Just In
- 12 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 13 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 16 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 18 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
আপনি কি মাঙ্গলিক? তাহলে সুখে-শান্তিতে থাকতে এই বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যাদের বার্থ চার্টে মঙ্গল ঠিক ঠিক জায়গায় অবস্থান করে না, তাদের জীবনে নানা সময় নানা বাঁধার সম্মুখিন হতে হয়। সেই সঙ্গে বিবাহ সম্পর্কির সমস্যা তো আছেই!
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যাদের বার্থ চার্টে মঙ্গল ঠিক ঠিক জায়গায় অবস্থান করে না, তাদের জীবনে নানা সময় নানা বাঁধার সম্মুখিন হতে হয়। সেই সঙ্গে বিবাহ সম্পর্কির সমস্যা তো আছেই! তবে আপনি যদি চান, তাহলে মাঙ্গলিক হয়েও কিন্তু কষ্টের স্বাদ নাও পেতে পারেন।
কীভাবে এমনটা সম্ভব, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে বাস্তুশাস্ত্র মতে এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি যদি মেনে চলা যায়, তাহলে মঙ্গল যতই বক্রস্থানে অবস্থান করুক না কেন, কোনও বাঁধাই মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। সেই সঙ্গে বিবাহকালীন সময়ে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি যারা মঙ্গল দোষে দুষ্ট, তাদের এই প্রবন্ধে চোখ রাখলে কিন্তু জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে যেতে পারে। তাই সিদ্ধান্ত আপনার, পাঁচ মিনিট খরচ করে সুখি জীবনের সিক্রেট জানতে চান, নাকি মঙ্গলের মারে কাহিল হয়েই কাটিয়ে দিতে চান বাকি জীবনটা?
প্রসঙ্গত, সুখে-শান্তিতে থাকতে এক্ষেত্রে যে যে বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, সেগুলি হল...
১. বাড়ির প্রবেশ পথ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সদর দরজার সামনের অংশ যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, তাহলে সুখ এবং সমৃদ্ধির প্রবেশ ঘটে বাড়িতে। ফলে সুখের ঝাঁপি খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি খালি পকেট টাকায় ভরে যেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয মাথায় রাখতে হবে। সেটা হল বাড়ির সদর দরজা যেন উত্তর বা পূর্বমুখি হয় এবং দরজায় যেন নেম প্লেট লাগানো থাকে। কারণ এমনটা হলে বাড়িতে শুভ শক্তির প্রবেশ ঘটে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
২. সদর দরজার সামনের দেওয়াল:
বাড়িতে ঢুকেই যদি সামনে দেওয়াল পান, তাহলে সেই দেওয়াল কখনও খালি রাখবেন না। ইচ্ছা হলে কোনও মূর্তি বা পেন্টিং লাগাতে পারেন। আসলে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে সদর দরজার সামনের দেওয়াল খালি রাখলে খারাপ কোনও খবর পাওয়া আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে নেগেটিভ শক্তির প্রবেশ ঘটার কারণে ব্যাড লাক পিছু নেয়। তাই তো বলি বন্ধুরা একে তো মঙ্গলের দোষ, তাপর উপর যদি ব্যাড লাক পিছু নেয়। তাহলে কিন্তু বেজায় কেলো!
৩. বেড রুম:
খেয়াল রাখবেন সকাল বেলা শোওয়ার ঘরে যেন আলো-বাতাস প্রবেশ করে। কারণ এমনটা হলে পেজটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে। ফলে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরও কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন ধরুন- শোয়ার ঘরে যতটা সম্ভব কম আসবাব রাখতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে বেড রুমের দেওয়ালের রং যেন উজ্জ্বল না হয়। আর শোয়ার ঘর যেন হয় দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে।
৪. পেন্টিং:
হে মাঙ্গলিক যদি সুখ থাকতে চান, তাহলে যে কোনও পেন্টিংকে ঘরে তুলবেন না যেন! কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে আপনারা বাড়িতে কেবল নদী, ঝর্না এবং গোল্ডফিশের ছবি রাখতে পারেন। কারণ এমনটা করলে তবেই পজেটিভ এনার্জি আকৃষ্ট হয়। ফলে শুধু সুখের ঝাঁপি ভরে না, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, ভুলেও বাড়িতে যুদ্ধের কোনও ছবি এনে রাখবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমন ছবি খারাপ সময়কে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসে গৃহস্থে। আর এমনটা হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
৫. অ্যাকোয়ারিয়াম:
যাদের কুষ্টিতে মঙ্গল দোষ থাকে, তাদের মূলত যে সমস্যাটা হয়, সেটা হল মঙ্গলের কুপ্রভাবে নেগেটিভ এনার্জির মাত্রা বাড়তে থাকে। এই কারণেই তো ছোট-বড় সব কাজেই বাঁধা আসতে শুরু করে। তাই মঙ্গল দোষের প্রভাব কমাতে প্রথমেই এমন কিছু করা উচিত, যাতে নেগেটিভ এনার্জির জায়গা নিতে পারে পজেটিভ শক্তি। আর এমনটা যদি দ্রুত করতে চান, তাহলে অ্যাকোয়ারিয়ামের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আটটি গোল্ডফিশ বাড়িতে এনে রাখলে শুভ শক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৬. কাঁচের জানলা-দরজা:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে পরিষ্কার কাঁচের জানলা এবং দরজা প্রচুর মাত্রায় পজেটিভ শক্তির প্রবেশ ঘটায় বাড়িতে। ফলে মঙ্গল যতই দুর্বল হোক না কেন, জীবন সুন্দর এবং আনন্দময় হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব দিকে ঝর্নার ব্যবস্থা করলে সুফল মেলে।। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির এই নির্দিষ্ট দিকে অনবরত জলের ফ্লো থাকাটা বেজায় শুভ লক্ষণ।