Just In
- 1 hr ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 3 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 3 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 17 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
অ্যাস্ট্রোলজি: জুতোর কারণে কিন্তু আপনার চাকরি যেতে পারে! কীভাবে এমনটা সম্ভব তাই ভাবছেন তো?
কর্মজীবনে উন্নতি লাভের পাশাপাশি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে এবং সুখে-শান্তিতে থাকতে জুতো সংক্রান্ত এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
আসলে বন্ধু আমাদের রোজের জীবনের সঙ্গে যা কিছুই জড়িয়ে, তা নানাভাবে আমাদের জীবনের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। যেমন জুতোর কথাই ধরুন না। অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা বিশেষ কিছু বই অনুসারে জুতোর সঙ্গে শনি গ্রহের যোগ রয়েছে। এই কারনেই তো শনিবার জুতো কিনতে মানা করা হয়। কারণ এমনটা করলে নাকি শনি দেব এতটাই রুষ্ট হন যে নানাবিধ সমস্যার আঘাতে জীবন জর্জরিত হয়ে উঠতে সময় লাগে না। আবার উল্টো দিকে যারা শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পরেছেন, তারা যদি জুতো দান করা শুরু করেন, তাহলে নাকি শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব কেটে যায় চোখের নিমেষে।
কিন্তু এখনও যে সেই প্রশ্নের উত্তর মিললো না যে জুতোর সঙ্গে আমাদের কেরিয়ার বা সহজ কথায় চাকরির কি সম্পর্ক? জ্যোতিষ শাস্ত্রের পাশাপাশি বাস্তু শাস্ত্র অনুসারেও আমাদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যায় আমাদের পা। তাই তো পায়ের যত্ন না নিলে দুর্ভাগ্য পিছু নেয়। ফলে শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, পারিবারিক জীবনেও নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয় মারাত্মকভাবে। তাই তো বলি বন্ধু কর্মজীবনে উন্নতি লাভের পাশাপাশি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে এবং সুখে-শান্তিতে থাকতে জুতো সংক্রান্ত এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন! না হলে কিন্তু চাকরি তো যাবেই, সেই সঙ্গে জীবন নরক হয়ে উঠতেও দেখবেন সময় লাগবে না।
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি, সেগুলি হল...
১. উপহার পাওয়া জুতো:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কারও উপহার হিসেবে দেওয়া জুতো পরা একেবারে উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে নাকি খারাপ ভাগ্য পিছু নেয়। ফলে কর্মজীবন থেকে পরিবারিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে স্বপ্ন পূরণের পথেও নানা বাঁধা আসতে শুরু করে। ফলের সুখের ঝাঁপি খালি হতে সময় লাগে না।
২. ছিঁড়ে যাওয়া জুতো:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে কোনও শুভো কাজে যাওয়ার সময় ভুলেও ছেঁড়া জুতো পরা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে নাকি সেই কাজে অসফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে গুড লাকও সঙ্গ ছাড়ে। ফলে জীবনের প্রতিটি ধাপে আটকে যাওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময়েও একই নিয়ম মেনে চলা উচিত। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ছিঁড়ে যাওয়া জুতো পরে ইন্টারভিউ দিতে গেলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। তাই তো বলি বন্ধু, মনের মতো চাকরি যদি পেতে চান, তাহলে ভুলেও ছেঁড়া জুতোর সঙ্গ ছাড়তে ভুলবেন না যেন!
৩. ব্রাউন শু:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অফিসে ব্রাউন শু পরে গেলে কাজের মানে আবনতি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। সেই সঙ্গে চাকরি সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে পদন্নতি লাভের সম্ভাবনাও কমে। তাই ভুলেও কাজের জয়গায় ব্রাউন শু পরে যাওয়া চলবে না! প্রসঙ্গত, সম্ভব হলে অফিসে ব্ল্যাক শু ছাড়া অন্য় কিছু পরতে যাবেন না। দেখবেন এমনটা করলে নানা উপকার মিলবে।
৪. কফি বা ডার্ক ব্রাউন শু:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে যারা ব্যাঙ্ক বা পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা ভুল করেও অফিসে এই রঙের জুতো পরে যাবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে নাকি খারাপ ভাগ্য পিছু নেয়। ফলে কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
৫. সাদা জুতো:
আপনি কি মেডিকেল ফিল্ডের সঙ্গে যুক্ত? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে সাদা জুতো পরা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এমন রঙের জুতো পরলে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে চাকরি সংক্রান্ত নানাবিধ প্রবলেমও দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, যারা লোহা সংক্রান্ত নানা জিনিস নিয়ে কাজ করেন, তাদেরও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। না হলে কিন্তু...
৬. নীল রঙের জুতো:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যারা আয়ুর্বেদ অথবা জল সংক্রান্ত কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের নীল রঙের এবং কাপড়ের জুতো এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। না হলে অফিসে নানা কারণে স্ট্রেস লেভেল এতটাই বেড়ে যাবে যে শান্তিতে কাজ করতে পর্যন্ত পারবেন না।
৭. খাওয়ার সময় জুতো:
ভুলেও খাবার খাওয়ার সময় জুতো পরে থাকবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে আশেপাশে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকবে। ফলে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি খারাপ শক্তির প্রভাবে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও বাড়বে। এখন প্রশ্ন হল, হোটেল-রেস্টরেন্টে যখন খেতে যাবেন তখন কী করবেন? তখনও যদি সম্ভব হয়, তাহলে জুতোটা খুলে রাখার চেষ্টা করবেন। না হলে আর কিছুই নয়, নানাবিধ ক্ষতির আশঙ্কা বাড়বে এই আর কী!
৮. জুতো রাখার নিয়ম:
বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ভুলেও জুতো রাখবেন না যেন! কারণ সূর্যালোক এই দিক থেকেই বাড়িতে প্রবেশ করে। তাই তো এই অংশে জুতো রাখলে পজেটিভ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে, বাড়ে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা। ফলে নানাবিধ বিপদ ঘটার সম্ভাবনা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি গৃহস্থে সুখ-শান্তির পরিবেশও বিঘ্নিত হয়। প্রসঙ্গত, একই ঘটনা ঘটে পূর্ব দিকে জুতো রাখলেও।