Just In
পূর্ণিমার দিন চাঁদের প্রভাবে আপনার ভাল হবে না মন্দ, সে সম্পর্কে জেনে নিন নিজের রাশিটা বিশ্লেষণ করে!
বিশ্বাস করুন বা না করুন একথা মানতেই হবে যে পূর্ণিমার দিন আকাশকে রূপালী চাদরে মুড়িয়ে যখন চাঁদের অর্বিভাব ঘটে, তখন তার প্রভাব আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের উপর পরে।
বিশ্বাস করুন বা না করুন একথা মানতেই হবে যে পূর্ণিমার দিন আকাশকে রূপালী চাদরে মুড়িয়ে যখন চাঁদের অর্বিভাব ঘটে, তখন তার প্রভাব আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের উপর যেমন পরে, তেমনি প্রতিটি রাশিও নানাভাবে প্রভাবিত হয় থাকে। আর সেই প্রভাবে আপনার যেমন ভাল হতে পারে, তেমনি একের পর এক খারাপ ঘটনায় জীবন দুর্বিষহ হয়েও উঠতে পারে। তাই তো পূর্মিমার সময় কোন রাশির উপর চাঁদের কেমন প্রভাব পরে, সে সম্পর্কে আগে থেকে জেনে নিয়ে যদি প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করা যায়, তাহলে কিন্তু কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
এখন প্রশ্ন কোন উপর পূর্ণিমার কেমন প্রভাব পরে, সে সম্পর্কে আগে থেকে জানা যাবে কীভাবে? কোনও চিন্তা নেই বন্ধু! একবার এই প্রবন্ধে চোখ রাখুন, তাহলেই আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তবে তার আগে আপনার রাশিটা কী সেটা জেনে নিতে ভুলবেন না যেন!
১. মেষরাশি:
পূর্ণিমার সময়ে মেষরাশির উপর চাঁদের এমন প্রভাব পরে যে ভাগ্য ফিরে যেতে সময় লাগে না। ফলে কর্মজীবনে চটজলদি উন্নতি লাভের পথ যেমন প্রশস্ত হয়, তেমনি পরিবারিক জীবনেও হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসে। শুধু তাই নয়, এই সময় প্রিয়জনেদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটার সম্ভাবনাও থাকে। ফলে স্ট্রেস এবং মানসিক অশান্তি দূর হতে সময় লাগে না।
২. বৃষরাশি:
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই সময় বৃষরাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনে ভাল সময় ফিরে আসে। বিশেষত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। তাই তো পূর্ণিমার সময়ে খেয়াল করে চাকরি এবং সঞ্চয়ের দিকে খেয়াল রাখবেন, দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন! প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে ফুল মুনের দিন আপনার জন্মকুষ্টিতে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে পরিবারিক জীবনে সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। মধ্যা কথা হল পূর্ণিমা কিন্তু আপনার জীবনে ভাল সময় নিয়ে আসে। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
৩. মিথুনরাশি:
আপনি নতুন নতুন মানুষদের সঙ্গে মিশতে বেজায় পছন্দ করেন, তাই না? শুনলে হয়তো বিশ্বাস করবেন না, পূর্ণিমার সময় চাঁদের প্রভাবে আপনার চরিত্রের এই দিকটি বেজায় জোরালো হয়ে ওঠে। তাই তো এই সময়টা অচেনা মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর জন্য একেবারে আদর্শ সময়। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল পূর্ণিমার সময় ভুলেও কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না যেন!
