Just In
- 13 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 14 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 16 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 19 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
মোনা লিসার কাহিনী!
বিতর্ক এবং রহস্য যেন সেই প্রথম দিন থেকেই মোনা লিসার সঙ্গী। যখনই তার নাম উঠেছে, হাজারো প্রশ্ন জেগেছে মানুষের মধ্যে। কেন জাগবে নাই বা বলুন! এমন সুন্দরীর দেখা কী আগে কেউ পেয়েছিল কখনও। আর মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনি সৌন্দর্যের আগুনও তো তেমনি বিতর্কের জ্বালানীর অপেক্ষায় থাকে। তাই না!
১৫০৩ সালে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি "দ্য মোনা লিসা " নামক তৈলচিত্রটি আঁকার পর থেকেই আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে সেই নারী। তাই তো তার ছোট ছোট বিষয় নিয়ে মানুষের আগ্রহ যেন তুঙ্গে। কে এই মহিলা? লিওনার্দোর মহিলা রূপ নয় তো? নাকি অন্য কেউ? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতেই সবাই মরিয়া হয়ে ওঠে। আর উৎসাহের এই আগুনে ঘি ঢালে বিখ্যাত লেখক ড্যান ব্রাউনের উপন্যাস দা ভিঞ্চি কোড।
২১ শতকেও মোনা লিসাকে নিয়ে আকর্ষণ একটুও কমেনি। আজও তাই অপূর্ব সুন্দরি এই মহিলার সঙ্গ পেতে প্রতিদিন প্যারিসের লাভিয়েরা মিউজিয়ামে লাখ লাখ মানুষ হাজির হন। এই অপূর্ব শিল্পকৃত্তিটিকে ঘিরে এত উৎসাহের মূল কারণ ছিল লিওনার্দোর অভিনব আঁকার পদ্ধতি। শুধু তাই নয়, ছবিটি একবার চুরিও গেছিল। তারপর থেকেই একে ঘিরে উৎসাহ যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
মোনা লিসা সম্পর্কে কারওই জানতে বাকি নেই। কিন্তু আজ এই প্রবন্ধে এই ছবিটি সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য পরিবেশন করা হবে, যা বাস্তবিকই রোমহর্ষক। তাই মোনা লিসার প্রশংসকদের ভিরে যদি আপনি নিজেকেও খুঁজে পান, তাহলে এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলা মাস্ট!
১. ভুল বানানের শিকার:
ছবিটির আসল নাম কিন্তু মোন্না লিসা, মোনা লিসা নয়। আসলে মুখে মুখে ঘুরতে ঘুরতে নামের এই অপভ্রংশ যে কখন হয়েছে তা কারও জানা নেই। প্রসঙ্গত, মোন্না লিসা কথার অর্থ হল "মাই লেডি"।
২. মেয়েটি কে?
ছবির মেয়েটির পরিচয় নিয়ে আজ বিতর্ক থামেনি। একদল মনে করেন এই ছবিটি আসলে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি নিজেকে ভেবেই বানিয়েছিলেন। কিন্তু আরেক দলের মতে এই ছবিটি আসলে লিসা ঘেরারদিনি নামে ২৪ বছর বয়সি এক মহিলার।
৩. মেয়েটির শরীর ক্ষতবিক্ষত:
১৯৫৬ সালে কোনও এক অজানা কারণে ইগো আনগেজ নামে এক ব্যক্তি ছবিটিতে একটা পাথড় ছুড়ে মারেন। সেই কারণে মোনা লিসার শরীরের অল্প কিছুটা অংশ খারাপ হয়ে যায়। খুব ভাল করে খেয়াল করলে দেখবেন মেয়েটির বাঁ কুনুইয়ের নিচের দিকে রং-এর তাপ্পি দেওয়া আছে।
৪. কোনও ইনসুরেন্স নেই:
আধুনিক অঙ্কন বিশারদদের মতে এই ছবিটি অমূল্য। তাই তো চুরি যাওয়ার ভয় থাকা সত্ত্বেও লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা এই বিখ্যাত এই ছবিটির কোনও ইনসুরেন্স নেই।
৫. চোখের দিকে তাকান!
ছবিতে যে মেয়েটি রয়েছে তার কোনও ভুরু নেই। কেন এমন ভাবে ছবিটি এঁকেছিল লিওনার্দো? অনেকে মনে করেন শিল্পী কিন্তু তার সৃষ্টিতে কোনও খামতি রাখেননি। ছবিটিতে মেয়েটির চোখের উপরে ভুরু ছিল। কিন্তু ছবিটি সংরক্ষণ করার সময় ভুলবশত মিউজিয়াম কতৃপক্ষ ভুরু দুটি মুছে ফেলেন। যদিও এই বিষয়ে আরও একটি মত রয়েছে। বেশ কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন শিল্পী কোনও এক অজানা কারণে ছবিটি শেষই করেননি। তাই তো মোনা লিসার চোখে কোনও ভুরু নেই।
৬. বিশেষ ঘরে বন্দি তিনি:
লাভিয়েরা মিউজিয়ামের একটি বিশেষ ঘরে রাখা হয়েছে মোনা লিসাকে। যে দেওয়ালে ছবিটি টাঙানো, তার সামনে বুলেট প্রফ কাঁচের দেওয়াল রয়েছে। রয়েছে সুরক্ষার আরও বেশ কিছু বন্দোবস্তও। আর এত সব করতে গিয়ে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের কত টাকা খরচ হয়েছে জানেন? প্রায় ৭ মিলিয়ান ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
৭. তিনটে স্তর রয়েছে ছবিটির:
একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে মূল ছবিটি আঁকার আগে আরও তিনবার ছবিটি এঁকেছিলেন শিল্পী। আর প্রতিবারই ছবিটির ধরন ছিল আলাদা আলাদা।