Related Articles
পৃথিবীর ১০ অন্যতম ভূতুড়ে জায়গা
আপনি কি ভূতে বিশ্বাস করেন? চারপাশের সব ব্যাখ্যাতীত ঘটনায় আপনার কি মতামত।উত্তরের অপেক্ষা আর নাই বা করলাম।কারণ এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে একটাই যোগসূত্র অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা। আমাদের সবার জীবনেই কোনো না কোনো সময় এমন কিছু অভিজ্ঞতা আমাতের সবারই হয়েছে জীবনে কখনও না কখনও।কোনো কোনো সময় আমরা কিছু একটা ভূতুড়ে অনুভূতি বলে বোধ করি, কখনও বা স্রেফ পাশ কাটিয়ে চলে যাই খেয়াল না করে।আবার কখনও এমনও হয় যে কিছু লোকের কল্পনার মাত্রা অন্যদের চেয়ে বেশী এবং তারা সাধারণ ঘটনাকেও অপ্রাকৃতিক বলে ভাবতে শুরু করে।জানুন এরকম কিছু অবাক করা তথ্য। কিন্তু যেসব ঘটনা আপনি পড়তে চলেছেন সেগুলোর কোনো ব্যাখ্যা নেই এবং এখনও ঘটে।আর আপনি যদি এসবে বিশ্বা্স রাখেন না এমন একজন হন? ঘটনাগুলো পড়ার পর সেও ভাবতে শুরু করবে, যদি এ ভূত নয় তবে কি?পড়ে দেখুন কিছু স্হানীয় ভূতুড়ে ঘ্টনা যারা নিজেদের পরিচয় তো দিয়েছে কিন্তু কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।আবার কখনও আমরা বিশ্বাস না করে মন খোঁজে অন্য পথে এর ব্যাখ্যা।দেখুন এরকম কিছু ভূতুড়ে ও গা ছমছমে জায়গাগুলি সম্বন্ধে।
পুরোনো চাঙ্গী হসপিটাল, সিঙ্গাপুর
এই হাসপাতালটি তৈরী হয়েছিল ১৯৩৫ নাগাদ। জাপানীরা এটি দখল করে নেয়।জাপানীরা এটাকে গোপন অত্যাচারের ঘাঁটি বানায় এবং যুদ্ধ বন্দিদের নিয়ে এসে নীপিড়ন করত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর পর ১৯৯৭ সালে এটিকে নতুন চাঙ্গী হাসপাতালে পরিণত করা হয়। কিন্তু রুগীরা আজ অবধি শান্তিতে থাকতে পারেনি।জোরে চিৎকার ও দরজায় দাপাদাপি আজও শোনা যায় হাসপাতালে আজও।
আইল্যান্ড অফ ডলস্,মেক্সিকো
পুতুল প্রেমিকরা এটা শুনুন। একটি ছোট্ট মেয়ে জলে ডুবে মারা যায় জোকিমিলকো মেক্সিকোর কৃত্রিম দ্বীপে।১৯৫০-এ একজন এই জায়গায় থাকতে আসেন সেই নালার কাছে যেখানে সেই মেয়েটি মারা যায়।ছোট্ট মেয়েটির আত্মা মাঝে মাঝেই এসে বিরক্ত করত লোকটিকে। আত্মাকে খুশি করার জন্য লোকটি অনেক পুতুল কিনে ওই দ্বীপের চারপাশে ঝুলিয়ে রাখত।২০০১ সালে লোকটি মারা যায় ওই একই জায়গায় যেখানে আগে মেয়েটি মারা গেছিল। আজও যারা ওখানে যান, মনে হয় যেন ওই পুতুলের চোখ যেন ওদের পিছু করছে। হালকা চাপা হাসির শব্দও ভেসে আসে কানে।
ভানগড় দুর্গ, রাজস্হান
এবার আসি দেশে, ঘরের কাছে। যারা এই জায়গাতে গেছেন তারা জানেন। যারা জানেন না, তাদের জন্য এই হল গল্পটা।ভারতবর্ষের রাজস্হানে আলওয়ার জেলায় এটি একটি পরিত্যক্ত দু্র্গ।লোকের বিশ্বাস যে এখানে তান্ত্রিকের অভিশাপ আছে।এক বেপরোয়া তান্ত্রিক রাজকুমারীর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অভিশাপ দেন যে ওখানে কোনো বাড়ির ছাদ থাকবে না। আজ অবধি কোনো বাড়ির ছাদ নেইও।জায়গাটি পরিত্যক্ত ও আজ অবধি ভারতবর্ষের অন্যতম ভূতুড়ে জায়গা।
