Just In
কি বোর্ডে 'F' ও 'J'-র উপরে উঁচু দাগ থাকে কেন জানেন কি? জেনে নিন
কম্পিউটারের কি বোর্ড হল একটি ইনপুট ডিভাইস। এতে কিছু বোতাম থাকে যা মেকানিক্যাল লিভার অথবা ইলেক্ট্রনিক সুইচের মতো কাজ করে। কোনও কিছু লিখতে গেলে অথবা কম্যান্ড দিতে গেলে আমরা এর ব্যবহার করি। বর্তমানে টাচ স্ক্রিনের যুগ হলেও এখনও কি বোর্ডের ব্যবহার সর্বাধিক ও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। [কম্পিউটারের এই 'কমন মিথ'-গুলি আদৌও গ্রহণযোগ্য নয়]
কি বোর্ডে ৮৪ থেকে ১০১টি বোতাম রয়েছে। কোনও কোনও কি বোর্ডে ১০২টি বোতামও থাকে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কি বোর্ডকে মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করা যায়। ফাংশন কি, অ্যারো কি, আলফাবেটিক কি, লজিক্যাল কি ও স্পেশাল কি। [এবার জলের ফোঁটায় চলবে কম্পিউটার]
এর মধ্যে কি বোর্ডের একেবারে উপরে রয়েছে F1, F2 বোতামগুলি। এগুলিকে বলে ফাংশন কি। কোনওদিকে কারসর নিয়ে যেতে হলে ব্যবহার করা হয় অ্যারো কি। ইংরেজির বর্ণমালা সমৃদ্ধ বোতামগুলিকে বলে আলফাবেটিক কি। সংখ্যা সমৃদ্ধ কি গুলিকে বলে লজিক্যাল কি। এবং Esc, Tab, Caps Lock, Shift, Alt, Enter এগুলি হল স্পেশাল কি। [এই অ্যাপসগুলির জন্যই ফোনের 'ব্যাটারি লাইফ' দফারফা হয়]
কি বোর্ডের মধ্যে 'F' ও 'J' লেখা কি-এর মধ্যে কেন একটি করে উঁচু দাগ থাকে তা আপনি জানেন কি? যদি না জানেন তাহলে জেনে নিন নিচের স্লাইড থেকে। [ 'গুগল ইমেজ' কীভাবে তৈরি হল? নেপথ্যের মজাদার কাহিনি জানেন কি?]
প্রথম তথ্য
কি বোর্ডের উপরে 'F' ও 'J' লেখা বোতামের উপরে একটি করে উঁচু দাগ থাকে। যদি দেখেন কোনও কি বোর্ডে তা নেই তাহলে বুঝবেন কি বোর্ডটি ১৫ বছরের বেশি পুরনো।
দ্বিতীয় তথ্য
এই ধরনের উঁচু দাগ থাকার ফলে কোন বোতাম কোথায় রয়েছে তা সম্পর্কে আন্দাজ করতে বিশেষ সুবিধা হয়। ফলে টাইপ অনেক বেশি গতিশীল হয়।
তৃতীয় তথ্য
এই দুটি বোতামে হাত রেখেই নিজেদের সেট করে নেন পেশাদার টাইপিস্টরা। ফলে কি বোর্ডের দিকে না তাকিয়েই অনায়াসে লিখতে পারেন তারা।
চতুর্থ তথ্য
সব ধরনের কি বোর্ডেই এই উঁচু দাগ থাকে। কোনও মানুষ দৃষ্টিশক্তি কমে আসলে কি বোর্ডে টাইপ করতে অসুবিধায় পড়তে পারেন। তবে যদি 'F' ও 'J' কে আঙুলের ডগায় নিয়ে টাইপ করেন তাহলেও অনেক সহজে কোনও লেখা লিখতে সুবিধা হবে।