৪. কর্কটরাশি:
এই সময় এদের আত্মবিশ্বাস এতটাই বেড়ে যায় যে কর্মজীবনে আকাশচোঁয়া সাফল্য পেতে সময় লাগে না। তবে এই সময় এরা বেজায় মানসিক দোলাচলের মধ্য়ে দিয়ে যান। তাই তো শান্তভাবে বসে মনোযোগের সঙ্গে কাজ করা বেজায় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই সমস্যাটাকে যদি কোনওভাবে বাগে আনা যেতে পারে, তাহলে কিন্তু কর্কটরাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য পূর্ণিমার দিনটা কিন্তু বেজায় লাকি।
৫. সিংহরাশি:
নতুন কোনও কাজ শুরু করার জন্য পূর্ণিমার দিনটা কিন্তু বেজায় শুভ দিন। কারণ এদিন কোনও কাজ শুরু করলে চাঁদের প্রভাবে তাতে সফলতা লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, যারা ক্রিয়েটিভ কাজ করে থাকেন, তাদের তো কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনাও আরও বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, নতুন কোনও সম্পর্ক শুরু করার জন্যও কিন্তু পূর্ণমির দিনটা বেজায় শুভ। তাই কাউকে মনে ধরে থাকলে এদিন আপনার মনের কথা ভালবাসার মানুষটিকে জানাতে ভুলবেন না যেন!
৬. কন্যারাশি:
চাঁদের প্রভাবে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের শারীরিক এবং মানসিক ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে নানাবিধ রোগভোগ যেমন দূরে পালায়, তেমনি কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়।
৭. তুলারাশি:
অতি মাত্রায় রোমান্টিক প্রকৃতির হওয়ার কারণে খারাপ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যায় এই রাশির জাতক-জাতিকাদের মধ্যে। তবে পূর্নিমার সময় কিন্তু মনের মানুষের সন্ধান পাওয়ার যোগ রয়েছে। তাই তো এই সময়কাটে ঠিক মতো কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন! শুধু তাই নয়, আগামী সময় পারিবারিক এবং কর্মজীবনকে কোন পথে নিয়ে যাবেন, সে সম্পর্কে প্লান করে নেওয়ার আদর্শ সময় হল এটি। তাই তো বলি বন্ধু, জীবনের ছবিটাকে যদি রঙিয়ে তুলতে চান, তাহলে এই সময়টা কিন্তু একেবারেই নষ্ট করবেন না।
৮. বৃশ্চিকরাশি:
এই সময় এরা মানসিকভাবে এতটাই ভঙ্গুর অবস্থায় থাকেন যে কথায় কথায় রেগে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই তো পূর্ণিমার সময় বৃশ্চিকরাশির জাতক-জাতিকাদের থেকে কিছুটা দূরত্ব রাখাই ভাল।
৯. ধনুরাশি:
মাসের এই বিশেষ সময়ে এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেজায় চঞ্চয় হয়ে ওঠেন। ফলে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপদে পরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে বেশ কিছু ভাল ফল পাওয়ার যোগও থাকে। যেমন ধরুন এই সময় এদের মনের জোর এতটাই বেড়ে যায় যে কোনও কাজে সফলতা লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
১০. মকররাশি:
কর্মজীবনকে নিজের মনের মতো করে যদি সাজিয়ে তুলতে চান, তাহলে পূর্ণিমা হল সবথেকে আদর্শ সময়। তাই তো এই সময় চাকরি বা ব্যবসা সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবেন না যেন! তবে শুধু কর্মজীবনে নয়, পারিবারিক জীবনেও সুখের সন্ধান পাওয়ার যোগ থাকে এই সময়ে। তাই তো পূর্ণিমার আগে পরে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
১১. কুম্ভরাশি:
মানুষকে সাহায্য করার জন্য বেজায় শুভ সময় হল এটি। তাই তো পূর্ণিমার সময় যতটা সম্ভব আপনার আশেপাশের মানুষদের সাহায্য করার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলে দেখবেন আপনার জীবনও আনন্দে ভরে উঠবে।
১২. মীনরাশি:
পূর্ণিমার সময় চাঁদের প্রভাবে এদের জীবনকে ঘিরে ধরা খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে পজেটিভ শক্তির প্রভাবে হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তি যেমন ফিরে আসে, তেমনি প্রিয়জনেদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, কোনও প্রিয়জন যদি আপনার উপর রেগে গিয়ে থাকেন, তাহলে তার মন জয় করার জন্য আদর্শ সময় গল পূর্ণিমা।