Just In
বিশ্বের দরবারে ফের উজ্জ্বল বাঙালির নাম, অর্থনীতিতে নোবেল অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বাঙালির ঘরে নতুন পালকের সংযোজন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে এবার তাঁরই ছাত্র অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এই সম্মানে ভূষিত হলেন। একই সঙ্গে অর্থনীতিতে নোবেল সম্মান পেলেন তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলোও।এছাড়াও অর্থনিতিবিদ মাইকেল ক্রেমারও পেলেন নোবেল।
নোবেল কমিটি সূত্রে খবর, দারিদ্র কীভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে ও তা দূরীকরণের অবদানের জন্যেই পুরস্কৃত হন এই ত্রয়ী। দৈনন্দিন জীবনে দারিদ্রতার বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করা সম্ভব, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সস্ত্রীক গবেষণা করছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলস্বরূপ ৫০ লাখেরও বেশি ভারতীয় শিশু উপকৃত হয়েছে। তাঁদের এই গবেষণাকেই সম্মান জানাচ্ছে নোবেল কমিটি।
বর্তমানে আমেরিকান নাগরিক হলেও, ১৯৬১ সালে ভারতের মাটিতেই জন্ম অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান। সাউথ পয়েন্ট স্কুলে তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন তিনি। পরবর্তীতে তিনি দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর হন।১৯৮৮ সালে অর্থনীতিতে পি এইচ ডি করার জন্য হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।তাঁর পি এইচ ডি থিসিসের বিষয়টি ছিল, 'এসেস ইন ইনফরমেশন ইকোনমিকস'। সেই থেকেই গবেষণার যাত্রাপথ শুরু। বর্তমানে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এম আই টি-র ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক।এছাড়াও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের প্রেসিডেন্ট তিনি।
BREAKING NEWS:
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 14, 2019
The 2019 Sveriges Riksbank Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel has been awarded to Abhijit Banerjee, Esther Duflo and Michael Kremer “for their experimental approach to alleviating global poverty.”#NobelPrize pic.twitter.com/SuJfPoRe2N
৪৭ বছরের এস্টার ডুফ্লোরের জন্ম প্যারিসে। বর্তমানে তিনিও মার্কিন নাগরিক। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছেন তিনি। অন্যদিকে ৫৫ বছরের মাইকেল ক্রেমার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ ডি করেন।বর্তমানে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেন ও মহম্মদ ইউনূসের পর আরও এক বাঙালি হলেন এই সর্বোচ্চ সম্মানের আধিকারীক। দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে অসামান্য কাজের জন্য এই সম্মান দেওয়া হল তাঁকে। বিশ্বের দরবারে বাঙালির নাম আরও একবার উজ্জ্বল হল তাঁর হাত ধরেই।