Just In
- 9 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 11 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 14 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 16 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
দেবাদিদেবের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে যদি না চান তাহলে সোমবার ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না!
এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি সোমবার খাওয়া চলবে না, সেই সঙ্গে শিবের পুজো করার সময় আরও কতগুলি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
শাস্ত্রে বলে জীবন যদি সুন্দর এবং সুখময় করে তুলতে চান, তাহলে এমন কোনও কাজ করবেন না, যা মহাদাবকে খেপিয়ে তোলে। কারণ শিব ঠাকুর একবার রেগে গেলে কিন্তু বিপদ! সেক্ষেত্রে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি জীবনের আকাশ, দুঃখের কালো মেঘে ঢেকে যায়। ফলে প্রতিটা দিন কাটানো যে কতটা কষ্টকর হয়ে ওঠে, তা নিশ্চয় আর বলে বোঝাতে হবে না।
এখন প্রশ্ন হল শিব ঠাকুরকে প্রসন্ন করতে কী কী কাজ করা যেতে পারে? এক্ষেত্রে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি সোমবার খাওয়া চলবে না, সেই সঙ্গে শিবের পুজো করার সময় আরও কতগুলি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কী বিষয়, সে সম্পর্কেই তো এই লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে সোমবারের পাশাপাশি প্রতিদিন যদি "ওম নমঃ শিবায়", মন্ত্রটি পাঠ করে মহাদেবের পুজো করা যায়, তাহলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ তো হবেই, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও কমতে থাকে। শুধু তাই নয়, মন এতটাই শান্ত হয়ে ওঠে যে স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে স্ট্রস হল সেই বিষ, যা ধীরে ধীরে শরীরকে ভিতর এবং বাইরে থেকে একেবারে নষ্ট করে দেয়। তাই স্ট্রেল লেভেলকে প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত প্রয়োজন।
এবার নিশ্চয় বুঝতে পরেছেন দেবাদিদেবকে প্রসন্ন করতে পারলে কতই না উপকার পাওয়া যায়। তাই তো বলি বন্ধু সুখে-শান্তিতে এবং আনন্দে যদি থাকতে চান, তাহলে ভুলেও সোমবার দিন এই খাবারগুলি খাবেন না...
১. বেগুন ভাজা:
শুনে নিশ্চয় অবাক হয়ে গেছেন! কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে সোমবার বেগুন খাওয়া একেবারেই উচিত নয়, বিশেষত যারা দেবের ভক্ত, তাদের তো একেবারেই নয়। প্রসঙ্গত, কী কারণে সোমবার বেগুন খেতে মানা করা হয় অথবা দেবাদিদেবের আরাধনা করার সঙ্গে বেগুন খাওয়ার কী সম্পর্ক? এই সব প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে সঠির কোনও তথ্য় হাতে আসেনি ঠিকই। কিন্তু তাই বলে অকারণ চান্স নেওয়ার কি কোনও প্রয়োজন আছে? মনে তো হয় না!
২. দুগ্ধজাত খাবার:
সোমবার শিব ঠাকুরের পুজো করবেন, এমনটা যদি ভেবে থাকেন, তাহলে ভুলেও দুধ দিয়ে তৈরি কোনও খাবার খাওয়া চলবে না। কারণ শাস্ত্র মতে দুগ্ধজাত কোনও খাবার খাওয়া মাত্র আমাদের দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন বতে শুরু করে যে তার প্রভাবে মন স্থির করে ওঠা সম্ভব হয় না। আর এক মনে দেবাদিদেবের আরাধন করতে না পরলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে বোঝাতে হবে না! প্রসঙ্গত, শিবের পুজো করার সময় দুধের কোনও জিনিস খাওয়া না গেলেও সেগুলি দেবকে নিবেদন করতেই পারেন। যেমন ধরুন ঠান্ডা দুধ দিয়ে শিব লিঙ্গকে স্নান করালে সর্বশক্তিমান কিন্তু বেজায় পসন্ন হন।
৩. সবুজ শাক-সবজি:
শাস্ত্র মতে শিব ঠাকুরের পুজো করার সময় এক মনে দেবের আরাধনা করা উচিত। তাই তো সোমবার সবুজ শাক-সবজি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে এমন ধরনের খাবার খেলে আমাদের পিত্ত দোষে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এমনটা হলে শরীরের ভিতর এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে মনকে স্থির রাখা একেবারেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর যেমনটা অপনারা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলছেন যে বিচলিত চিত্তে দেবের আরাধনা করা একেবারেই উচিত নয়। তাই শিবের আশীর্বাদে যদি জীবনকে সুন্দর করে তুলতে চান, তাহলে ভুলেও সোমবার সবুজ শাক-সবজি খাবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, এই নিয়মগুলি মেনে চলার পাশাপাশি আরও কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন ধরুন...
১. ভুলেও তুলসি পাতা নিবেদন করা চলবে না:
যে কোনও পুজো তুলসি পাতা ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু শিবের পুজো করার সময় ভুলেও তুলসি পাতা নিবেদন করা উচিত নয়। কারণ শিব পূরাণে একটি ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। তাতে বলা হয়েছে জলন্ধর রাক্ষসকে মারাতে তাঁর স্ত্রী তুলসির সতীত্ব ক্ষুন্ন করার প্রয়োজন ছিল। তাই তো ভগবান বিষ্ণু, শিব ঠাকুররে নির্দেশে এই ঘৃণ্য কাজটি করেছিলেন এবং এর পর পরই দেবাদিদেব মেরে ফেলেছিলেন জলন্ধরকে। এই ঘটনার পর তুলসা মা এতটাই ভেঙে পরেছিলেন যে তিনি কাঁদতে কাঁদতে শিব ঠাকররে অভিষাপ দিয়েছিলেন যে দেবের পুজো কখনই পবিত্র তুলসি পাতা দিয়ে করা হবে না। এই কারণেই তো শিবের পুজো করার সময় ভুলেও তুলসি পাতা নিবেদন করা উচিত নয়।
২. ডাবের জল:
ভগবান শিবের পুজো করার সময় যা কিছু, বিশষত যেসব ফল এবং খাবার নিবেদন করা হয়, তা ভক্তদের মধ্যে সাধারণত বিতরণ করা হয় না। কারণ শিবকে নিবেদন করা খাবারকে শাস্ত্রে "নির্মাল্য" বলা হয়ে থাকে। আর ভুলেও গ্রহন করা উচিত নয়। এদিকে ডাবের জল যদি পুজো করার সময় নিবেদন করা হয়, তাহলে তা পান করা মাস্ট! কিন্তু এক্ষেত্রে যেহেতু এমনটা করা যায় না। তাই তো দেবের পুজো করার সময় ভুলেও ডাবের জল নিবেদন করতে নেই। তবে ইচ্ছা হলে নারকেল নিবেদন করতেই পারেন। তাতে কোনও ক্ষতি নেই।
৩. হলুদ:
মেয়েরা তাদের রূপচর্চা করার সময় যেহেতু হলুদ ব্যবহার করে থাকেন। তাই শিবের ছবি বা লিঙ্গে হলুদ লাগাতে মানা করা হয়। এই কারমেই শিবের পুজো করার সময় ভুলেও হলুদ নিবেদন করবেন না যেন। পরিবর্তে চন্দনের পেস্ট ভাল করে লিঙ্গের গায়ে লাগিয়ে পুজো করতে হবে। কারণ এমনটা করলে শিব লিঙ্গ ঠান্ডা থাকে। ফলে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
৪. সিঁদুর:
বিবাহিত মহিলারা যেহেতু তার স্বামীর মঙ্গল কমনার কথা ভেবে সিঁদুর পরে থাকেন, তাই এ জিনিস কখনই শিব ঠাকুরকে নিবেদন করা উচিত নয়। মধ্যা কথা মহিলারা যে যে জিনিস নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করে থাকেন, তা ভুলেও শিব ঠাকুরের ধারে কাছে আনা চলবে না।