Just In
কালো যাদু এবং কুদৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচবেন কীভাবে জানা আছে?
অনেকেই আছেন যারা ক্ষতি করার মাদকতায় এমন মত্ত হয়ে ওঠে যে তান্ত্রিকের দারস্ত হয়ে যাদুটোটা করার মতো খারাপ কাজ করতেও পিছপা হন না।
আত্মীয় পরিজন, বন্ধু এবং পাড়া-প্রতিবেশিরা যে সব সময় আমাদের ভাল চায়, এমন নয় কিন্তু! এমনও অনেকে আছেন যারা আমাদের সাফল্যে আনন্দ না পায়ে, ইর্ষান্বিত হয়ে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টায় লেগে পরেন। কেউ কেউ তো ক্ষতি করার মাদকতায় এমন মত্ত হয়ে ওঠে যে তান্ত্রিকের দারস্ত হয়ে যাদুটোটা করার মতো খারাপ কাজ করতেও পিছপা হন না। এখন প্রশ্ন হল কেউ যদি আপনার উপর এমন খারাপ যাদু করে থাকেন, তাহলে সেই খারাপ প্রভাব থেকে বাঁচবেন কীভাবে?
কালো যাদু বা কুদৃষ্টি বাস্তবিকই বেজয় ভয়ঙ্কর। শাস্ত্র মতে কারও উপর যদি এমন যাদু টোনা করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির নানাবিধ ক্ষতি হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দুঃখের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে জীবন দুর্বসহ হয়ে ওঠে। তাই এমন ভয়ঙ্কর ক্ষতির হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা জরুরি। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে এই প্রবন্ধটি। কারণ এই লেখায় এমন কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে যতই শক্তিশালী হোক না কেন তান্ত্রিকের মন্ত্র, আপনার কানও ক্ষতিই তো হবেই না, সেই সঙ্গে কু-নজরের প্রভাব থেকেও রক্ষা পাবেন। প্রসঙ্গত, কারও উপর কালো যাদুর প্রভাব পড়লে সাধারণত যে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পয়ে থাকে, সেগুলি হল...১. আক্রান্ত ব্যক্তি একা একা থাকবেন। কারও সঙ্গেই ঠিক মতো কথা বলবেন না। ২.সারাক্ষণ খিটখিটে মেজাজ থাকবেন। ৩. কথায় কথায় চিৎকার চেঁচামেচি করবেন। ৪. হাত-পায়ের নখ কালো হয়ে যেতে শুরু করবে। ৫. ঘাড়ে এবং হাতে সারাক্ষণ যন্ত্রণা হবে। ৬. শরীর থেকে আজব এক ধরনের গন্ধ বেরতে শুরু করবে। ৭. আক্রান্ত ব্যক্তি স্নান করতে চাইবেন না। ৮. চোখ লাল হয়ে যাবে। ৯. বাড়িতে রাখা তুলসি গাছ হঠাৎ করেই মারা যাবে।
এখন প্রশ্ন হল কেউ যদি এমন নেগেটিভ শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে বাঁচাতে এবং সুস্থ করে তুলতে কী কী করণীয়? এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, সেগুলি হল...
১. ভগবান শিবের পুজো করতে হবে:
শাস্ত্র মতে যদি কারও উপর কালো যাদুর প্রভাব পড়ে থাকে, তাহলে তাকে প্রতি সোমবার বেল পাতা দিয়ে দেবাদিদেবের পুজো করতে হবে। সেই সঙ্গে দিনে কম করে ৯ বার মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করতেই হবে। এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারা যায়, তাহলে সাত দিনের মধ্যে খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যাবে।
২. গায়ত্রী মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গোধুলি লগ্নে ১০৮ বার গায়েন্ত্রি মন্ত্র পাঠ করা শুরু করলে ব্ল্যাক ম্যাজিকের খপ্পর থেকে মুক্তি মিলতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি নিয়মিত জপ করলে কোনও ধরনের খারাপ শক্তি আপনার ধারে কাছে ঘেঁষারও সুযোগ পায় না। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৩. এই মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে:
হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা লেখা রয়েছে যে এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির দাপাদাপিও কমে। ফলে খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা হ্রাস হায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি পাঠ করা জরুরি, সেটি হল..."ওম হাম হানুমাতে রুদ্রাতামাকায়া হাম ফাট"।
৪. গুগল ধূপ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় য়ে কালো যাদুর খপ্পরে পড়া মানুষটির সামনে যদি গুগল ধুপ জ্বালিয়ে গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করা যায়, তাহলে খারাপ শক্তি দূরে পালাতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারে সমৃদ্ধির আগমণ ঘটে। তাই যদি মনে হয় কোনও অজানা কারণে আপনার সঙ্গে একের পর এক খারাপ কিছু ঘটে চলেছে, তাহলে এই টোটকাটি কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
৫. হনুমান চাল্লিশা:
কারও উপর যখন খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়ে, তখন তার পক্ষে ধর্মের হাত ধরা বেজায় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবু যদি হাজারো নেগেটিভির মাঝেও প্রতিদিন নিয়ম করে হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে পারেন, তাহলে দেখবেন ব্ল্যাক ম্যাজিকের প্রভাব কমতে সময় লাগবে না। কারণ শ্রী হনুমান তার ভক্তদের সব ধরনের খারাপ শক্তির থেকে বাঁচিয়ে রাখে। সেই সঙ্গে মনের জোর এতটা বাড়িয়ে তোলে যে কোনও কোনও ধরনের ক্ষতি, তা মনাসিক হোক কী শারীরিক, হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৬. মন্ত্রের শক্তি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান শিবের এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সুখ এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়। তাই যে কোনও ধরনের খারাপ শক্তিকে হারিয়ে যদি অনন্দে থাকতে চান, তাহলে প্রতিদিন স্নান সেরে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! মন্ত্রটি হল..."ওম নামাহ শিবায়...শিব শিব শিব...ওম শ্রী রাম, জয় রাম, জয় জয় রাম..."ওম শ্রী হানুমাতে নামাহ...!"