For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

রানি লক্ষ্মীবাঈ : জেনে নিন 'ঝাঁসীর রানি' সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

|

ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রচুর চিরস্মরণীয় বিপ্লবী নেতা রয়েছে, যাঁরা না থাকলে আমরা হয়তো থাকতাম না। এইসব অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মধ্যে, অত্যন্ত বীর এবং সাহসী, রাণী লক্ষ্মীবাঈ অন্যতম। ভারতীয় ইতিহাসে তাঁর অবদান তুলনাহীন। তিনি ঝাঁসীর রানি বা ঝাঁসী কি রানি হিসেবে জনসাধারনের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত।

Unknown Facts About Queen Of Jhansi

আজ ১৯ নভেম্বর তাঁর জন্মবার্ষিকীতে আসুন আমরা তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিই, যিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন দিয়েছিলেন।

প্রাথমিক জীবন

১) ১৯ নভেম্বর, ১৮২৮ সালে বারাণসী-তে মারাঠী করাডে ব্রাহ্মণ পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম মরুপান্ত তাম্বে এবং মাতা ভাগীরথী বাঈ।

২) ছোটবেলায় তাঁর প্রকৃত নাম ছিল মণিকর্ণিকা তাম্বে। কিন্তু, তাঁকে সবাই ভালবেসে ডাকত 'মনু' বলে।

৩) তাঁর যখন মাত্র চার বছর বয়স, তখন তাঁর মা মারা যান। তারপর, তিনি বিথুরে চলে আসেন, সেখানে তাঁর পিতা দ্বিতীয় পেশোয়া বাজিরাওয়ের অধীনে কাজ করতেন।

৪) পেশোয়া মনু-কে বেশ পছন্দ করতেন এবং তিনি তাঁর ছেলে নানা সাহেবের সঙ্গে যেরকম ব্যবহার করতেন মনুর সাথেও সেরকমই আচরণ করতেন।

৫) মনু তাঁর বয়সী বাচ্চাদের থেকে বেশ আলাদা ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্বাধীন এবং ঘোড়া চালানো, মার্শাল আর্ট, তরোয়াল চালানো, বিভিন্ন খেলাধুলা এবং অ্যাডভেঞ্চারের সাথে যুক্ত থাকতেন।

বিবাহিত জীবন

১) ১৮৪২ সালে তিনি ঝাঁসীর মহারাজা গঙ্গাধর রাও নিওয়াকরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পরই তার নতুন নামকরণ হয় 'রানি লক্ষ্মীবাঈ', যা 'ঝাঁসীর রানি' হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

২) ১৮৫১ সালে তাঁদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। নাম রাখা হয় দামোদর রাও। চার মাস পর সন্তানটি মারা যায়। পুত্র শোক ভুলতে রাজা এবং রাণী উভয়েই আনন্দ রাওকে দত্তক নেন। আনন্দ রাও ছিলেন গঙ্গাধর রাওয়ের জেঠতুতো ভাইয়ের ছেলে। তাঁর নাম রাখেন দামোদর রাও।

৩) বিবাহের পরেও, তিনি খেলাধূলার প্রতি তার আগ্রহ ত্যাগ করেননি। তিনি মেয়েদের নিয়ে একটি বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। তাদের ঘোড়া চালানো, তরোয়াল চালানো সহ যুদ্ধের সমস্ত রকম দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।

৪) মন্দিরে যাওয়ার সময়, তিনি ঘোড়ায় চড়ে যেতেন।

৫) ঝাঁসীর মহারাজা গঙ্গাধর রাও ২১ নভেম্বর, ১৮৫৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

ব্রিটিশের সঙ্গে যুদ্ধ এবং তাঁর মৃত্যু

১) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর তাঁর দত্তক পুত্রকে তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে মেনে নেয়নি। কোম্পানি জানিয়েছিল, ঝাঁসীর সিংহাসনে প্রকৃত উত্তরাধিকারী নেই, ঝাঁসীকে কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণাধীনে নেওয়া হবে। এর উত্তরে রানী জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ঝাঁসী কখনোই দিতে রাজি নন।

২) ১৮৫৪ সালে ঝাঁসীর রানির নামে বার্ষিক ৬০,০০০ ভারতীয় রূপি ভাতা হিসেবে মঞ্জুর করা হয় এবং ঝাঁসীর কেল্লা পরিত্যাগ করার জন্য হুকুম জারি করা হয়।

৩) ১৮৫৮ সালে রানী লক্ষ্মী বাই তাঁর সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

৪) ব্রিটিশরা যেহেতু প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ছিল, তাই রানী তাঁর দুর্গটি রক্ষা করতে পারেননি। ব্রিটিশ বাহিনী তাঁর শহরে প্রবেশ করে প্রাসাদের দিকে রওনা হয়।

৫) এক রাতে দুর্গের দেয়াল থেকে সন্তানসহ লাফ দিয়ে লক্ষ্মী বাঈ প্রাণরক্ষা করেন।

৬) আনন্দ রাওকে সাথে নিয়ে রানি তাঁর বাহিনী সহ কাল্পীতে যান। সেখানে তিনি অন্যান্য বিদ্রোহী বাহিনীর সাথে যোগ দেন। তাতিয়া তোপের নেতৃত্বেও একটি বিদ্রোহী দল ছিল।এরপর, রানী লক্ষ্মী বাঈ এবং তাঁতিয়া তোপি গোয়ালিয়রের দিকে রওনা দেন।

৭) গোয়ালিয়র কেল্লা দখল করেন রানী লক্ষ্মী বাঈ এবং তাঁতিয়া তোপি-র সম্মিলিত বাহিনী।
৮) রানী পুনরায় ব্রিটিশ আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। তবে, তাঁরা আবার ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে হেরে যান।

৯) ১৭ জুন, ১৮৫৮ সালে ফুল বাগ এলাকার কাছাকাছি কোটাহ-কি সেরাইয়ে রাজকীয় বাহিনীর সাথে যুদ্ধ চালিয়ে শহীদ হন রানী।

English summary

Rani Lakshmi Bai : Unknown Facts About Queen Of Jhansi

Born on November 19, 1828, Rani Lakshmibai or the queen of Jhansi.
X
Desktop Bottom Promotion