Just In
- 14 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 16 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 18 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 20 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই বানালেন ভারতের প্রথম কোভিড-১৯ টেস্ট-কিট
তিনি অন্তঃসত্ত্বা, সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়টাও ঘনিয়ে এসেছে। তাও তিনি হাল ছাড়েননি। ডাক্তারের দেওয়া ডেলিভারির সময়কে পিছিয়ে দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন দিবারাত্র। দেশবাসীকে বাঁচাতে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড-১৯ এর টেস্ট কিট বানাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন পুণের এক ডায়াগনস্টিক কোম্পানির চিফ ভাইরোলজিস্ট, যাঁর নাম ডক্টর মিনাল দাখাভে ভোঁসলে। আজ তিনি সফল। তাঁর এই অক্লান্ত পরিশ্রম ও স্বার্থত্যাগে দেশ দেখতে পেল এক আশার আলো। তাঁর হাত ধরেই ভারতবর্ষে প্রথম তৈরি হল কোভিড-১৯ এর টেস্ট কিট।
তিনি সত্যিই দশভূজা। নিজের এবং নিজের গর্ভস্থ সন্তানের কথা না ভেবে নিজের দেশ এবং দেশবাসীকে বাঁচাতে মাত্র ছয় সপ্তাহে তৈরি করেন এই টেস্ট-কিট। এই সময়ের মধ্যে প্রসবকালীন নানা জটিলতা সৃষ্টি হলেও তিনি পিছিয়ে আসেননি তাঁর লক্ষ্য থেকে। তিনি জানান, এটি জরুরি অবস্থা ছিল, তাই আমি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছি। আমাকে আমার দেশের সেবা করতে হবে, এই চিন্তাই সবচেয়ে আগে ছিল।
মাইল্যাবে মিনাল- এর বানানো টেস্ট-কিটকে ইতিমধ্যেই সবুজ সংকেত দিয়েছে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ। আজ ভারতবর্ষ পিছিয়ে নেই করোনা যুদ্ধে। ভাইরাস মোকাবিলা করতে টেস্ট-কিটগুলি চলে এসেছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবগুলিতে। এখন দেশ প্রস্তুত করোনা যুদ্ধে সফল হতে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বজুড়ে মানুষের কাছে অনেক চ্যালেঞ্জ এনেছে। চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় হল, কোনও ব্যক্তি কোভিড-১৯ এ ভুগছেন কি না তা নির্ধারণ করা। ভারতে টেস্টিং কিটের অনুপলব্ধতার কারণে এই সমস্যা মারাত্মক ছিল। বিদেশ থেকে কিছু টেস্টিং কিট পেলেও সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট ছিল না। ডক্টর মিনাল জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে আসা টেস্ট কিটগুলিতে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা। কিন্তু তাঁর বানানো এই কিটগুলিতে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ধরা যাবে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় এবং অন্তত ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে এই টেস্ট-কিটে।
নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তাঁর এই অসাধ্য সাধনকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সারা বিশ্বের মানুষ। ১৮ মার্চ সকালে সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে তাঁর ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু, এইদিন সকালে ডেলিভারিকে উপেক্ষা করেই পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, ভারতের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ড্রাগ কন্ট্রোল এর হাতে তৈরি করা টেস্ট-কিট -এর যাবতীয় তথ্য জমা দেন তিনি। সকালের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করে সন্ধ্যের সময় সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে ডেলিভারি হয় তাঁর। জন্ম দেন এক শিশু কন্যার।
ভারতবর্ষের সকল মানুষের আশীর্বাদের হাত আজ তাঁর এবং তাঁর শিশু কন্যার মাথায়। সকলের আশা, এই টেস্ট-কিট টি সংক্রামিত ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে এবং সময়মতো সঠিক ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করতে সহায়তা করবে।