Just In
- 12 hrs ago আপনার সুন্দর নখ ভেঙে গিয়েছে? ভাঙা নখ ঠিক করার কিছু ঘরোয়া টোটকা
- 13 hrs ago ধূমপান ছাড়তে চান, কিন্তু পারছেন না! মৃত্য়ুর হাত থেকে বাঁচতে মেনে চলুন এই উপায়গুলি
- 15 hrs ago উচ্চ কোলেস্টেরল দূর করতে এক কাপ লবঙ্গ চা যথেষ্ট, ভাবচ্ছেন বানাবেন কীভাবে?
- 18 hrs ago ৫০ বছর পর বিরল সূর্যগ্রহণ, কোথায়, কিভাবে দেখতে পাবেন? জানুন
নীরজা ভানোট : আজ জন্মবার্ষিকীতে তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য
আজ, ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের সাহসী নারীদের মধ্যে অন্যতম নীরজা ভানোটের জন্মবার্ষিকী। যিনি মাত্র ২৩ বছর বয়সে সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে বিমানের যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিয়েছিলেন সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।
১৯৮৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্যান এম ফ্লাইট ৭৩ - বিমানটির মোট ৩৮০ জন যাত্রী নিয়ে মুম্বই থেকে করাচি, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট হয়ে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরের টারম্যাকে বিমানটি দাঁড়িয়ে থাকার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের ছদ্মবেশে কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী এসে বিমানটি হাইজ্যাক করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, বিমানটি সাইপ্রাসে উড়িয়ে নিয়ে যাবে, আর সেখানে যাত্রীদের বন্দি করে নিজেদের দলীয় কিছু সন্ত্রাসবাদীকে জেল থেকে মুক্ত করাবে। সেই সময়, এমার্জেন্সি গেট থেকে যাত্রীদের পালাতে সাহায্য করে নীরজা। তখনই সন্ত্রাসীবাদীরা তাঁকে গুলি করে, তাতেই প্রাণ হারান নীরজা ভানোট। হাইজ্যাকের ঘটনায় ৩৮০ জন যাত্রীর মধ্যে নীরজাসহ মোট ২০ জন মারা গিয়েছিলেন। ৩৬০ জনকে বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর জীবন, সাহসিকতা এবং বীরত্ব নিয়ে হিন্দিতে একটি বায়োপিক করা হয়েছিল। সেখানে নীরজা ভানোটের জায়গায় অভিনয় করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কপূর। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হল-
১) ১৯৬৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের চন্ডীগড়ে জন্ম নীরজা ভানোটের। পরে মুম্বাইয়ে চলে আসেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে। মুম্বাইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকেই গ্র্যাজুয়েশন করেন।
২) বিমান সেবিকা হওয়ার আগে তিনি ছিলেন বিখ্যাত মডেল। অনেকগুলি প্রিন্ট ও টিভির বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনেও তাঁকে দেখা গেছে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাঁকে প্রথম মডেলিংয়ের জন্য নিয়োগ করা হয়।
৩) ২১ বছর বয়সে নীরজা বিয়ে করেন। বিয়ের পরে তিনি স্বামীর সাথে বিদেশে চলে যান। বিয়ের পর নানান সমস্যার কারণে তিনি বিয়ে ভেঙে দেশে ফিরে আসেন।
৪) তাঁর পরিবারের সবাই তাঁকে ভালোবেসে 'লাডো' বলে ডাকত।
৫) তিনি 'প্যান অ্যাম' সংস্থায় এয়ার হস্টেস পদে আবেদন করেছিলেন এবং তিনি নির্বাচিতও হয়েছিলেন।
৬) তাঁর ২৩ তম জন্মদিনের কয়েকঘণ্টা আগেই তাঁকে গুলি করা হয়।
৭) তিনি তাঁর বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য মরণোত্তর ভারতের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার 'অশোক চক্র' পুরষ্কার পেয়েছিলেন। আমেরিকার সরকার দিয়েছে ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশন 'হিরোইজম অ্যাওয়ার্ড'। পাকিস্তান ও কলম্বিয়া সরকারের পক্ষ থেকেও পুরস্কার এসেছিল। ২০০৪ সালে অসম সাহসী এই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের নামে একটি স্ট্যাম্পও বের করে ভারতীয় ডাকবিভাগ।
৮) তিনি হলেন সর্বকনিষ্ঠ অশোক চক্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম মহিলা।
৯) মুম্বইয়ের ঘাটকোপারে তাঁর নাম অনুসারে নীরজা ভানোট চক নামে একটি জায়গা আছে।