Just In
হাতের তালুর মাপ দেখেও যে ভবিষ্যত সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে জানা আছে কি?
হাতের রেখা দেখে ভবিষ্যতে বলে দেওয়ার রেওয়াজ এদেশে বহু দিন ধরে চলে আসছে এবং এর জনপ্রিয়তাও বেজায় কম নয়।
হাতের রেখা দেখে ভবিষ্যতে বলে দেওয়ার রেওয়াজ এদেশে বহু দিন ধরে চলে আসছে এবং এর জনপ্রিয়তাও বেজায় কম নয়। কিন্ত একথা জানা আছে কি হাতের অবয়ব কেমন, তা দেখেও কিন্তু আগামী দিন সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেওয়া সম্ভব। শুধু তাই নয়, মানুষের চরিত্র সম্পর্কে জানতেও কিন্তু এই পদ্ধতিটি দারুন কাজে আসে। তাই তো বলি বন্ধু নিজের সম্পর্কে নানা অজানা কিছু জেনে নেওয়ার ইচ্ছা যদি থাকে, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, মূল প্রবন্ধে প্রবেশ করার আগে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন, না হলে কিন্তু প্লাম রিডিং পদ্ধতি সেভাবে কোনও কাজেই আসবে আসবে। আসলে হাতের রেখা দেখার সময় খেয়াল করে দেখবেন বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই ডান হাতে দেখে থাকেন। কিন্তু জানা আছে কি এই পদ্ধতি ঠিক কিনা? আসলে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে প্রতিটি মানুষের একটা হাত অ্যাকটিভ এবং অন্যটা প্যাসিভ। অর্থাৎ যে ডানহাতি তার অ্যাকটিভ হাত হল ডান হাত, আর প্যাসিভ হ্যান্ড হল বাঁ হাত। তাই এমন মানুষের হাতের রেখা বলুন কি অবয়ব, তা বিশ্লেষণ করতে হবে অ্যাকটিভ হ্যান্ড দেখে। তাই বাঁহাতি বন্ধুরা ভুলেও যদি বাকি অনেকের মতো ডান হাতের অবয়ব বিশ্লেষণ করে ভাগ্য নির্ধারণ করতে চান, তাহলে কিন্তু ভুল করবেন!
জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে হাতের তালু মূলত চার ধরনের হয়ে থাকে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাহলে বন্ধু আর অপেক্ষা নয়, চলুন জেনে ফেলা যাক আগামী দিন কেমন যাবে, সে সম্পর্কে...
১. এয়ার হ্যান্ড:
যাদের হাতের তালুর অবয়ব একেবারে চৌকো বক্সের মতো হয়, তাদের হাতকে জ্যোতিষশাস্ত্রে এয়ার হ্যান্ড বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এমন ধরনের হাতের তালু যাদের হয়, তারা বেজায় বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, অচেনা মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। তবে এখানেই শেষ নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে এমন মানুষেরা যখন কাউকে ভালবাসেন তখন জান লড়িয়ে দেন। তাই তো এমন কাউকে যদি বন্ধু হিসেবে পান, তাহলে জীবনসঙ্গী বানিয়েই ছাড়বেন কিন্তু!
২. আর্থ হ্যান্ড:
ছোট ছোট অঙুল, সঙ্গে হাতের তালু চৌকো এবং চামড়া বেজায় মোটা এবং রেখাগুলি মারাত্মক রকম স্পষ্ট, এমন ধরনের হাত যাদের, তারা বেজায় বাস্তববাদী হন। সেই সঙ্গে এরা একেবারে মাটির মানুষ হন। শুধু তাই নয়, প্রকৃতির মাঝে থাকতে এরা বেজায় পছন্দ করেন। তাই তো এমন মানুষেরা সুযোগ পেলেই জঙ্গল বা পাহাড়ে চলে চান। আর জীবনসঙ্গী হিসেবে? চোখ বুজে এদের উপর ভরসা রাখতে পারেন। তবে এদের চরিত্রের একটাই সমস্যা, তা হল এরা মুখের উপর সত্যি কথা বলে দেন। ফলে অনেকেই এদের বেশ নাক উঁচু মানুষ হিসেবে ভেবে থাকেন, যা এরা একেবারেই নয়!
৩. ফায়ার হ্যান্ড:
যাদের হাতের তালু বেশ চওড়া, সেই সঙ্গে আঙুলগুলি খুব ছোট-ছোট। কিন্তু রেখাগুলি বেজায় স্পষ্ট, তাদের হাতকে ফায়ার হ্যান্ড হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, এদের হাতের তালু কিন্তু সারাক্ষণ গরম থাকে। এখন প্রশ্ন হল মানুষ হিসেবে এরা কেমন হন? জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে ফায়ার হ্যান্ড যাদের, তারা কথার থেকে কাজে বিশ্বাস করেন। এরা সাক্ষণ নিজেদের মূল্য কীভাবে প্রমাণ করা যায়, সেই চিন্তায় মশগুল থাকেন। সেই সঙ্গে জীবনসঙ্গী হিসেবে কিন্তু এরা বেজায় ভরসাযোগ্য হয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, ভালবাসার মানুষকে কীভাবে নিরাপদে রাখা যায়, তা এদের থেকে কেউ ভাল জানে না।
৪. ওয়াটার হ্যান্ড:
কারও হাতের তালু যদি বেশ লম্বা ধরনের হয়। সেই সঙ্গে আঙুলগুলিও হয় বেজায় লম্বা লম্বা, আর হাতের রেখা হয় খুব স্পষ্ট গোছের, তাহলে এই ধরনের হাতকে ওয়ায়ার হ্যান্ড বলা হয়ে থাকে। এমন মানুষেরা খুব স্পর্শকাতর হন। অল্পতেই এরা খুব কষ্ট পেয়ে যান। তবে এমন মানুষেরা একবার যাকে ভালবেসে ফেলেন তাকে তুলোয় করে রাখেন। কোনওভাবে যাতে ভালবাসার মানুষটির দুঃখ না পায়, সেদিকে এদের সদা নজর থাকে।
হাতের তালুর রং:
খেয়াল করে দেখবেন কারও কারও হাতের তালু গোলাপী বা ললাচে রঙের হয়ে থাকে। এরা বেজায় সাহসী গোছের হন। কিন্তু সহজেই রেগে যান। তবে যত তাড়িতাড়ি রেগে যান, তত তাড়াতাড়ি ঠান্ডাও হয়ে যান। তবে মানুষ হিসেবে এরা খুব ভাল হন। সবাইকে কীভাবে আনন্দে রাখা যায়, তা এদের থেকে কেউ ভাল জানে না। অন্যদিকে যাদের হাতের তালু হলদেটে হয়, তারা কম কথা বলতে পছন্দ করেন। তবে এদের চরিত্রের একটাই খারাপ দিক রয়েছে, তা হল এরা সহজে যেমন দুঃখ পেয়ে যান, তেমনি সেই দুঃখকে সম্বল করেই দিনের পর দিন কাটিয়ে দেন। মূল কথা এদের চরিত্র একেবারেই পজেটিভ হয় না।