Just In
- 2 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 3 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 7 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 8 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
গ্রহ শান্তির জন্য প্রয়োজন নেই অনেক টাকা খরচে করে পুজো করার! শুধু মেনে চলুন এই ঘরোয়া টোটকাগুলি!
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে জন্ম কুষ্টিতে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানে পরিবর্তন এলে অনেক সময় আমাদের জীবনের উপর তার খারাপ প্রভাব পরতে শুরু করে। আর এমনটা যখন হয়, তখনই মূলত নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
প্রমোশানটা মিলতে মিলতেও শেষ মুহূর্তে ফোসকে গেল! ভালবাসার মানুষটি এতদিনের সম্পর্ক কোনও কথা নেই বার্তা নেই একটা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করেই শেষ করে দিল অথবা পা টা অল্পই মুচকেছিল, কিন্তু তা থেকে বেঁধে গেল এক জটিল রোগ...এমন অল্প সল্প ঘটনা প্রায়শই বিভীষিকার রূপ নিয়ে আমাদের জীবনকে কষ্টে ভরিয়ে দেয়। আর তখন চোখের জল যেন রোজের সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, এমন সব ঘটনা কেন ঘটে আমাদের জীবনে!
এই প্রশ্নটাই যদি দশ জনকে করেন, তাহলে আট জনই দেখবেন উত্তর দেবে ভাগ্য খারাপ, তাই ঘটেছে। কিন্তু কেন হল ভাগ্য খারাপ, তা কি কখনও জেনে ওঠার চেষ্টা করেছেন? জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে জন্ম কুষ্টিতে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানে পরিবর্তন এলে অনেক সময় আমাদের জীবনের উপর তার খারাপ প্রভাব পরতে শুরু করে। আর এমনটা যখন হয়, তখনই মূলত নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
এখন প্রশ্ন হল কার জন্মকুষ্টিতে কোন গ্রহের খারাপ প্রভাব পরেছে, বা কোন গ্রহ দুর্বল তা জানার উপায় কী? এক্ষেত্রে একজন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলেই তিনিই বলে দেবেন কোন গ্রহ দুর্বল রয়েছে এমন কোনগুলির অবস্থান বেজায় শক্তিশালী। কিন্তু মজাটা হল জ্যোতিষ মশাই আপনার গ্রহের অবস্থান বলার পাশাপাশি গ্রহ দোষ কাটাতে বেজায় দামি দামি পাথর পরারও পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু ভুলেও এই সব পরামর্শে কান দিয়ে পকেট হালকা করবেন না যেন! বরং এখনই একবার এই প্রবন্ধে চোখ রেখে জেনে ফেলুন গ্রহদোষ কাটাতে কার্যকরী সব ঘরোয়া টোটকা সম্পর্কে। এই টোটকাগুলিকে কাজে লাগাতে একেবারেই পকেট হালকা হবে না, উল্টে সুফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে!
তাহলে আর অপেক্ষা কেন বন্ধু, চলুন কোন গ্রহের কেমন ঘরোয়া টোটকা, জেনে ফেলা যাক সে সম্পর্কে...!
১. সূর্য দেবকে প্রসন্ন করতে:
যাদের জন্মকুষ্টিতে সূর্য দেব হঠাৎ করে বক্র দিশা নিয়েছে, তারা নানাবিধ বিপদ থেকে যদি বেঁচে থাকতে চান, তাহলে বেশ কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যার অন্যতম হল প্রতিদিন সাকল সকাল উঠে কয়েক মিনিট সূর্যের আলো গায়ে লাগাতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে যতক্ষণ না সূর্যাস্ত হচ্ছে, ততক্ষণ খাবার খেতে পারেন, কিন্তু একবার সূর্য অস্ত গেলে নো ফুড। সেই সঙ্গে জল খেতে হবে তামার পাত্রে। আর যতদিন না সূর্য দেবের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে, ততদিন যতটা সম্ভব কাঠের আসবাব ব্য়বহার করতে ভুলবেন না। আসলে এই নিয়মগুলি মানলে দেখবেন উপকার মিলতে একেবারেই সময় লাগবে না!
২. চাঁদকে শক্তিশালী করতে:
খেয়াল করে দেখা গেছে গ্রহণের পর পরই অনেকের কুষ্টিতেই চাঁদের অবস্থান বেজায় দুর্বল হয়ে পরে। ফলে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা নানা সমস্যা। তাই তো এই সময় বিপদ এড়াতে ঠান্ডা খাবার একেবারে খাবেন না। এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন প্যাকেটজাত খাবারও। পরিবর্তে রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বেশি করে ফল এবং সবজিকে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের খাবার বেশি করে খেলে শরীর এবং মনের উপর চাঁদের খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, এই সময় আরও কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন ধরুন- ভুলেও জলের অসম্মান করা চলবে না এবং কোনও নদীতে স্নান করতে যাওয়ার সময় প্রথমে নদীর জল অল্প করে হাতে নিয়ে মাথায় ছুঁইয়ে তারপর পায়ে লাগাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে, তা হল চাঁদ দুর্বল থাকার সময় ভুলেও মায়ের হাতে খাবার খাবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে আপনার এবং মায়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যাবে বেড়ে।
৩. মঙ্গল গ্রহকে শক্তিশালী করতে:
এক্ষেত্রে প্রতিদিন হনুমান চাল্লিশা পাঠ করার পাশাপাশি মাটিতে শুতে হবে এবং যতটা সম্ভব খাবারে নুন দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবর্কে বেশি করে খেতে হবে গুড় এবং সিরিয়াল জাতীয় খাবার। প্রসঙ্গত, এই নিয়মগুলি মানলে মঙ্গলের খারাপ প্রভাব কমে যেতে দেখবেন সময় লাগবে না।
৪. বুধের দোষ কাটাতে:
এমন পরিস্থিতিতে নানাবিধ বিপদ থেকে দূরে থাকতে যে যে বিষয়গুলির দিকে নজর ফেরাতে হবে, সেগুলি হল- প্রতিদিন স্নান করে পছন্দের দেব-দেবীর আরাধনা করতে হবে, খাবারে যতটা সম্ভব সবুজ শাক-সবজির মাত্রা বাড়াতে হবে এবং নিয়ম করে হালকা মিউজিত শুনতে হবে। কারণ এমনটা করলে মন এবং মস্তিষ্ক শান্ত হবে, ফলে বুধের প্রভাবে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে।
৫. বৃহস্পতি তুঙ্গে উঠুক এমনটা চাইলে:
বিশেষজ্ঞদের মতে জন্ম কুষ্টিতে বৃহস্পতি গ্রহ দুর্বল হয়ে পরলে পরিবারের অন্দরে নানাবিধ জটিলতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো গুরু বৃহস্পতিকে সদা শান্ত রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে আমিষ খাবার একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে, উল্টে বেশি করে খেতে হবে সবুজ শাক-সবজি এবং হলুদ। সেই সঙ্গে প্রতি বৃহস্পতিবার গুরু বৃহস্পতির পুজো করার পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করতে হবে এবং কপালে পরতে হবে ছোট্ট একটা হলুদ টিপ। তাহলেই দেখবেন উপকার মিলতে সময় লাগবে না।
৬. শুক্র গ্রহকে শক্তিশালী করে তুলতে:
এক্ষেত্রে যতটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন। এসময় ভুলেও কিন্তু অপরিষ্কার জামা-কাপড় পরা চলবে না। কারণ এমনটা করলে বিপদ ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে গ্রহের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পরে। ফলে নানা বাঁধার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, শুক্র গ্রহকে শক্তিশালী করে তুলতে দই খাওয়া শুরু করুন। সেই সঙ্গে দাড়ি-গোঁফ কেটে ফেলুন, দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন!
৭. শনির প্রভাব কমাতে:
প্রতি শনিবার কালো তিল, সরষের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে দেবের সামনে পরিবেশ করুন। সেই সঙ্গে শুরু করুন প্রতিদিন হানুমান চল্লিশা পাঠ করা। তাহলেই দেখবেন শনির প্রভাব কেটে যেতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দান করলে শনি দেব খুব প্রসন্ন হন। তাই তো বলি বন্ধু জন্ম কুষ্টিতে যদি শনির প্রভাব কমাতে হয়, তাহলে মন খুলে দান করতে ভুলবেন না যেন!
৮. রাহু-কেতুর প্রভাব কমাতে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় প্রতিদিন সাকল সকাল উঠে স্নান সেরে তুলসি মায়ের পুজো করার পাশাপাশি নিয়মিত দুটো করে তুলসি পাতা খেলে রাহু এবং কেতুর প্রভাব কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। প্রসঙ্গত, এই সময় বাড়ির বাইরে তৈরি খাবার এড়িয়ে চললেও কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়।