Just In
- 9 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 10 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 12 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 15 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
অভিনব পদক্ষেপ মহারাষ্ট্র শিক্ষা দপ্তরের, আধুনিক পরিবারের সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা হল পাঠ্যপুস্তকে
ছোটোবেলায় স্কুলের পাঠ্য পুস্তকে আমরা দু'ধরনের পরিবারের কথা পড়েছি - যৌথ পরিবার ও অণু পরিবার। সেখানে পরিবারের সংজ্ঞা ঠিক এভাবে দেওয়া থাকত- ঘরের যিনি কর্তা অর্থাৎ বাবা, তিনি অর্থ উপার্জন করে আনেন। ঘরের কর্ত্রী যিনি অর্থাৎ মা, তিনি ঘরের সমস্ত কাজ সামলান। ছোটোরা বড়দের কথা মেনে চলে। তাঁদের শ্রদ্ধা করে। তবে, বর্তমান সমাজের প্রতিচ্ছবি অনেকটাই আলাদা। আমাদের সমাজে নিত্য পাল্টাচ্ছে পরিবারের সংজ্ঞা। এখন পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন নারীরাও।
মহারাষ্ট্রের পাঠ্যপুস্তকে 'পরিবার'- এর সংজ্ঞাকে একদম আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারের উদ্যোগে সেখানকার একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান বইতে একাধিক পরিবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন- লিভ-ইন রিলেশনস, সমলৈঙ্গিক দম্পতি, একক মাতা-পিতা, সৎ পিতা মাতা ইত্যাদি। এই বইটি মহারাষ্ট্রের প্রকাশনা সংস্থা 'বালভারতী' দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে। এই বইটির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে নারী-পুরুষের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালের ৬ ই সেপ্টেম্বর একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে যেখানে আই পি সি-র ৩৭৭ ধারাকে লঙ্ঘন করে সমকামিতাকে স্বাভাবিক এবং আইনসম্মত আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, এই বইটিতে 'একবিংশ শতাব্দীর পরিবার' নামক একটি মডিউলে লিভ-ইন সম্পর্কের কথাও উল্লেখ আছে। মডিউলে বলা আছে যে " ইউরোপের অনেক জায়গায় এবং ভারতের তরুণ প্রজন্ম পারিবারিক সম্পর্ক হিসেবে সহবাসকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে । "
বইটিতে আরও লেখা আছে, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, "লিভ-ইন সম্পর্ক কোনও অপরাধ বা পাপ নয়।" এটাই ২০১৮ সালে পুনরায় সংশোধিত হয়েছে, যেখানে, "অবিবাহিত প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতিদের একসাথে থাকার অধিকার রয়েছে।"
এবিষয়ে কমিটির চেয়ারপার্সন বৈশালী দিবাকার জানিয়েছেন, এই সম্পর্কগুলোকে সমাজের মানুষের মধ্যে আরও গ্রহণযোগ্য ও স্বাভাবিক করে তোলার জন্য এই বিষয়বস্তুকে পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন ছিল। তিনি আরও জানান, গতানুগতিক তত্ত্বের বাইরে গিয়ে ব্যবহারিক জীবনেও এর প্রভাব সম্পর্কে পড়ুয়াদের ওয়াকিবহাল করাও কমিটির উদ্দেশ্য ছিল। নিত্য পরিবর্তনশীল সমাজের একটা প্রতিচ্ছবি এই পাঠক্রমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
সমাজবিজ্ঞানের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, অধ্যায়টি বাস্তবের সাথে সমাজবিজ্ঞানের ধারণাগুলি মেলাতে সাহায্য করে। কোনও বিষয় নিয়ে সমালোচনা করার আগে শিক্ষার্থীদের জানা উচিত যে তাদের পারিপার্শ্বিক সমাজে কী পরিবর্তন ঘটছে।