Just In
কোন রাশির জন্য কোন জেমস্টোন উপকারি জানা আছে কি?
জেমস্টোন পরা মাত্র বাস্তিবকই যে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়, সে বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই!
জেমস্টোন পরা মাত্র বাস্তিবকই যে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়, সে বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই! তাই তো বলি বন্ধু, অ্যাস্ট্রোলজিতে যদি বিশ্বাস থেকে থাকে, তাহলে কোন রাশির জন্য কোন স্টান উপকারি, তা জেনে নিয়ে এক্ষুনি পরে ফেলুন। দেখবেন এমনটা করলে জীবনের ছবিটা বদেলে যেতে সময় লাগবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে স্টান পরলে জন্মকুষ্টিতে উপস্থিত গ্রহ-নক্ষত্রের উপর তার সুপ্রভাব পরতে শুরু করে। ফলে একের পর এক উপকার মেলে। বিশেষত গুডলাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা মিলতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। মেলে আরও অনেক উপকার। তাই তো বলি বন্ধু আর অপেক্ষা নয়, চলুন ঝটপট জেনে ফেলা যাক কোন রাশির জন্য কোন স্টোন উপকারি, সে সম্পর্কে...
১. মেষরাশি:
এই রাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে মঙ্গলগ্রহ। তাই তো বিশেষজ্ঞদের মতে এরা যদি ডান হাতে পলা পরেন, তাহলে মনের জোর তো বাড়েই, সেই সঙ্গে শরীরের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটাও অনেকে বিশ্বাস করেন যে মেষরাশির জাতকেরা যদি এই স্টোনটি সঙ্গে রাখেন, তাহলে জমি সংক্রান্ত বিপাদ মিটে যায়, মেলে আর অনেক উপকার। যেমন ধরুন জীবন খুশিতে ভরে ওঠে এবং রক্ত সম্পর্কিত যে কোনও সমস্য়া মিটে যেতেও সময় লাগে না।
২. বৃষরাশি:
এদের উপর শুক্র গ্রহের প্রভাব বেশি হওয়ার কারণে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের সারাক্ষণ সঙ্গে হিরে রাখা উচিত। কারণ এমনটা করলে জীবনে শান্তি তো ফিরে আসেই, সেই সঙ্গে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। এমনকী স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গক, হিরের আংটিটি বানিয়ে কোনও এক শুক্রবার, ঠাকুরের পায়ে ছুঁইয়ে মধ্যমায় পরতেই হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে!
৩. মিথুনরাশি:
এই রাশির জন্মকুষ্টিতে বুধের প্রভাব খুব বেশি মাত্রায় থাকে। তাই তো এদের পান্না পরার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই পাথরটি পরা মাত্র চোখের নিমেষে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তির যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি স্পিচ সম্পর্কিত কোনও সমস্যা থাকলে, তা মিটে যেতেও সময় লাগে না।
৪. কর্কটরাশি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি মুক্ত পরেন, তাহলে দারুন সব উপকার মেলে। আসলে এই স্টোনটি শরীরের সংস্পর্শে আসা মাত্র জন্ম কুষ্টিতে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না, সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হওয়ায় জীবনে আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও বেশ কিছু উপকার। যেমন ধরুন- ব্রেন পাওয়ার বাড়তে শুরু করে এবং শরীরে বাসা বেঁধে থাকা ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। প্রসঙ্গত, এই স্টোনটি আংটি করে কড়ে আঙুলে, সোমবার দিন পরতে হবে।
৫. সিংহরাশি:
এরা যত শীঘ্র সম্ভব আপনারা রুবী পরে ফেলুন। কারণ এমনটা করলে এদের জন্মকুষ্টিতে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান পরিবর্তন হতে শুরু করে। ফলে যে কোনও দুঃখ মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তেও সময় লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল এই স্টোনটি, রবিবার আংটি হিসেবে কড়ে আঙুলে পরলে শীঘ্র উপকার মেলে।
৬. কন্যারাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর বুধের প্রভাব খুব বেশি থাকে। তাই তো এদের কড়ে আঙুলে পান্না পরার পরামর্শ দিয়ে থাকেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা। এই স্টোনটি পরা মাত্র কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের পথ প্রশস্থ হয়, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল পান্নার সুফল পেতে আংটিটি বুধবার পরতে হবে।
৭. তুলারাশি:
হিরের আংঠি পরতে এই রাশির জাকত-জাতিকাদের। এমনটা করলে এদের জন্ম কুষ্টিতে শুক্র গ্রহের প্রভাব কমতে শুরু করবে। ফলে জীবনে শান্তি ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, এই স্টোনটি, আংটি হিসেবে মধ্যমায়, শুক্রবার পরতে হবে। তবেই মিলতে কিন্তু শুরু করবে উপকার।
৮. বৃশ্চিকরাশি:
এদের জন্য লাকি স্টোন হল রেড কোরাল বা পলা। এই স্টোনটি রিং ফিঙ্গারে পরলে একদিকে যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ে, তেমনি জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যেতেও সময় লাগে না।
৯. ধনুরাশি:
অনেক অনেক টাকার মালিক হওয়ার পাশাপাশি অফুরন্ত সুখ-শান্তির সন্ধান পেতে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের হলুদ নীলকান্তমণি পরতে হবে। স্টোনটি আংটি হিসেবে তর্জনীতে পরলে উপরে আলোচিত উপকারগুলি তো পাওয়া যাবেই, সেই সঙ্গে বৈবাহিক জীবনও আনন্দে ভরে উঠবে।
১০. মকররাশি:
শনি গ্রহ এই রাশির অধপতি। তাই তো এরা যদি নীল নীলকান্তমণি পরে, তাহলে দারুন সব উপকার মিলতে শুরু করে। যেমন ধরুন- ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, স্টোনটি মধ্যমায় পরতে হবে এবং খেয়াল রাখবেন আংটিটি যেন শনিবার পরা হয়।
১১. কুম্ভরাশি:
মকররাশির মতো এদের উপরও শনি গ্রহের প্রভাব বেশি মাত্রায় থাকার কারণে বিশেষজ্ঞরা এদের নীল নীলকান্তমণি সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আসলে এই স্টোনটি শরীরের সংস্পর্শে এলে সুখের ঝাঁপি কখনও খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে এবং সামাজিক জীবন সম্মান বৃদ্ধির সম্ভাবনাও দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, স্টোনটি আংটি হিসেবে শনিবার পরতে হবে এবং আংটিটি থাকবে মধ্যমায়।
১২. মীনরাশি:
এই রাশির অধিপতি হল বৃহস্পতিগ্রহ। তাই তো এদের হলুদ সাফায়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এই অংটিটি পরা মাত্র বৈবাহিক জীবনে যেমন সুখের ছোঁয়া লাগে, তেমনি অনেক অনেক টাকার মলিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, স্টোনটি পরতে হবে তর্জনীতে এবং খেয়াল রাখতে হবে আংটিটি যেন বৃহষ্পতিবার পরা হয়।