Just In
বাড়ির ঠাকুর ঘরে সূর্য দেবের বড় একটা পেনডেন্ট ঝোলানো উচিত কেন জানা আছে?
জ্যোতিষ এবং বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির ঠাকুর ঘরে সূর্যের পেনডেন্ট রাখলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটতে থাকে, যার প্রভাবে মিলতে শুরু করে একের পর এক উপকার।
চিরাচরিত পড়াশোনা বা জ্ঞান, আমাদের কর্মজীবনে উন্নতি লাভের পথকে প্রশস্ত করে ঠিকই, কিন্তু আশেপাশে উপস্থিত অনেক বিষয়ের থেকে নজর ফিরিয়ে নিতেও আমাদের নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে। তাই তো মহাকাশ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েও আমরা অনেকেই বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি বা জ্যোতিষশাস্ত্র সম্পর্কে জেনে উঠতে পারি না। জেনে উঠতে পারি না বাস্তুশাস্ত্র সম্পর্কেও। এই যেমন ধরুন বাড়ির কোনও জায়গায়, বিশেষত ঠাকুর ঘরে সূর্যের ছবি বা বড় পেনডেন্ট রাখলে কী কী উপকার মিলতে পারে, সে সম্পর্কে কারও জানা আছে?
যুব সমাজের সিহংভাগই যে এ সম্পর্কে জানেন না , তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। আসলে জ্যোতিষ এবং বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির ঠাকুর ঘরে সূর্যের পেনডেন্ট রাখলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটতে থাকে, যার প্রভাবে মিলতে শুরু করে একের পর এক উপকার। যেমন ধরুন...
১. সূর্যের ক্ষমতা বাড়ে:
বাড়িতে সূর্যের মূর্তি বা ছবি রাখলে জন্মকুষ্টিতে সূর্যের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে মনের জোর যেমন বাড়ে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। বিশেষত চটজলদি পদন্নতি লাভের সম্ভাবনাও বাড়ে। শুধু তাই নয়, সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। এক কথায় সূর্যোর আলোকে জীবন সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, এই মানব জীবনকে যদি আনন্দে ভরিয়ে তুলতে চান, তাহলে এই টোটকাটিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
২. পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে:
বিশেষজ্ঞদের মতে সূর্য দেব যখন প্রসন্ন হন, তখন গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। আর যত এমনটা হতে থাকে, তত পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের বিপদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে পরিবারে কোনও ধরনের কলহ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও কমে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখে-শান্তিতে থাকতে হয়, তাহলে সূর্য দেবকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না যেন!
৩. কোর্ট কেসের খপ্পর থেকে নিস্তার মেলে:
বাস্তুশাস্ত্রে এমন উল্লেখ পাওয়া যায় যে বাড়ির পূর্ব দিকে সূর্য যন্ত্র, সহজ ভাষায় যাকে সূর্যের মূর্তি বা পেনডেন্টও বলা যেতে পারে, তা রাখলে যে কোনও ধরনের মামলা মিটে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়, সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের সরকারি বিবাদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি, যাদের জীবন মামলা-মোকদ্দমার ফাঁসে ফেঁসে রয়েছে, তারা একবার এই টোটকাটিকে কাজে লাগিয়ে দেখুন, উপকার যে, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!
৪. মনের মতো চাকরি মিলবে:
শুনতে আজব লাগলেও এই ধরণা একেবারেই ভুল নয় যে গৃহস্থের অন্দরে সূর্য দেবের প্রভাব বাড়তে থাকলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়, বিশেষত মনের মতো চাকরি পেতে একেবারেই সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে কারও কুষ্টিতে সূর্যের প্রভাব বাড়তে থাকেল কর্মক্ষেত্রে সম্মান যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি চটজলদি পদন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হতে থাকে।
৫. পিতৃ দোষ কেটে যায়:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির ঠাকুর ঘরে সূর্য যন্ত্র লাগালে জন্মকুষ্টিতে পিতৃ দোষের প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি সামাজিক এবং কর্মজীবনে সম্মানহীন হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, কারও উপর শনির কু-দৃষ্টি পরলে জীবন যেমন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে, ঠিক একই ঘঠনা ঘটে পিতৃ দোষে দুষ্ট হলেও। তাই যদি জন্মকুষ্টিতে এমন দোষ থাকলে বাড়িতে সূর্য যন্ত্র নিয়ে আসতে ভুলবেন না যেন!
৬. রোগ-ব্যাধির প্রকোপ কমে যায়:
বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে সূর্য যন্ত্র রাখলে শরীর এবং মনের উপর শুভ প্রভাব পরতে শুরু করে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বুদ্ধির ধারও জোরদার হয়।
৭. ত্বক এবং চোখের রোগের প্রকোপ কমতে শুরু করে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সূর্যের লকেট পরলে অথবা বাড়িতে সূর্য যন্ত্র এনে রাখলে গৃহস্থ এবং দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগের প্রকোপও কমে চোখে পরার মতো।