সেন্ট. অগাস্টিন লাইটহাউস,অ্যামেরিকা
এই লাইটহাউসটি ১৮২০ সালে তৈরী হয়।এর সাথে জড়িয়ে আছে খুবই ভূতুড়ে কিছু ঘটনা।সিগারের গন্ধ, হয়ত ওখানে মারা যাওয়া কেয়ারটেকারের ইত্যাদি পেয়েছে বহু বেড়াতে আসা মানুষ।দুটি ছোট মেয়ে যারা ওখানে মারা গেছে, তারা যেন চেষ্টা করে সিঁড়ি দিয়ে টেনে আনতে বেড়াতে আসা মানুষজনকে।অস্বাভাবিক জিনিস নিয়ে গবেষণা যারা করেন তারা অনুভব করেছেন যেন কোনো মহিলা তাঁদের দেখছেন সিঁড়ির ওপর থেকে।বিভিন্ন রকমের ছায়া ও মহিলার কণ্ঠস্বর ছাড়াও আরও অনেক কিছু।
এনসিয়েন্ট রাম ইন, ইংল্যান্ড
নামটা হঠাৎ কিছু মনে করিয়ে দেয় কি? এক ঝলকে রামের সাথে শয়তানের চিরপ্রচলিত সম্বন্ধ যেন।যাইহোক, ফিরে আসি এই সরাইখানার কথায়।কথায় আছে যে শয়তান নিজেই বাস করে এই জায়গায়।শয়তানের উদ্দ্যেশ্যএ বলি এবং বহু হিংসাত্মক ঘটনার সাক্ষী এই সরাইখানা। যিনি মালিক, তিনি বলেন প্রথম রাতেই ওনাকে বিছানা থেকে কোনো প্রবল শক্তি তুলে হল ঘরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।
চাটাউ ডে ব্রিসাক, ফ্রান্স
এই সুরক্ষিত প্রাসাদটি একাদশ সতকের সাক্ষী এক বিভৎস জোড়া খুনের।সবুজ রং-এর পোশাক পরিহিত এক মহিলাকে দেখা যায়, মুখটা পচা গলা মৃতদেহর মত। খুনের।সবুজ রং-এর পোশাক পরিহিত এই মহিলাক হাহাকার ও আর্তনাদ করে ঘুরে বেরান। বেশ গা ছমছমে!
মাউন্ট এভারেস্ট, নেপাল
এভারেস্টর পর্বতারোহীরা বলেন তারা এ্যানড্রু আরভিনের ভূত দেখেছেন। উনি ১৯২৪ সালে হারিয়ে যান এবং ওনার দেহটিও খূঁজে পাওয়া যায় না।বলা হয় উনি পর্বতারোহীদের বিভ্রান্ত করেন, কারণ উনি শিখরে পৌছনোর খুব কাছে ছিলেন। পারলে উনিই প্রথম মানুষ হতেন এভারেস্টের চুড়োয়।
আওকিঘারা জঙ্গল,জাপান
এই কুখ্যাত প্রাণঘাতক জঙ্গলটি মাউন্ট ফুজির পায়ের কাছে।প্রতি বছর শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটে এই জঙ্গলে যদিও সরকার আসল সংখ্যাটি গোপন রাখে।ঘন জঙ্গল হাওয়ার গতি রোধ করে এবং এর সাথে জড়িত দৈত্য দানবের গল্প আরও ভয়াবহ করে তোলে জায়গাটিকে।মৃতরা মরার পরেও যেতে চাইছে না ওখান থেকে এবং তাদের সেই আর্তনাদ আজও শোনা যায়।
হাইগেট সিমেট্রি, ইংল্যান্ড
১৮৩৯-এ স্হাপিত এই কবরখানাটি লন্ডন,ইংল্যান্ডের অন্যতম ভূতুড়ে জায়গার মধ্যে পড়ে।বলা হয় ছায়া দেখা যায় ও এক মহিলাকে দেখা যায় ছুটে বেড়াতে। প্রচলিত আছে এই মহিলা খুঁজে বেরায় নিজের হাতে খুন করা সন্তানদের। এছাড়াও একটি ওভারকোট পরা লম্বা লোক মাঝে মাঝেই দেখা যায় যাকে সবাই ড্রাকুলা বলে ডাকে।
দা হিল অফ ক্রসেস্ , লিথুয়ানা
তীর্থস্হান হিসেবে এই পা্হাড়টিকে নির্ধারণ করা হয় ১৮৩০ সালে। এখানে ১০০,০০টি ক্রস্ আছে। স্হানটি বেশ ভূতুড়ে এবং সন্ধ্যের পর না যাওয়াই ভালো।