Just In
Don't Miss
এই ৬ টি রাশির উপর সারাক্ষণ হনুমানজির আশীর্বাদ থাকার কারণে এরা বাকিদের থেকে অনেক বেশি সুফল পেয়ে থাকেন
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই প্রবন্ধে উল্লেখিত রাশির জাতিক-জাতিকারা যদি শনি এবং মঙ্গলবার বায়ু পুত্রের পুজো করেন, তাহলে বাকিদের থেকে অনেক বেশি মাত্রায় সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।
পুরান মতে মঙ্গলবার হল হনুমানজির অরাধনা করার দিন। এমন বিশ্বাস রয়েছে যে এদিন শ্রদ্ধা সহকারে দেবের আরাধনা করলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে নানাবিধ সুফল মেলার সম্ভবনা যায় বেড়ে। বিশেষত অঞ্জনী পুত্রের আশীর্বাদে অর্থনৈতিক উন্নতির পথ তো প্রশস্ত হয়ই, সেই সঙ্গে খারাপ শক্তির প্রভাব কমে যাওয়ার কারণে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কাও কমে। সেই সঙ্গে কালো যাদুর প্রভাব কেটে যায়, কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা বাড়ে, পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে, মনের মতো জীবনসঙ্গীর খোঁজ মেলে এবং ভক্তের মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হয়।
হনুমনাজির আরধনা করলেই এইসব উপকার মেলার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই প্রবন্ধে উল্লেখিত রাশির জাতিক-জাতিকারা যদি শনি এবং মঙ্গলবার বায়ু পুত্রের পুজো করেন, তাহলে নাকি উপরে আলোচিত সুফলগুলির পাশপাশি আরও অনেক উপককার পাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে এই লাকি রাশিদের মধ্যে আপনার রাশিও আছে কিনা? তাহলে আর আপেক্ষা কেন, চলুন চোখ রাখা যাক বাকি প্রবন্ধে...
১. মেষরাশি:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে ১২ টি রাশির মধ্যে মেষরাশির জাতক-জাতিকারাই একমাত্র, যারা হনুমানজির অরাধনা করলে সবথেকে বেশি মাত্রায় সুফল পেয়ে থাকেন। বিশেষত দেবের আশীর্বাদে এদের জীবনে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অঞ্জনী পুত্রের আশীর্বাদে এরা চরম অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পান। সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলাও মিটে যায় চোখের পলকে।
২. কুম্ভরাশি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাশির জাতাক-জাতিকার যদি নিয়মিত দেবের অরাধনা করেন, তাহলে একের পর "মিরাকেল" ঘটার সম্ভবনা যায় বেড়ে। এমনকি বহুদিন ধরে আটকে থাকা কাজও ঠিক মতে হতে শুরু করে দেয়। শুধু তাই নয়, হনুমানজির আশীর্বাদে কুম্ভরাশির অধিকারীদের সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু, আপনি যদি এই রাশির জাতক-জাতিকা হয়ে থাকেন, তাহলে নিয়মিত মারুথির অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!
৩. সিংহরাশি:
এই রাশির অধিকারীরা বিপদে পরা মাত্র যদি হনুমনাজির নাম নেন, তাহলে নিমেষে সব সমস্যা মিটে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। প্রসঙ্গত, এমনও বিশ্বাস রয়েছে যে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি নিয়মিত হনুমানজির নাম নেন, তাহলে পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের ঝামেলা বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও আর থাকে না। সেই সঙ্গে দেবের আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে উন্নতির পথও প্রশস্ত হয়।
৪. বৃশ্চিকরাশি:
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা শনি-মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করা শুরু করলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে চটজলদি পদন্নতি লাভের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখে-শান্তিতে এবং নিরাপদে কাটাতে চান, তাহলে হনুমানজির শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন!
৫. বৃষরাশি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এরা যদি প্রতি মঙ্গল এবং শনিবার ভক্তি ভরে হনুমানজির অরাধনা করেন তাহলে নানাবিধ উপকার তো মেলেই, সেই সঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে শনি এবং মঙ্গল গ্রহের দোষও কেটে যায়। শুধু তাই নয়, দেবের আশীর্বাদে যে কোনও কাজে চটজলদি সফলতা লাভের সম্ভাবনাও বাড়ে।
৬. ধনুরাশি:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি নিয়মিত হনুমানজির আরাধনা করেন এবং প্রতি বছর হনুমান জয়েন্তীর দিন তুলসির মালা, পান পাতা এবং সিঁদুর নিবেদন করে মারুথির অরাধনা করেন, তাহলে অঞ্জনী পুত্র এতটাই প্রসন্ন হন যে বাকিদের থেকে অনেক বেশি মাত্রায় সুফল তো মেলেই, সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সব ঝমেলাও মিটে যায় এবং মনের মতো চকরিরও সন্ধান মেলে।
হনুমান জি-এর পুজো করার জন্য কী কী জিনিসের প্রয়োজন পরে?
পুজো শুরু করার আগে হনুমান জির মূর্তি বা ছবির সামনে প্রদীপ, ধূপ, কলা, জল, ফুল, সিঁদুর এবং লাল কাপড় রাখতে হবে। প্রশ্ন করতে পারেন লালা কাপড় কেন? আসলে শাস্ত্র মতে লাল কাপড় পরা হনুমান জি-এর মূর্তি বাড়িতে রাখা বেজায় শুভ। সেই কারনেই মরুথির পুজো করার সময় লাল কাপড় নিবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
পুজোর নিয়ম:
এক্ষেত্রে প্রথমে পুজোর জায়গাটা ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর সেখানে লালা কাপড়ের উপর হনুমান জির ছবি বা মূর্তি প্রতিষ্টা করে শুরু করতে হবে পুজো। তবে তার আগে ঠাকুরের মূর্তিটাও জল দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে ভুলবেন না যেন! এবার ঠাকুরের গায়ে সিঁদুর লাগাতে হবে অল্প করে। তারপর প্রদীপটা জ্বালিয়ে দেবকে পরিয়ে দিতে হবে মালা এবং ফুল। এই সময় হনুমান চাল্লিশাও পাঠা করা যেতে পারে।
মনে রাখা জরুরি:
হনুমান জি-এর পুজো করার আগে ভাল করে স্নান সেরে নিতে হবে। আর পুজোর পরে সেদিন যদি সম্ভব হয়, তাহলে নিরামিষ খাবার খাওয়াই শ্রেয়। প্রসঙ্গত, পুজোর সময় মনে করে হনুমান জি-কে পাঁচটি কলা নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই ফলটি তাঁর বেজায় প্রিয়।