Just In
বাস্তুশাস্ত্র: এই নিয়মগুলি মেনে রান্না ঘর তৈরি করেছেন তো? না হলে কিন্তু...!
বাস্তু নিয়ম মেনে বাড়ির অন্দর মহলকে সাজিয়ে না তুললে কী কী বিপদ ঘটতে পারে তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
বাস্তু নিয়ম মেনে বাড়ির অন্দর মহলকে সাজিয়ে না তুললে কী কী বিপদ ঘটতে পারে তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। তাই তো বলি বন্ধু সুখ-শান্তিতে থাকতে এবং নানাবিধ বিপদ থেকে দূরে থাকতে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! আসলে বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে রান্না ঘর তৈরির সময় যদি এই নিয়মগুলি মাথায় রাখা না হয়, তাহলে বাস্তু দোষ দেখা দেয়। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হওযার আশঙ্কাও থাকে। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে বাস্তু দোষ দেখা দিলে গৃহস্তের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রবেশ ঘটতে শুরু করে। ফলে সুখ-শান্তিও দূরে পালায়।
এখন প্রশ্ন হল বাস্তু দোষের মতো সমস্যা এড়াতে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
১. রান্না ঘরের দিক:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে রান্না ঘর সব সময় দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত। কারণ এমন জায়গায় কিচেন তৈরি করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। এখন প্রশ্ন হল, যাদের ক্ষেত্রে এই নির্দিষ্ট দিকে রান্না ঘর তৈরি করা সম্ভব নয়, তারা কী করবেন। সেক্ষেত্রে উত্তর-পশ্চিম দিকে রান্না ঘর সেটআপ করতে হবে। কিন্তু ভুলেও আর কোনও দিকে নয় কিন্তু!
২. গ্যাস স্টোভ কোথায় রাখতে হবে:
রান্না ঘর ঠিক ঠিক জায়গায় তৈরি করা যতটা গুরুত্বপূর্ন, ততটাই জরুরি গ্যাস স্টোবের অবস্থানও। তাই তো বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে রান্না ঘরে গ্যাস স্টোভ রাখতে হবে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মুখ করে। আর খেয়াল রাখতে হবে রান্না করার সময় আপনার মুখ যেন থাকে পূর্ব দিকে। কারণ এমনটা করলে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি কোনও দিন খাবারের অভাব ঘটবে না।
৩. সিঙ্ক হতে হবে গ্যাস স্টোভের থেকে দূরে:
খেয়াল করে সিঙ্ক এবং ট্যাপ লাগাবেন গ্যাস স্টোভের থেকে বেশ খানিকটা দূরে। সেই সঙ্গে আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে, তা হল উত্তর-পূর্ব দিকে সিঙ্ক এবং ট্যাপ ফিট করবেন। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নিয়মটি মানলে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। আসলে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে আগুন এবং জল হল একে অপরের বিপরীত পন্থী। তাই তো গ্যাস স্টোভের কাছাকাছি সিঙ্ক তৈরি করলে পরিবারের অন্দরে নানাবিধ কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে নানা কারণে অশান্তির মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উটতে সময় লাগে না।
৪. কোথায় রাখতে হবে ফ্রিজ?
দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখতে হবে রেফ্রিজারেটর। তবে ভুলেও রান্নাঘরের কোনও কোনে ফ্রিজ রাখবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে বাস্তু দোষ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই কোনা থেকে কিছুটা দূরে ফ্রিজ রাখতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে ভুলেও যেন এই ইলেকট্রিক গুডসটি উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে রাখা না হয়!
৫. এক্সস্ট ফ্যান:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে রান্না ঘরে কম করে একটা বা দুটো জানলা থাকা মাস্ট! আর যদি এক্সস্ট ফ্যান লাগাতে হয়, তাহলে তা লাগাতে হবে পূর্ব দিকে মুখ করে। সেই সঙ্গে আরও কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যেমন ধরুন রান্না ঘরে যদি কোনও ভেন্টিলেশন পয়েন্ট বানাতে হয়, তাহলে তা করতে হবে দক্ষিণ দিকে এবং জানলার অবস্থান হবে পূর্ব দিকে মুখ করে।
৬. মাইক্রোওয়েভ, রাইস কুকার এবং অন্যান্য ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স:
রান্না ঘরে যাকা যে কোনও ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স রাখতে হবে দক্ষিণ দিকে অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মুখ করে। কিন্তু ভুলেও রাখা চলবে না উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে। কারণ এমনটা করলে কিন্তু বিপদ! কারণ এক্ষেত্রে নেগটিভ এনার্জির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে একের পর এক বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
৭. স্টোর:
মশলাপাতি এবং অন্যান্য রান্নার উপকরণ রাখতে রান্না ঘরে কাবার্ড বানাতেই হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল কোথায় বানাতে হবে এই স্টোরেজ সেকশন? বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে সুখ-শান্তি এবং আনন্দের পরিবেশ বজায় রাখতে খেয়াল করে স্টোরেজ সেকশন বানাতে হবে দক্ষিণ অথবা পশ্চিম দিকে। কিন্তু ভুলেও বানানো চলবে না উত্তর অথবা পূর্ব দিকের দেওয়ালে।
৮. জল রাখার পাত্র:
খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই রান্না ঘরে ওয়াটার পিউরিফায়ার অথবা কলসি রেখে থাকেন। কিন্তু কোথায় রাখতে হবে জলের পাত্র, সে সম্পর্কে কোনও ধরণা আছে কি? বাস্তু বিশেষজ্ঞদের যদি এই প্রশ্ন করেন, তাহলে উত্তর পাবেন জলের পাত্র, তা হতে পারে ওয়াটার পিউরিফায়ার, কলসি অথবা বোতাল, রাখতে হবে উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে।