Just In
- 1 hr ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 2 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 19 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 20 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
লাভ ম্যারেজে পরিবারের সম্মতি তো পেলেন, তারপরেও যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
একটা সময় ছিল যখন পরিবারের বাবা-মা এবং গুরুজনরাই বাড়ির ছেলে-মেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন। সেইসময়, একেবারে বিয়ের দিনই ছেলে এবং মেয়েটি প্রথমবার একে অপরকে দেখতে পেত। বিয়ের আগে আরা জানতও না যে তারা কাকে বিয়ে করতে চলেছে এবং তার চেহারা কেমন। তবে, এখন সময় বদলেছে। যুবক-যুবতীরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা কার সঙ্গে সারাটা জীবন কাটাতে চায়। এখন প্রায় সব সম্পর্কই বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু হয়ে পরে তা প্রেমে রূপান্তরিত হয় এবং সর্বশেষে সেই সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পায়।
অনেক সময় দেখা যায় প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়ই ভিন্ন রাজ্য, ভিন্ন সংস্কৃতি এবং সভ্যতার মানুষ। তাই, সেক্ষেত্রে উভয়ের পরিবারকেই রাজি করাতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। উভয় পরিবার তাদের বিয়েতে রাজি হলেও, ছেলে এবং মেয়েটির উপর চাপ আসে যে তারা এই সম্পর্কটাকে শেষ জীবন অবধি বয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে কি না।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস : বিশ্বব্যাপী মহামারির সময় বাড়িতে থেকে কাজ করবেন কীভাবে? দেখে নিন টিপসগুলি
সুতরাং, লাভ ম্যারেজ করতে চাওয়া কাপলদের কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হতে পারে এবং তারা কীভাবে এর সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে, তা দেখে নিন।
বিভিন্ন ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি
লাভ ম্যারেজের ক্ষেত্রে যদি ছেলে ও মেয়ের জাতি আলাদা হয় এবং উভয়েই ভিন্ন রাজ্যে বাস করে, তবে সেক্ষেত্রে কিছু বাধা আসে। এমন পরিস্থিতিতে উভয়েরই উচিত একে অপরের পাশাপাশি উভয়ের পরিবারকেও সমানভাবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকা। বিয়ের পরে দুজনেরই উচিত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যত্ন নেওয়া, সবার সঙ্গে মানিয়ে চলার চেষ্টা করা। এর ফলে, নতুন ভাষা এবং সংস্কৃতি বোঝার জন্য সবাই সাহায্য করবে।
ধৈর্য ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুটি মানুষ যখন তাদের গোটা জীবনটা একসঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তাদের এই পথে অনেক সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়। সম্পর্ক এবং বিবাহিত জীবনের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই, আপনাকে ধৈর্য ধরার পাশাপাশি প্রতিটি পদক্ষেপে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মনে রাখবেন, সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
মানিয়ে নিতে শিখুন
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হোক বা লাভ ম্যারেজ, বিয়েতে অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়। আজীবন একজন ব্যক্তির সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সবচেয়ে বড় অ্যাডজাস্ট এবং আপনার এটিকে সম্মান করা উচিত। যেকোনও ধরনের কঠিন পরিস্থিতিতেই আপনি একবার হলেও মনে করার চেষ্টা করবেন যে, আপনারা কেন একত্র হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এইভাবে আপনি আপনার বিবাহিত জীবনে সুখী হতে এবং আনন্দ উপভোগ করতে সক্ষম হবেন।
ভিডিয়ো কলে এনগেজমেন্ট! পুরো ঘটনাটি আপনাকেও অবাক করবে, দেখুন ভিডিয়ো
একে অপরের সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করুন
উভয়ই আলাদা আলাদা রাজ্যের হওয়ার জন্য দুজনেরই সংস্কৃতিতে ভিন্নতা দেখা দেয়। আপনি যদি এমন কারুর সঙ্গে বিবাহ করেন, তবে তার সংস্কৃতিটিও বোঝার চেষ্টা করুন। ভারতের বিভিন্ন জাতি, ধর্ম এবং সংস্কৃতির মানুষ যখন একে অপরের প্রতি ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা দেখাতে পারে, তখন আপনি আপনার সঙ্গীর জন্য এবং আপনাদের সম্পর্কের জন্য তার সংস্কৃতি জানার চেষ্টা করতে পারেন।
নিজের রীতি-নীতি উপেক্ষা করবেন না
সঙ্গী এবং পরিবারের ঐতিহ্য ও রীতি-নীতি গ্রহণ করা ভাল তবে নিজের শিকড়কে কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়। মেয়েরা তাদের স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করে, বিশেষত বিয়ের পরে। তবে এর মধ্যে আপনার নিজের বাড়ির পরিবারকে ভুলে যাবেন না। বিবাহ শুধুমাত্র দুটি মানুষ নয়, পাশাপাশি দুটি পরিবার এবং সংস্কৃতিকেও মিলিয়ে দেয়।
সমাজের কথায় কান দেবেন না
আজও সমাজে লাভ ম্যারেজ সম্পর্কে মানুষের মানসিকতা ভাল নয়। বিয়ের পরেও, আপনার পরিবারের বা পরিচিত ব্যক্তিরা এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন যারা প্রায়ই আপনাদের বিবাহ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই জাতীয় ব্যক্তিকে উপেক্ষা করা উভয়ের পক্ষেই ভাল।