For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

যে কোনও ধরনের বিপদ থেকে যদি দূরে থাকতে চান তো মেনে চলতেই হবে এই বাস্তু নিয়মগুলি!

এই লেখায় এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা ঠিক ঠিক ভাবে মেনে চললে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

|

এই লেখায় এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা ঠিক ঠিক ভাবে মেনে চললে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে কুদৃষ্টি এবং কালো যাদুর প্রভাব থেকেও মুক্তি মেলে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার সম্ভাবনা যায় কমে। প্রসঙ্গত, বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটাও দাবি করা হয়েছে যে পরিবারে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির পরিবেশ বজায় রাখতেও বাস্তুশাস্ত্র বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতির রাস্তা প্রশস্ত করতেও এই শাস্ত্রের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বলি বন্ধু আর অপেক্ষা না করে খারাপ শক্তির প্রভাব থেকে কীভাবে বাঁচা থাকা সম্ভব, সে বিষয়ে ঝটপট জেনে নিন। আর একাজে আপনাকে সাহায্য় করতে পারে এই লেখাটা।

১. সূর্যের আলো:

১. সূর্যের আলো:

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে যদি সারা দিন ধরে সূর্যালোকের প্রবেশ ঘটে, তাহলে গৃহস্থের প্রতিটি কোনায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। তাই সুখে-শান্তিতে থাকতে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন!

২. রান্না ঘরের অবস্থান:

২. রান্না ঘরের অবস্থান:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রান্না ঘর বানালে গৃহস্থে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘঠে। আর এমনটা হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। তাই তো বলি বন্ধু, খারাপ শক্তিকে দূরে রেখে যদি যে কোনও বিপদ থেকে বেঁচে থাকতে চান, তাহলে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রান্না ঘর বানাতে ভুলবেন না। আর যদি ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব দিকে রান্না ঘর তৈরি করে ফেলেন, তাহলে কিচেনে একটা সবুজ রঙের পাথর রাখতে ভুলবেন না। কারণ এমনটা করলে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।

৩. লেবু জলের মহিমা:

৩. লেবু জলের মহিমা:

শুনতে আজব লাগলেও এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এক গ্লাস জলে একটা লেবু চুবিয়ে তা বাড়িতে রাখলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়ার কারণে সফলতা এবং উন্নতির স্বাদ পেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই টোটকাটির কার্যকারীতা বাড়াতে প্রতি শনিবার জল এবং লেবুটা বদলে ফেলতে ভুলবেন না যেন!

৪. ঘড়ির অবস্থান:

৪. ঘড়ির অবস্থান:

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে অর্থ এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হল ঘড়ি। তাই বাড়ির উত্তর এবং পূর্ব দিকে মুখ করে ঘড়ি রাখতে হবে। এমনটা করলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব তো কমবেই, সেই সঙ্গে বড়লোক হয়ে উঠতেও সময় লাগবে না। তবে খেয়াল রাখবেন বাড়ির ভিতরে থাকা কোনও ঘড়ি যেন বন্ধ অবস্থায় না থাকে। কারণ এমনটা হওয়া অশুভ লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।

৫. সদর দরজার সামনে অংশ সব সময় পরিষ্কার রাখবেন:

৫. সদর দরজার সামনে অংশ সব সময় পরিষ্কার রাখবেন:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির মূল দরজার সামনে ময়লা বা নোংড়া জমতে থাকলে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। তাই সদর দরজার সামনের অংশ পরিষ্কার রাখবেন। এমনটা করলে দেখবেন উন্নতি আপনার রোজের সঙ্গী হবে।

৬. বাড়িতে ঠাকুর ঘর তৈরি করতে ভুলবেন না:

৬. বাড়িতে ঠাকুর ঘর তৈরি করতে ভুলবেন না:

বাড়ির ভিতর থেকে খারাপ শক্তিকে বাইরে বার করতে সর্বশক্তিমানের দারস্থ হওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। এক্ষেত্রে বাড়ির মূল দরজায় এবং ভিতরে ঠাকুরের ছবি ঝোলাতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বাড়িতে পুজো করতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে।

 ৭. বাড়িতে উইন্ড চিমস থাকা মাস্ট!

৭. বাড়িতে উইন্ড চিমস থাকা মাস্ট!

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মূল দরজা বা ঘরের ভিতরে যে জায়গায় বায়ু চলাচল সব থেকে বেশি হয়, সেখানে উইন্ড চিমস ঝোলালে নেগেটিভ শক্তির প্রকোপ কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, বাড়তে শুরু করে পজেটিভ শক্তির মাত্রাও। ফলে সাফল্য এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে কলহ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।

৮. বাথরুমের গুরুত্ব:

৮. বাথরুমের গুরুত্ব:

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির দাপাদাপি কমাতে বাথরুমের দরজা সব সময় বন্ধ রাখা জরুরি। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে টয়লেট সিটও যেন উপরে তোলা না থাকে। প্রসঙ্গত, বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাথরুমে যদি একটি মানি প্লান্ট গাছ রাখতে পারেন, তাহলে খারাপ শক্তির প্রভাব আরও দ্রুত কমে যায়।

৯. খারাপ শক্তিকে দূরে রাখতে কাজে লাগান নুনকে:

৯. খারাপ শক্তিকে দূরে রাখতে কাজে লাগান নুনকে:

খারাপ শক্তির প্রভাবে পরিবারের কারও যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে সৈন্ধব লবণকে কাজে লাগানো জরুরি। এক্ষেত্রে বাড়ির প্রতিটি কোণায় অল্প পরিমাণে সৈন্ধব লবণ ছড়িয়ে রাখতে হবে। এমনটা করলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কমবে। ফলে জীবন সুখ এবং সমৃদ্ধিতে ভরে উঠতে সময় লাগবে না।

১০. আয়নাকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না:

১০. আয়নাকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না:

নেগেটিভ শক্তিকে দূরে রাখতে বাড়ির সদর দরজার কাছাকাছি একটা ডিম্বাকার আয়না রাখা জরুরি। এমনটা করলে বাড়ির অন্দরে আলোর মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কমতে সময় লাগবে না। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। যেমন ধরুন ভুলেও বাড়ির সদর দরজার দিকে মুখ করে এবং বিছানার সামনে আয়না রাখবেন না। এমনটা করলে উপকারের থেকে অপকার হবে বেশি।

Read more about: বিশ্ব
English summary

VASTU FOR POSITIVE ENERGY

In today's world of economic stress, competition and tensions everyone needs a place to recharge. Qualities of persons like inner strength, calmness and positive energy tremendously help in fighting the challenges in the world. Our home, which is our refuge every day can help us in regenerating positive energy and the principals of vastu shastra give us actionable items we could perform to bring energy in our homes In Vastu Shastra we have a lot of tips to do from which you can easily bring positive energy to your home.
Story first published: Thursday, June 28, 2018, 12:38 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion