Just In
- 6 hrs ago
সিল্কি এবং ঘন চুল পেতে ডায়েটে এই ভিটামিনগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন
- 9 hrs ago
রান্নাঘরে থাকা এই জিনিসগুলিই নতুন মায়ের বুকের দুধ উৎপাদনে সাহায্য করবে!
- 14 hrs ago
মকর রাশিতে প্রবেশ করবে শুক্র, এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য শুভ হবে
- 14 hrs ago
পেঁপে পাতার রস বহু অসুখের মহৌষধ! জেনে নিন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
Don't Miss
স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের খপ্পর থেকে বাঁচতে কোন রাশির কী করা উচিত জেনে ফেলুন তা ঝটপট!
আমাদের দেশের যুব সমাজের মধ্যে স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনের মতো সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যাটা যে ক্রমাগত বাড়ছে, তা "হু" এর রিপোর্টের দিকে নজর ফেরালেই স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশ করা ডেটা অনুসারে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪.৫-৫ শতাংশ ডিপ্রেশনের শিকার। অর্থাৎ প্রায় ৫৬,৬৭৫,৯৬৯ সংখ্যক মানুষ এই মারণ রোগের খপ্পরে পরেছেন। আর এই ৩ বছরে সংখ্যাটা যে আরও বেড়েছে তার প্রমাণ মিলছে আরেক রিপোর্ট থেকে। অ্যাসোচেমের করা এক সমীক্ষা অনুসারে কর্পোরেট এমপ্লয়িদের মধ্যে প্রায় ৪২.৫ শতাংশ স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের শিকার এবং এই করণে আত্মহত্যা করতেও অনেকে পিছপা হন না। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল এই ৪২ শতাংশের মধ্যে বেশির ভাগেরই বয়স ৩০-এর আশেপাশে।
আর যদি বেসরকারি রিপোর্টের উপর ভরসা রাখতে না পরেন বন্ধু, তাহলে সরকারি রিপোর্ট ঘেঁটেও দেখতে পারেন, তবে একই উত্তর পাবেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত এক সরকারি রিপোর্ট অনুসারে বর্তমানে আমাদের দেশের প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জনের হয় সাইকোলজিকাল, নয়তো সাইকিয়াট্রিক ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে। তাই তো বলি বন্ধু এমন পরিস্থিতির শিকার যদি আপনি হতে না চান, তাহলে রাশি অনুসারে কী পদ্ধতি অবলম্বন করলে ড্রিপেশন এবং স্ট্রেসকে চটজলদি কমিয়ে ফেলা সম্ভব, সে সম্পর্কে জেনে নিতে এই লেখায় চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, রাশি অনুসারে যে যে পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে, সেগুলি হল...

১. মেষরাশি:
আপনাদের যখনই মনে হবে স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণের বাইয়ে যাচ্ছে বা মনটা বেজায় খারাপ হয়ে গেছে, তখনই বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন, দেখবেন মানসিক চাপ কমে যেতে সময় লাগবে না। প্রয়োজনে একটু পকেট হালকা করে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিও করতে পারেন। এমনটা করলে কোনও ভাবেই দেখবেন স্ট্রেস আপনার মানসিক বা শারীরিক ক্ষতি করতে পারছে না।

২. বৃষরাশি:
কাজের চাপে স্ট্রেস লেভেল মাত্রা ছাড়িয়েছে? কোনও চিন্তা নেই বন্ধু, অফিস থেকে বাড়ি ফিরে হলকা মিউজিক চালিয়ে একটু বিশ্রাম করুন। নিজের সঙ্গে একটু সময় কাটান অথবা নিরিবিলি কোনও পার্কে গিয়ে প্রকৃতিক মাঝে অল্প সময় বসে থাকুন। দেখবেন চাপ একেবারে কমে যাবে। সেই সঙ্গে মনও চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

৩. মিথুনরাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকারা নতুন নতুন জয়গা ঘুরতে বেজায় পছন্দ করেন। তাই তো আপনাদের যখনই মনে হবে জীবনটা বেজায় স্ট্রেসফুল হয়ে উঠেছে, তখনই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পরবেন। দেখবেন মন নিমেষে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। ফলে স্ট্রেস লেভেল একেবারে তলানিতে এসে ঠেকবে। আর যদি পকেট সঙ্গ না দেয়, তাহলে যখনই সময় পাবেন টিভি বা ইউটিউবে ট্রভেল শো দেখবেন। তাহলেও কিন্তু মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

৪. কর্কটরাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকারা পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাতে বেজায় পছন্দ করেন, তাই তো যখনই মনে হবে স্ট্রেস লেভেল বাড়ছে, তখনই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। সুযোগ থাকলে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আউটিংয়েও যেতে পারেন। এমনটা করলে দেখবেন মন এতটাই অনন্দে ভরে উঠবে যে স্ট্রেসের প্রকোপ কমতে সময় লাগবে না।

৫. সিংহরাশি:
মন দুঃখের খপ্পরে পরলেই বেরিয়ে পরুন। একটু শপিং করলেও মন্দ হয় না। মধ্যা কথা এদিক-সেদিক ঘুরলে, নিজের সঙ্গে একটু সময় কাটালে দেখবেন মানসিক চাপ একেবারে কমে গেছে। সেই সঙ্গে ডিপ্রেশনের প্রকোপ কমতেও সময় লাগবে না। কিন্তু মন যখন খারাপ থাকবে, তখন কিন্তু ভুলেও একা একা বাড়িতে বসে থাকবেন না! কারণ এমনটা করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে মোর নিতে পারে কিন্তু।

৬. কন্যারাশি:
মানসিক শান্তি দূরে পালিয়েছে। ফলে মনটা বেজায় খারাপ। নো প্রবলেম বন্ধু, একটু সময় বার করে কোনও আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে আসুন। নয়তো পছন্দের কোন সিনেমাও দেখতে পারেন। আসলে এমনটা করলে মন নিমেষে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে স্ট্রেসও কমবে চোখে পরার মতো।

৭. তুলারাশি:
এরা অল্পতেই চাপে পরে যান। বিশেষত অফিস এবং পার্সোনাল লাইফের মধ্যেকার ব্যালেন্স যদি একবার বিগড়ে যায়, তাহলে তো আরও কোলো। কারণ সেক্ষেত্রে এদের পাগল-পাগল পরিস্থিতি হয়ে যায়। এমন সময় সব কিছু ভুলে পছন্দের কোনও কাজ করুন। যেমন ধরুন বই পড়া, সিনেমা দেখা অথবা গান শোনা। এমনটা করলে দেখবেন স্ট্রেস তো কমবেই, তার পাশাপাশি মনও হালকা হবে।

৮. বৃশ্চিকরাশি:
আপনাদের যখনই মনে হবে মন একেবারেই নিয়ন্ত্রণে নেই, তখনই নিজের সঙ্গে একটু সময় কাটাবেন, নয়তো কাছে-পিঠে কোথাও ঘুরতে চলে যেতে পারেন। এমনটা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!

৯. ধনুরাশি:
এরা একা থাকতে বেজায় ভয় পান। তাই তো স্ট্রেসফুল পরিস্থিতিতে ভুলেও একা থাকতে যাবেন না। বরং বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে ডেকে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করতে পারেন। কারণ এমনটা দেখা গেছে গুড ফুড, সঙ্গে মনের মতো মানুষ এবং মিউজিক, আপনার মনকে চাঙ্গা করে তোলার জন্য যথেষ্ট।

১০. মকররাশি:
মজার বিষয় এরা কাজ করতে বেজায় ভালোবাসেন। তাই তো মানসিকভাবে চাপে থাকলে এদের বেশি বেশি করে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এমনটা করলে মকররাশির জাতক-জাতিকাদের শুধু মন ভাল হয়ে ওঠে না। সেই সঙ্গে কাজের মধ্যে থাকার কারণে স্ট্রেসও কমে চোখে পরার মতো।

১১. কুম্ভরাশি:
যখনই দেখবেন জীবনের ভারসাম্যটা বিগড়ে গেছে, তখনই কাজ থেকে ছুটি নিয়ে নতুন কোনও রেস্ট্ররেন্টে ঢুঁ মেরে আসবেন, নয়তো পছন্দের কোনও বইয়ের সঙ্গেও সময় কাটাতে পারেন। এমনটা করলে মন চাঙ্গা হয়ে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না।

১২. মীনরাশি:
আপনার দিবা স্বপ্ন দেখতে বেজায় ভালোবাসেন, কি তাই না? তাই এবার থেকে যখনই দেখবেন স্ট্রেস লেভেল মাত্রা ছাড়িয়েছে, তখনই অফিস থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে নিজের সঙ্গে একটু সময় কাটাবেন, এমনকি দিবা স্বপ্ন দেখেও দিন কাটাতে পারেন। কারণ এমনটা করলে আপনি শান্তির সন্ধান পাবেন। ফলে মন আনন্দে ভরে উঠবে। প্রসঙ্গত, স্ট্রেস কমাতে প্রণায়মও করতে পারেন। তাহলেও কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়।