Just In
গুড লাক রোজের সঙ্গী হোক, এমনটা যদি চান তাহলে শ্রাবণ মাসে এই বাস্তু নিয়মগুলি মেলে চলতে ভুলবেন না!
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির পূর্ব দিক হল দেবাদিদেব মহাদেবের স্থান। তাই তো পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে বাড়ির এই নির্দিষ্ট স্থানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২৮ তারিখ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে হিন্দু ক্যালেন্ডারের সবথেকে শুভ মাস, শ্রাবণ মাসের। আর একথা তো সবারই জানা আছে যে এই সময় দেবাদিদেবের আরাধনা করলে দারুন সব উপকতার পাওয়া যায়। কিন্তু যে সম্পর্কে কারওই জানা নেই, তা হল শ্রাবণ মাসে বেশ কিছু বাস্তু নিয়ম মেনে চলতে হয়, তহলেই কিন্তু নানা সব উপকার মেলে। আসলে এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি না মানলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে দেবের পুজো করলেও কোনও সুফল মেলে না।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে জুলাই মাসের ২৮ তারিখ থেকে আগষ্ট মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত এই লেখায় যে যে নিয়মগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলি মেনে চলা হয়, তাহলে বাড়ির প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে সুখ এবং সমৃদ্ধির ঝাঁপি ভরে ওঠে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। মলে আরও অনেক উপকার। যেমন- কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পায়, পরিবারের অন্দরে বিবাদ বা কোনও কলহ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কমে, ব্ল্যাক ম্যাজিকের প্রভাব কমে, কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয় এবং মন শান্তি হয়।
এখন প্রশ্ন হল এই উপকারগুলি পেতে কী কী বাস্তু নিয়ম মেনে চলতে হবে?
১. বাড়ির পূর্ব দিক:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির পূর্ব দিক হল দেবাদিদেব মহাদেবের স্থান। তাই তো পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে বাড়ির এই নির্দিষ্ট স্থানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মার্বেল দিয়ে তৈরি শিব-পার্বতীর মূর্তি এনে এই স্থানে রেখে নিয়মিত পুজো করলে সুফল মিলতে দেখবেন সময় লাগবে না।
২. ফাউন্টেন:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই সময় বাড়ির পূর্বদিকে একটি জলাধার, যেমন ধরুন ফাউন্টেন রাখলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার, যেমন ধরুন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে, বাড়ির অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে এবং শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া চোখে পরার মতো। তবে এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যেমন ধরুন পূর্বদিকে রাখা ফাউন্টেন থেকে বেরনো জলের ধরা যেন উত্তর থেকে পূর্ব দিকে বয়ে যায় এবং জল যেন সারাক্ষণ পরিষ্কার থাকে। আসলে এই নিয়মগুলি মানলে দ্রুত উপকার মেলার সম্ভাবনা বাড়ে।
৩. তুলসি গাছ:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে শ্রাবণ মাসে বাড়ির উত্তর দিকে তুলসি গাছ রাখলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে দেবাদিদেবও বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৪. সুখ এবং সমৃদ্ধির সন্ধান পেতে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বছরের এই বিশেষ সময়ে বাড়ির পূর্ব দিকে বসে প্রাণায়ম করলে মন শান্ত হয়, সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রভাব কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল যে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে যে যে মারণ রোগের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে, তার সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের যোগ রয়েছে, তাই তো বলি বন্ধু, দুশ্চিন্তাকে জোড়া গোল দিয়ে যদি সুখে-শান্তিতে থাকতে চান, তাহলে শ্রাবণ মাসে এই বাস্তু নিয়মটি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
৫. রুদ্রাক্ষের ক্ষমতা:
শিব ঠাকুর এবং রুদ্রাক্ষের যোগ বেজায় নিবিড়। তাই তো শ্রাবণ মাসে যদি রুদ্রাক্ষের মালা পরা যায়, তাহলে জন্মকুষ্টিতে উপস্থিত গ্রহ-নক্ষত্রের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি অশান্ত মন শান্ত হয়। তবে এই সময় পাঁচ, সাত অথবা দু মুখো রুদ্রাক্ষের মালা পরতে হবে, তবেই কিন্তু উপকার মিলবে। প্রসঙ্গত, দু মুখো রুদ্রাক্ষ পরলে পরিবারিক এবং কর্মজীবনে সুখ এবং শান্তি বজায় থাকবে। পাঁচ মুখে রুদ্রাক্ষ পরলে গুড লাক যেমন রোজের সঙ্গী হবে, তেমনি শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগবে না। আর সাত মুখে রুদ্রাক্ষ পরলে কী কী উপকার মিলবে? এক্ষেত্রে ব্যবসায় সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, যারা ক্রিয়েটিভ কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদেরও চটজলদি পদন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সম্মান বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৬. ধুতরা ফুল:
দেবাদিদেবের আশীর্বাদ লাভ করতে এই সময় বাড়িতে একটা ধুতরা ফুলের গাছ এনে লাগান, আর সেই গাছে যে ফুল হবে, তা প্রতিদিন দেবের পায়ে নিবেদন করে এক মনে "ওম নমঃ শিবায়" মন্ত্রটি পাঠ করুন। এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবনের ছবিটা সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগবে না।