For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

শ্রাবণ মাসে প্রতি সোমবার শিব রুদ্র গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?

"ওম তাৎপুরুষায়া ভিদমাহে মহাদেবায়া ধিমাহে, তানো রুদ্রা প্রাচোদায়াৎ।" এই মন্ত্রটিকে কেই কেউ যেমন রুদ্র গায়েত্রী মন্ত্র বলে থাকেন।

|

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শিব ঠাকুরের আরাধনা করার জন্য শ্রবণ মাস হল সব থেকে আদর্শ সময়। কারণ এই সময় দেবের আরাধনা করলে সবথেকে বেশি মাত্রায় সুফল পাওয়া যায়। তাই তো ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি সর্বশক্তিমানের পুজো করতে পারেন, তাহলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। বিশেষত, এই প্রবন্ধে আলোচিত শক্তিশালী শিব মন্ত্রটি শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার জপ করতে করতে যদি দেবের পুজো করতে পারেন, তাহলে আরও বেশি করে সুফল মেলে। তাই তো বলি বন্ধু দেবের আশীর্বাদে যদি জীবনের প্রতিটি দিনকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!

"ওম তাৎপুরুষায়া ভিদমাহে মহাদেবায়া ধিমাহে, তানো রুদ্রা প্রাচোদায়াৎ।" এই মন্ত্রটিকে কেউ যেমন রুদ্র গায়েত্রী মন্ত্র বলে থাকেন, তেমনি কারও কাছে এই শক্তিশালী মন্ত্রটি, শিব গায়েত্রী মন্ত্র নামেও পরিচিতি। প্রসঙ্গত, শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে যে যে উপকারগুলি মেলে, সেগুলি হল...

১. ভয় দূর হয়:

১. ভয় দূর হয়:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি যদি এক মনে জপ করা যায়, তাহলে মনের জোর এতটা বেড়ে যায় যে ভয়ের পাহাড় পেরতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে দুঃখ, মানসিক অবসাদ এবং স্ট্রেস লেভে কমাতেও সাহায্য করে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু মনের জোরকে সঙ্গী করে যদি জীবনের প্রতিটি যুদ্ধে বিজয় পতাকা স্থাপন করতে হয়, তাহলে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!

২. খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে থাকে:

২. খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে থাকে:

শাস্ত্র মতে পুরো শ্রাবণ মাস ধরে যদি শিব গয়েত্রী মন্ত্র পাঠ করা যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে জায়গা করে নেওয়া খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়। বিশেষত কোনও ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই নয়, পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের বিবাদ বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও আর থাকে না। ফলে নিরাপদে এবং সুখে-শান্তিতে কেটে যায় বাকি জীবন।

৩. গ্রহের খারাপ প্রভাব কমে:

৩. গ্রহের খারাপ প্রভাব কমে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন ১০৮ বার শিব গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করলে জন্মকুষ্টিতে থাকা গ্রহ-লক্ষত্রের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে দুঃখ-কষ্টের সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৪. দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়:

৪. দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়:

শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র দেহের অন্দরের শক্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্লান্তি যেমন দূর হয়, তেমনি ছোট-বড় নানা রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

৫. অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যায়:

৫. অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যায়:

বন্ধু নানা কারণে কি বেজায় অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে আছেন? তাহলে আজ থেকেই প্রতি দিন ১০৮ বার শিব রুদ্র মন্ত্র পাঠ করা শুরু করুন। দেখবনে সুফল মিলতে সময় লাগবে না। এক্ষেত্রে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা তো মিটবেই, সেই সঙ্গে দেবের আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হতে শুরু করবে। ফলে নিমেষে পদন্নতি ঘটবে। সেই সঙ্গে সম্মানও বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো।

৬. প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটবে:

৬. প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটবে:

আজকের দুনিয়ায় যেখানে বেশিরভাগই নিজেদের ভাল ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। সেখানে আমাদের ক্ষতি করতে চায়, এমন লোকের সংখ্যা যে নেহাতই কম হবে না, তা কি আর বলে দিতে হবে! তাই তো বলি বন্ধু নিজেকে যদি প্রতিপক্ষদের মার থেকে সুরক্ষিত রাখতে হয়, তাহলে দেবের শরণাপন্ন হতে ভুলবেন না যেন। আসলে শ্রাস্ত্র মতে শিব রুদ্র মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করলে প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কারও করা কালো যাদুর প্রভাবও কেটে যায়। ফলে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

শিব রুদ্র মন্ত্র পাঠ করার সময় এবং আরও কিছু নিয়ম:

শিব রুদ্র মন্ত্র পাঠ করার সময় এবং আরও কিছু নিয়ম:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সকাল ৬ টা, রাত বারোটা এবং সন্ধা ছটার সময় যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে সবথেকে বেশি উপকার মেলে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরও বেশি কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ধরুন, মন্ত্রটি পাঠ করার সময় হাতে রুদ্রাক্ষের মালা রাখতে ভুলবেন না। শুধু তাই নয়, স্নান সেরে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে দেবের সামনে বসে শুরু করতে হবে মন্ত্র পাঠ। আর দেবাদিদেবকে নিবেদন করতে হবে যে কোনও সাদা ফুল এবং বেলপাতা।

Read more about: বিশ্ব
English summary

Rudra Gayatri Mantra Meaning, Advance Benefits and Power

Shiva Mantras help devotees in destroying fear. As humans, we all fear certain things. Chanting Mantras dedicated to Lord Shiva helps us to escape from the natural and supernatural fears. There are a few Shiva Mantras that can be chanted for the removal of sorrows, diseases and fears in one's life.
Story first published: Saturday, July 28, 2018, 12:34 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion