Just In
Don't Miss
কালী পুজোর সময় এই ভুল কাজগুলি করলে কিন্তু মহা বিপদ...!
কালী পুজোর সময় যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত বাস্তু নিয়মগুলি মানা না হয়, তাহলে কোনও সুফলগুলি তো মিলবেই না, উল্টে ক্ষতি হবে।
হিন্দু শাস্ত্রে কালী পুজোর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এই সময় দেবীর আশীর্বাদে আমাদের চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি মাতৃশক্তির প্রভাবে আমাদের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। শুধু তাই নয়, দেবী শক্তির আশীর্বাদে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়।
সমস্যা একটাই! তা হল কালী পুজোর সময় যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত বাস্তু নিয়মগুলি মানা না হয়, তাহলে উপরে আলোচিত সুফলগুলি তো মিলবেই না, উল্টে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় খারাপ শক্তির প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা যাবে বেড়ে। বিশেষত বাস্তু দোষ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার কারণে অর্থনৈতিক সমস্যা তো দেখা যাবেই, সেই সঙ্গে লেজুড় হবে পারিবারিক অশান্তিও। শুধু তাই নয়, সামাজিক সম্মানহানীর আশঙ্কাও বাড়বে কিন্তু! তাই তো বলি বন্ধু, এবার কালী পুজোটা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য ভাল কাটুক, এমনটা যদি চান, তাহলে এই লেখাটি একবার পড়তে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, দিওয়ালির সময় যে যে বিষযগুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...
১. ঠাকুর প্রতিষ্টার সময় খেয়াল রাখতে হবে...
কালী পুজোর সময় ঠাকুর ঘরে মা লক্ষ্মী, গণেশ দেব এবং সরস্বতী মায়ের বিগ্রহ স্থাপন করতে ভুলবেন না যেন। আর মা লক্ষ্মীকে মাজে রেখে তাঁর বাদিকে গণেশ ঠাকুর এবং ডান দিকে মা সরস্বতীর ছবি বা মূর্তি রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল, দেব-দেবীরা বসা অবস্থায় রয়েছেন এমন ছবি বা মূর্তি প্রতিষ্টা করতে হবে। আর ভুলেও একই দেব-দেবীর একাধিক মূর্তি রাখা চলবে না। আসলে একই ঠাকুরের একাধিক ছবি মূর্তি থাকলে কোনও উপকার তো মেলেই না, উল্টে নানা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
২. বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুরের মূর্তি প্রতিষ্টা করলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ উপকার মিলতে সময় লাগে না। তবে ভুলেও দরজার একেবারে সামনে ঠাকুরের মূর্তি রাখতে যাবেন না যেন! সেই সঙ্গে আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল, এই সময় ঠাকুর ঘরে সোনার মোহর ভর্তি ঘড়ার ছবি রাখলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনও বিশ্বাস রয়েছে যে এমনটা করলে গৃহস্থে মা লক্ষ্মীর প্রবেশ ঘটে। ফলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে, দুঃখ পালায় দূরে!
৩. মা কালী এবং অলক্ষ্মী পুজোর নিয়ম:
এবছর বাড়িতে মা কালী এবং অলক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করার কথা ভাবছেন নাকি? তাহলে খেয়াল করে বাড়ির ইশান কোণে দেবী মূর্তি স্থাপন করতে ভুলবেন না যেন! কারণ বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে গৃহস্থের এই বিশেষ কোণে প্রচুর মাত্রায় পজেটিভ শক্তি মজুত থাকে। তাই তো এই বিশেষ স্থানে দেবী মূর্তি স্থাপন করলে গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ফলে খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর একবার ভাগ্য সহায় হলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য!
৪. অব্যহৃত জিনিস ফেলে দিন:
খেয়াল করে দেখবেন অনেকই বাড়ির ইতিউতি পুরানো জিনিস জমিয়ে রাখেন, যা তারা ব্যবহার তো করেনই না, উল্টে জমিয়ে রাখার কারণে বাড়ির সৌন্দর্য তো কমেই, সেই সঙ্গে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাই তো এবছর কালী পুজোর আগে খেয়াল করে পুরানো জিনিস সব ফেলে দিন। সেই সঙ্গে ভাল করে বাড়ির প্রতিটি কোণা পরিষ্কার করুন এবং সারা বাড়ি আলপোনা এবং রাঙ্গলীতে ভরিয়ে তুলুন। এমনটা করলে মা লক্ষ্মী এতটাই প্রসন্ন হবেন যে দেবীর আশীর্বাদে দেখবেন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, ব্যালকনি এবং ছাদে ময়লা বা পুরানো জিনিস জমে থাকলে তাও পরিষ্কার করে ফেলতে দেরি করবেন না যেন!
৫. চুল এবং নখ কাটা:
আপনার বা আপনার পরিবারের কোনও ক্ষতি হোক এমনটা যদি না চান, তাহলে ভুলেও কালী পুজোর দিন চুল এবং নখ কাটার মতো ভুল কাজটা করবেন না যেন! আসলে কোনও শুভ দিনে এমনটা করলে আশপাশে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না!
৬. দিনের বেলা ঘুম নৈব নৈব চ:
বাকি দিন ঘুমোন, কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ভুলেও দিওয়ালির সময় দিনের বেলা ঘুমতে যাবেন না। কারণ এমনটা করলে বাড়িতে অলক্ষীর প্রবেশ ঘটে। ফলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা যেমন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তেমনি আরও একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। ফলে সুখ-শান্তি বিঘ্নিত হতে সময় লাগে না। আর পুজোর দিনে এমনটা হোক তা নিশ্চয় চাইবেন না?
৭. বিশেষ প্রদীপ:
কালী পুজোর দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে একটা প্রদীপ জ্বালাবেন ঠাকুর ঘরে। খেয়াল রাখবেন সেই প্রাদীপটা যেন সারা দিন এবং সারা রাত জ্বলে। আর ঠিক এই কারণে পরিবারের একজন সদস্যকে সারা রাত জাগতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে যাতে প্রদীপটা সারাক্ষণ জ্বলে থাকে। আসলে বন্ধু এমনটা করলে শুভ শক্তির প্রভাব বাড়ে গৃহস্থে। ফলে কোনও ধরনের খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৮. নকল ফুল মটে নয়:
খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই দিওয়ালির সময় বাড়ির সদর দরজায় নকল ফুল দিয়ে সাজান। এমনকী কোনও কোনও সময় পুজোর দিন বাড়ির বিভিন্ন অংশের ডেকরেশনের জন্য নকল ফুলের ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই তো জেনে রাখুন বন্ধু, এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে দিওয়ালির মতো বিশেষ দিনে নকল ফুল দিয়ে ঘর সাজালে মা লক্ষ্মী বেজায় রুষ্ট হন। আর এমনটা হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা কি আর বলে দিতে হবে বন্ধু? তাই বলি, যদি ঘর সাজাতেই হয়, তাহলে নকল নয়, আসল ফুল দিয়ে তা করুন, নচেৎ ঘর সাজানোর কোনও প্রয়োজন নেই।