Just In
কোনও খারাপ ঘটনা ঘটুক এমনটা যদি না চান তাহলে ভুলেও এই গাছগুলি বাড়িতে এনে রাখবেন না!
ই প্রবন্ধে এমন কিছু গাছের সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা ভুলেও বাড়ির অন্দরে রাখা উচিত নয়। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই গাছগুলি বাড়িতে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটায়। ফলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
বিশ্বাস করুন বা না করুন একথাটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে আমাদের গৃহস্থের অন্দরে যদি বাস্তু দোষ থাকে, তাহলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই এত ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে যে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু গাছের সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা ভুলেও বাড়ির অন্দরে রাখা উচিত নয়। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই গাছগুলি বাড়িতে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটায়। ফলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
শাস্ত্র মতে বাড়িতে তুলসি এবং মানি প্লান্ট গাছ রাখা বেজায় শুভ। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই গাছগুলি গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রবেশ ঘটায়। ফলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। কিন্তু ভুলেও যে গাছগুলি কেনা চলবে না, সেগুলি হল...
১. ক্যাকটাস গাছ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ক্যাকটাসের মতে কাঁটা জাতীয় গাছ বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ কাঁটা মানেই যন্ত্রণা। তাই তো এমন গাছ বাড়িতে রাখলে দুঃখে ভরে ওঠে জীবন। সেই সঙ্গে কন্টকময় হয়ে ওঠে জীবনের চলার পথ। তাই সুখে শান্তিতে থাকতে যদি চান, তাহলে ভুলেও ক্যাকটাস গাছ বাড়িতে আনা চলবে না।
২. বনসাই:
ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেকেই শোয়ার ঘরে বা বসার ঘরে বনসাই গাছ রেখে থাকেন। কিন্তু এমনটা করা উচিত নয়। কারণ এই ধরনের গাছ অশুভ শক্তির মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই তো বাস্তু বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের গাছ রাখতে মানা করেন। প্রসঙ্গত, বনসাইয়ের পাশাপাশি ঘরের চার দেওয়ালের অন্দরে লাল ফুল ফোটে এমন গাছ রাখাও চলবে না। তবে ইচ্ছা হলে বাড়ির বাইরে এই ধরনের গাছ রাখতেই পারেন, তাতে কোনও ক্ষতি নেই!
৩. তেঁতুল গাছ:
বিশ্বাস করা হয় যে তেঁতুল গাছ বাড়িতে থাকলে ইভিল স্পিরিট বা আত্মার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। আর এমনটা হলে কতটা যে ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। প্রসঙ্গত, বাড়ির অন্দরে একবার যদি কোনও ভাবে খারাপ আত্মার প্রবেশ ঘটে যায়, তাহলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কোনও না কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সুস্থ-সুন্দরভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে ভুলেও বাড়িতে তেঁতুল গাছ লাগাবেন না যেন!
৪. মেহেন্দি গাছ:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে তেঁতুল গাছের মতো মেহেন্দি গাছ বাড়িতে রাখলেও খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার সম্ভবনাও বৃদ্ধি পায়। তাই এমনসব ঘটনা অপনার সঙ্গেও ঘটুক, যদি না চান, তাহলে ভুল করেও বাড়িতে মেহেন্দি গাছ পুঁতবেন না যেন!
৫. মরে যাওয়া গাছ:
বাড়িতে রাখা যদি কোনও গাছ মারা যায়, তাহলে সময় নষ্ট না করে সেটিকে বাইরে ফেলে দেবেন। না হলে কিন্তু ব্যাড লাক রোজের সঙ্গী হবে। আর এমনটা হলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি সুখ-শান্তির ঝাঁপি খালি হতেও সময় লাগবে না। আর এমনটা হলে জীবন যে দুর্বিসহ হয়ে উঠবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৬. বাবলা গাছ:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে কাঁটা জাতীয় গাছ ভুলেও বাড়িতে রাখা চলবে না। আর বাবলা গাছ যেহেতু কাঁটা জাতীয় গাছ, তাই এই গাছটি বাড়িতে রাখলে অশুভ শক্তির প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। আর এমনটা হলে কতটা যে ক্ষতি হতে পারে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৭. তুলো গাছ:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে তুলো গাছ বাড়িতে পোঁতা মানে খারাপ শক্তিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসা। আর এমনটা করলে ভগবানই সহায়। তাই নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নানাবিধ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে চান, তাহলে তুলো গাছের ধারে কাছেও যাবেন না।
৮. বাড়ির উত্তর এবং পূর্ব দিকে নয়:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির উত্তর এবং পূর্ব দিকে টবে পোঁতা গাছ রাখাটা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে কুবের দেবের প্রবেশ আটকে যায়। ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের সম্ভাবনা যায় কমে। আর এমনটা অপনার সঙ্গে ঘটুক, যদি না চান, তাহলে এই নিয়মটি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!