনটা কারতে পারেন, তাহলে দেখবেন কেউ যতই খারাপ চাক না কেন, আপনার লেশ মাত্র ক্ষতি হবে না।
তাহলে বন্ধু অপেক্ষা কিসের! এমন হিংসাপূর্ণ-ঈর্ষাকাতর মানুষদের মধ্যেও যদি সুখে-শান্তিতে বাঁচতে চান, তাহলে কিন্তু এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে, সেগুলি হল...
১. বাড়ির অবস্থান:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ভুলেও তিন বা চার মাথা রাস্তার কোনে জমি কেনা উচিত নয়। কারণ খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই লেবু লঙ্কা ফেলে রাখেন এমন রাস্তার মুখে। তাই তো এমন জায়গায় বাড়ি করলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ফলে কেউ যদি আপনার ক্ষতি করতে চায়, তাহলে তার পক্ষে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই ব্ল্যাক ম্যাজিকের মতো নেগেটিভ শক্তির হাত থেকে যদি বাঁচতে চান, তাহলে এই নিয়মটি মানতে ভুলবেন না যেন!
২. দক্ষিণ-পূর্ব দিকের জমি:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে জমি কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে তা যেন দক্ষিণ-পূর্ব মুখি হয়। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমন জমিতে বাড়ি বানালে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রকোপ এতটা বেড়ে যায় যে কালা যাদুর প্রভাব কাটতে সময় লাগে না। ফলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিলাভের সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে।
৩. রাস্তার মোড়ের বাড়ি:
বিশেষজ্ঞদের মতে রাস্তার একেবারে মোড়ে, অর্থাৎ যেখান থেকে রাস্তা অন্যদিকে বেঁকে যাচ্ছে, সেখানে বাড়ি বানানো বা ফ্ল্যাট কেনা একেবারেই উচিত নয়। কারণ বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এমন জায়গায় বাড়ি বানালে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, এমন বাড়িতে যার থাকেন, তাদের কালা যাদুর কারণে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
৪. মন্দিরের সামনের বাড়ি:
শুনতে আজব লাগলেও একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে ভগবান শিব এবং বিষ্ণু মন্দিরের সামনে যদি বাড়ি বানান বা ফ্ল্যাট কেনেন, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমন বাড়িতে থাকলে নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তার উপর যদি কেউ কালা যাদু করে, তাহলে তো কথাই নেই। তাই সব সময় বাড়ি বানাবেন মন্দির থেকে দূরে, রেসিডেন্সিয়াল এরিয়ায়।
৫. বাড়ির সদর দরজা:
এমনটা বিশ্বস করা হয় যে বাড়ির মূল দরজা যদি উত্তর দিকে হয়, তাহলে কিন্তু খুব বিপদ! কারণ এমনটা করলে একের পর খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে ব্যাড লাক পিছু নেওয়ার কারণে কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই সম্মানহানীর আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই বাড়ির সদর দরজা হতে হবে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা পশ্চিম দিকে। কারণ এমনটা করলে গৃহস্থের অন্দরে এত মাত্রায় পজেটিভ শক্তির প্রভাব বেড়ে যায় যে কালা যাদুর কোনও প্রভাব পরতেই পারে না।
৬. তাজ মহল নৈব নৈব চ:
ভুলেও বাড়িতে তাজ মহলের শো-পিস এনে রাখবেন না যেন! কারণ বাস্তু মতে এমন জিনিস গৃহস্থের অন্দরে রাখলে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, এমন বাড়িতে কেউ ব্ল্যাক ম্যাজিক করলে খারাপ শক্তির প্রভাব আরও বেড়ে যায়। ফলে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তাজমহলের সঙ্গে খারাপ ঘটনা ঘটার সম্পর্কটা ঠিক কোথায়? আসলে তাজমহল হল আদতে একটি সমাধি, যা মৃত্য়ুর প্রতীক। তাই তো এমনটা জিনিস বাড়িতে এনে রাখলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে। ফলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।