Just In
- 11 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 13 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 15 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 17 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
খারাপ স্বপ্ন আসছে, সেই সঙ্গে মন মেজাজও কেমন খিটখিটে হয়ে গেছে? তাহলে এই নিয়মগুলি মানতে ভুলবেন না!
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাবে কমাতে কতগুলি নিয়ম মেনে চলা জরুরি, যে সম্পর্কে এই লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
বিশ্বাস করুন বা না করুন একথা অস্বীকার করা সম্ভব নয় যে প্রতিটি বাড়ির অন্দরেই শুভ শক্তি যেমন থাকে, তেমনি অশুভ বা নেগেটিভ শক্তিও দাপাদাপি করে বেরায়। তবে তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও ক্ষতি হয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত নেগেটিভ শক্তি, মাত্রা ছাড়ায় না। কিন্তু যখন অশুভ শক্তির পিরামাণ বেড়ে যায়, তখন একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কাও যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে লেজুড় হয় খারাপ স্বপ্ন এবং মন মেজাজ বিগড়ে যাওয়া। এমনকি মন অশান্ত হয়ে ওঠার জন্য সুখ-শান্তি দূরে পালাতেও সময় লাগে না। এমন পরিস্থিতিতে এই প্রবন্ধে আলোচিত বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চললে কিন্তু বিপদ!
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাবে কমাতে কতগুলি নিয়ম মেনে চলা জরুরি, যে সম্পর্কে এই লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হল। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নিয়মগুলি মেনে চললে বাস্তু দোষ তো কেটে যায়ই, সেই সঙ্গে মন শান্ত হয় এবং খারাপ স্বপ্ন আসাও বন্ধ হয়ে যায়। তাই তো বলি বন্ধু নানাবিধ বিপদ থেকে দূরে থাকতে এবং অফুরন্ত সুখ-শান্তির সন্ধান পেতে এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, সেগুলি হল...
১. বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির এই নির্দিষ্ট দিকের দেওয়ালে ভুলেও লাল এবং গোলাপী রং করা উচিত নয়। সেই সঙ্গে এদিকে ডাস্টবিন, পুরানো খবরের কাগজ রাখাও চলবে না। শুধু তাই নয়, উত্তর-পূর্ব দিকে কিচেন তৈরি করলে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। আর এমনটা হলে কী কী ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়, সে সম্পর্কে নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না।
২. সোয়াস্তিকা চিহ্ন:
প্রতিদিন কি খারাপ স্বপ্ন আসছে, সেই সঙ্গে মন-মেজাজ কেমন খিটখিটে হয়ে গেছে? তাহলে আর সময় নষ্ট না করে আজই বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে একটি সোয়াস্তিকা চিহ্ন এনে রাখুন। দেখবেন খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে সময় লাগবে না। ফলে মন-মেজাজও যেমন চাঙ্গা হয়ে উঠবে, তেমনি খারাপ স্বপ্ন আসার আশঙ্কাও যাবে কমে।
৩. বাথরুমের অবস্থান:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে বাথরুম তৈরি করলে বাড়িতে অশুভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটতে শুরু করে। আর এমন সব ঘটনা আপনার সঙ্গেও ঘটুক, তা যদি না চান, তাহলে ভুলেও বাড়ির এই নির্দিষ্ট দিকে বাথরুম তৈরি করার ভুল কাজটি করবেন না যেন! প্রসঙ্গত, বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ডাস্টবিন রাখা শুরু করলেও কিন্তু একই ঘঠনা ঘটে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
৪. শোওয়ার ঘর:
বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে শোওয়ার ঘর তৈরি করলে খারাপ চিন্তা ঘাড়ে চেপে বসে। ফলে সুখ-শান্তিতে দূরে পালাতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বারে বারে খারাপ স্বপ্ন আসার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। তাই তো শোওয়ার ঘর তৈরি করার সময় সব সময় বাস্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এমনটা না করলে সুখ-শান্তির ঘড়া যেমন খালি হতে শুরু করে, তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
৫. হনুমান চল্লিশার শক্তি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে যদি নিয়ম করে হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে খারাপ স্বপ্ন আসার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত নেগেটিভ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা যায় কমে। সেই সঙ্গে শ্রী হনুমানের আশীর্বাদে অর্থনৈতিক উন্নতি তো ঘটেই, তার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে থেকে সামাজিক জীবন, সবক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
৬. ঘুমতে হবে যে দিকে মাথা করে:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে দক্ষিণ অথবা পূর্ব দিকে মাথা করে শুলে খারাপ স্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা আর থাকে না। ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৭. বাড়ির উত্তর-পর্ব দিক:
এমনটা বিশ্বাস করা যায় যে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে সেদিক থেকে ধন দেবতা কুবেরের আগমণ ঘটে। সেই সঙ্গে মা লক্ষীরও আশীর্বাদ লাভ করা সম্ভব হয়। ফলে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মন শান্ত হয় এবং পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে।